• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ভাষাসংগ্রামী ডা. সাঈদ হায়দার আর নেই

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২০  

চলে গেলেন ভাষাসংগ্রামী ও শহীদ মিনারের উদ্যোক্তা ডা. সাঈদ হায়দার। বুধবার (১৫ জুলাই) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রাজধানীর উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।

উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ডা. সাঈদ হায়দার করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমাদের হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরপর দুইবার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। সর্বশেষ তিনি বুধবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ডা. সাঈদ হায়দারের পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি করোনা থেকে মুক্ত হলেও পরবর্তীকালে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন। বুধবার বাদ মাগরিক ডা. সাঈদ হায়দারের জানাজা শেষে উত্তরা চার নম্বর সেক্টরে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে।

সাঈদ হায়দার ১৯২৫ সালে পাবনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজ ও কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৫৮ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক হেলথে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা নেন। তিনি ইপিআইডিসি’র চিফ মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন। চাকরির ধারাবাহিকতায় বিটিএমসি থেকে ১৯৮৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেদিনের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ছাত্ররা প্রথম শহীদ মিনার গড়ে তোলেন। যার নকশা করেন বদরুল আলম। আর তাকে সহযোগিতা করেছিলেন সাঈদ হায়দার। যা ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধবংস করে দেয়।

পেশাগত কাজের অবসরে বিজ্ঞান বিষয়ে নিবন্ধ লেখা ছিল তার প্রিয় নেশা। তার প্রথম বই ‘রোগ নিরাময় সুস্থ জীবন’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যের পটভূমিতে তার লেখা ‘লোকসমাজ চিকিৎসাবিজ্ঞান’ নামের বৃহদাকারের বইটি বাংলা একাডেমি তিনটি খণ্ডে প্রকাশ করে। তার আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা ‘পিছু ফিরে দেখা’ কালপ্রবাহের এক বাস্তব আলেখ্য।

ভাষা সংগ্রামে তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার তাকে ২০১৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে। তিনি ছিলেন একুশের চেতনা পরিষদের সহ-সভাপতি।