• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মুহাররম-আশুরা : করণীয়-বর্জনীয়

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

 

মুহাররম একটি অত্যন্ত বরকতপূর্ণ মাস। হিজরি সনের প্রথম মাস এটি। সম্মানিত চারটি মাসের অন্যতম এ মাস। এ সম্বন্ধে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

﴿إِنَّ عِدَّةَ ٱلشُّهُورِ عِندَ ٱللَّهِ ٱثۡنَا عَشَرَ شَهۡرٗا فِي كِتَٰبِ ٱللَّهِ يَوۡمَ خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ مِنۡهَآ أَرۡبَعَةٌ حُرُمٞۚ ذَٰلِكَ ٱلدِّينُ ٱلۡقَيِّمُۚ فَلَا تَظۡلِمُواْ فِيهِنَّ أَنفُسَكُمۡۚ﴾

‘নিশ্চয় আল্লাহর বিধানে মাস বারটি, আসমানসমূহ ও যমিন সৃষ্টির দিন থেকেই। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। আর মুশরিকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ করো ঐক্যবদ্ধভাবে, যেমন তারাও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে ঐক্যবদ্ধভাবে। আর মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকিদের সাথে রয়েছেন।’ [সুরা তাওবাহ, ৯ : ৩৬] 

আবু বাকরাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

«السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ: ثَلاثَةٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ، وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ»

‘বছর হলো বারো মাসের সমষ্টি, তন্মধ্যে চারটি অতি সম্মানিত। তিনটি পরপর লাগোয়া—যিলকদ,  যিলহজ ও মুহাররম আর (চতুর্থটি হলো) জুমাদাস সানি ও শাবানের মধ্যবর্তী মাস রজব।’ [বুখারি, আসসাহিহ : ২৯৫৮]

তন্মধ্যে মুহাররমকে মুহাররম বলে অভিহিত করা হয়েছে, কারণ এটি অতি সম্মানিত। আল্লাহর বাণী فَلا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنْفُسَكُمْ ‘তোমরা এতে নিজেদের ওপর কোনো যুলুম করো না।’ অর্থাৎ এই সম্মানিত মাসগুলোতে তোমরা কোনো অন্যায় করো না। কারণ এ সময়ে সংঘটিত অপরাধের পাপ অন্যান্য সময়ের পাপের চেয়ে বেশি মারাত্মক। 

আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা)  فَلا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنْفُسَكُمْ ‘তোমরা এতে নিজেদের ওপর কোনো যুলুম করো না।’ এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘সাধারণভাবে বারো মাসের কোনোটিতেই তোমরা অন্যায়-অপরাধে জড়িত হইয়ো না। এরপর আল্লাহ তায়ালা সেখান থেকে চারটি মাসকে বিশেষভাবে নির্দিষ্ট করেছেন। সেগুলোকে মহা-সম্মানে সম্মানিত করেছেন। এ মাসগুলোর মাঝে সংঘটিত অপরাধকে তিনি অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ বলে গণ্য করেছেন। আর এতে সম্পাদিত নেক কাজকে বেশি সাওয়াবের যোগ্য বলে সাব্যস্ত করেছেন।’

কাতাদাহ (রাহিমাহুল্লাহ)  فَلا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنْفُسَكُمْ ‘তোমরা এতে নিজেদের ওপর কোনো যুলুম করো না।’ এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘যদিও যুলুম সব সময়ই বড় অন্যায়, তবে হারাম মাসগুলোতে সম্পাদিত যুলুম অন্যান্য সময়ের যুলুম হতে অপরাধ ও পাপের দিক থেকে অনেক বেশি মারাত্মক। কারণ আল্লাহ তায়ালা নিজ ইচ্ছামতো যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন। আল্লাহ তায়ালা নিজ সৃষ্টি হতে উৎকৃষ্টগুলোকে বাছাই করেন। ফিরিশতাকুল থেকে কাউকে তাঁর বার্তাবাহক হিসেবে বাছাই করেছেন; অনুরূপ মানুষের মধ্য থেকেও কাউকে কাউকে রিসালাতের জন্য বাছাই করেছেন। সমস্ত কথা থেকে বাছাই করেছেন তাঁর যিকিরকে। যমিন থেকে বাছাই করেছেন মসজিদগুলোকে। মাসসমূহ থেকে বাছাই করেছেন রমাদান ও সম্মানিত চারটি মাসকে। দিনসমূহ থেকে বাছাই করেছেন জুময়ার দিনকে আর রাতসমূহ থেকে বাছাই করেছেন লাইলাতুল কদরকে। সুতরাং আল্লাহ যাদের সম্মানিত করেছেন, তোমরাও তাদের সম্মান প্রদর্শন করো। আর বুঝ-বুদ্ধিওয়ালা লোকদের মতে, প্রতিটি বস্তুকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হয় মূলত সেসব জিনিসের মাধ্যমেই, যেসব কারণে আল্লাহ তাদেরকে সম্মানিত করেছেন।’ [ইবনু কাসির, তাফসিরুল কুরআনিল আযিম, সুরা তাওবাহ : ৩৬ থেকে সংক্ষেপিত]