• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

যে বিশ্বাসে ঈমান চলে যায়

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২১  

এই পৃথিবীতে চলার পথে বিশ্বাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিশ্বাসের ওপর ভর করেই বেঁচে থাকে মানুষ। সব ধর্ম-বর্ণ-জাতিগোষ্ঠীর মানুষের কাছে বিশ্বাসের গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু মুমিন মুসলমানের কাছে ইসলামের প্রতি বিশ্বাস সবচে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাবান।

কারণ, ইসলামের সব বিধানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেই মানুষ ঈমানদার মুসলিম হয়। এর ওপর ভিত্তি করেই পরকালের ভালো-মন্দের চূড়ান্ত ফয়সালা নির্ধারিত হবে। মানুষ ইচ্ছা-অনিচ্ছায় কিংবা ঝগড়া-বিবাদে যদি অন্যায়ভাবে কাউকে একটি গালি দেয় কিংবা সে যা নয়, ওই নামে সম্বোধন করে ডাকে; এসব কারণে মানুষ গোনাহের সম্মুখীন হয়। তা মানুষের বিশ্বাসের মারাত্মক পরিপন্থী কাজ।

কোনো ব্যক্তিকে এমন কোনো বিষয়ে সম্বোধন করা ঠিক নয়; যে কাজের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই। যদি তা করা হয় তবে তা অনেক সময় কুফরে পরিণত হয়। কেননা কোনো কিছুকে গোপন করাই হচ্ছে কুফর বা অবিশ্বাস।

তাছাড়া প্রাপ্যক্ষেত্রে শুকরিয়া না করলে কিংবা অকৃতজ্ঞ হওয়া কুফরের অন্তর্ভুক্ত। এ কারণেই ইসলামের বিশ্বাস মর্যাদা শুধু বেশিই নয়, বরং মুক্তির একমাত্র পথও বটে। ইসলামি শরিয়তে ঈমান বা বিশ্বাস সম্পর্কে বক্তব্য হলো- ‘আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রতি ওহির মাধ্যমে যেসব বিধি-নিষেধ দিয়েছেন তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন ও মেনে নেয়ার নামই ঈমান। এ সব বিষয়ের ওপর বিশ্বাসস্থাপন করা ফরজ। এ বিধানের বাইরে কোনো একটি অস্বীকার করাই কুফর বা অবিশ্বাস। যে ব্যক্তি আল্লাহর বিধানের অবাধ্য হয়ে তাকে মিথ্যা বলে জানবে, শরিয়তের আলোকে ওই ব্যক্তিই কাফের বা অবিশ্বাসী।

ইসলামিক স্কলাররা এমন পাঁচটি বিষয়ের ব্যাপারে একমত। যে পাঁচটি বিষয়ে বিশ্বাসস্থাপন না করলে যে কেউ কাফের বা কুফরির সঙ্গে জড়িত। সেগুলো হলো-
> আল্লাহ প্রেরিত নবী-রাসূলদের মিথ্যা সাব্যস্ত করা কুফরি।
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দেয়া হুকুম-আহকাম অহংকার করে অমান্য করার পাশাপাশি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানো।
নবী-রাসূলদের ব্যাপারে সত্য-মিথ্যা সাক্ষ্য না দিয়ে তাদের উপক্ষো করা এবং তাদের ব্যাপারে অমনোযোগী হওয়াও কুফর।
> আল্লাহ তায়ালা প্রেরিত নবী-রাসূলদের ব্যাপারে সন্দেহ, সংশয় পোষণ করাও কুফরি।
মুখে ঈমানের কথা বলে অন্তরে বা গোপনে তা অস্বীকার করাও কুফরি। 

এ ছাড়া আরও কিছু কাজ ও বিশ্বাস আছে, যা মানুষকে ঈমানহারা করে দেয়। তাহলো-
আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকে শরিক করা।
বিচার ফয়সালায় আল্লাহর বিধান ও মানুষের মাঝে সমঝোতাকারী হিসেবে কাউকে সাব্যস্ত করা।
আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা ব্যক্তিকে কাফের বা অবিশ্বাসী মনে না করে সঠিক পথের অনুসারী মনে করাও কুফরি।
সমস্যা সমাধানে বিশ্বনবী (সা.) এর সিদ্ধান্ত ও দিকনির্দেশনার বিপরীতে অন্য কোনো ব্যক্তির সিদ্ধান্ত ও দিকনির্দেশনাকে উত্তম বলে মনে করাও কুফরি।
রাসূল (সা.) এর যে কোনো দিকনির্দেশনাকে ঘৃণা বা অপছন্দ করাও কুফরি। 
কোরআনের আয়াত বা বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রোপ কিংবা উপহাস করাও কুফরি।
যে কোনো যাদু-টোনা করা কুফরি। এ কারণে মানুষের শান্তি ও সুসম্পর্ক নষ্ট হয়।
> ঈমান ও ইসলাম সম্পর্কিত যে কোনো বিষয়ে মুসলমানদের বিপক্ষে মুশরিকদের সহায়তা করাও কুফরি।
আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত কোরআনুল কারিমের বিধানকে অস্বীকার করা বা পিঠ দেখানোও কুফরি।
বিশেষ করে এমন বিশ্বাস রাখা যে, কিছু কিছু ব্যক্তির জন্য আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের দেয়া জীবন বিধানের বিপরীতে কিছু কিছু বিষয়ে নিজস্ব মতামত বা ইখতিয়ার পোষণ করা। তাও মারাত্মক কুফরি।

সুতরাং মানুষের বিশ্বাস হতে হবে সুস্পষ্ট ও নির্মল। যে বিশ্বাসে থাকবে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো কাজ। যা মানুষকে ঈমানহারা করে দেয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইসলামের সব বিধানের ওপর যথাযথ বিশ্বাস স্থাপন করার তাওফিক দান করুন। ঈমানের মতো মহামূল্যবান সম্পদ নিরাপদ রাখতে ইসলামের বিধানের প্রতি যথাযথ বিশ্বাস স্থাপন করার তাওফিক দান করুন। কুফর ও শিরক থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন।