বাড়িওয়ালা দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে যা বলে ইসলাম
বরিশাল প্রতিবেদন
প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০১৯
বসবাস বা ব্যবসার প্রয়োজনে বাড়ি বা দোকান ভাড়া নেওয়া নতুন কোনো বিষয় নয়। এটি যুগ যুগ ধরে চলমান একটি ব্যবস্থা। ভাড়া বাসায়ই সারাটি জীবন পার করে দিচ্ছে এমন মানুষের সংখ্যাও অনেক। আজকের নাগরিক সভ্যতায় এটি খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা ও বিধি-বিধান। ভাড়া দেওয়া-নেওয়াও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই শরিয়তে যেমন ভাড়া প্রক্রিয়ার স্বীকৃতি রয়েছে, তেমনি সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এর বিধি-বিধান। এখানে ইসলামের দৃষ্টিতে বাড়িওয়ালার দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানা যাক।
বাড়িওয়ালার কর্তব্য
১. বাড়িভাড়া কত তা নির্ধারণ করে জানানো। গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ বিল কি ভাড়ার অন্তর্ভুক্ত, না এর বাইরে তা-ও জানানো উচিত। তা ছাড়া নাইট গার্ড ও বাড়ির দারোয়ানের বেতন, ময়লা ফেলার বিল কিংবা অ্যাপার্টমেন্টগুলোর সার্ভিস ফি ইত্যাদি মিলে প্রতি মাসে সাধারণত কত টাকা হয়, তা চুক্তির সময়ই বলে দেওয়া আবশ্যক।
২. প্রতি মাসের ভাড়া কত তারিখের মধ্যে দিতে হবে তা চুক্তির সময়ই জানিয়ে দিতে হবে।
৩. বাড়ির সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে ভাড়াটিয়াকে আগেই অবহিত করা আবশ্যক। বিশেষত এমন ত্রুটি, যা জানতে পারলে সে হয়তো ভাড়াই নেবে না বা যেটির কারণে ভাড়া আরো কম হবে; যেমন—পানি নিয়মিত বা সার্বক্ষণিক না থাকা বা নিয়ম করে পানি দেওয়া। গ্যাসের সমস্যা থাকা বা দারোয়ান না থাকার কারণে গেট নিয়ন্ত্রণের সমস্যা ইত্যাদি। কোনো কোনো বাসার লাইনে এক-দুইবার পানি ছাড়া হয় আর সবাই তখন নিজ নিজ পাত্রে জমা করে রাখে। এমন হলে ভাড়া চুক্তির সময়ই বলে দিতে হবে।
৪. বাড়ির মূল ফটক রাত কয়টায় বন্ধ করা হবে তা নির্ধারিত থাকলে চুক্তির সময়ই বলে দিতে হবে। যেন এ নিয়ে পরবর্তী সময়ে দ্বন্দ্ব না হয়।
৫. প্রতিটি ফ্ল্যাটে পৃথক বিদ্যুৎ মিটার লাগানো উচিত, যেন প্রতিটি পরিবার নিজ খরচ অনুযায়ী বিল পরিশোধ করতে পারে। কোনো কোনো বাড়িতে সব ফ্ল্যাটের জন্য একটিমাত্র মিটার থাকে। ফলে সব ফ্ল্যাটের হিসাব একত্রে হয় এবং এক মিটারে অতিরিক্ত খরচ হওয়ার কারণে ইউনিটপ্রতি খরচ অনেক বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে আরেকটি ত্রুটি হলো, মিটার একটি হওয়ার কারণে সবার ওপর সমহারে বিল চাপানো হয়। এতে বিদ্যুতের স্বল্প ব্যবহারের কারণে যাদের বাস্তব খরচ কম হয়, তাদের ওপর জুলুম হয়ে যায়। এ জন্য প্রতিটি ফ্ল্যাটে ভিন্ন ভিন্ন মিটার লাগানো দরকার।
তেমনি পানির মিটারও ভিন্ন হওয়া উচিত, যেন যার যার খরচ অনুযায়ী বিল নেওয়া যায়। শোনা গেছে যে ওয়াসা এভাবে প্রতি ইউনিটের জন্য আলাদা মিটার দেয় না। তাই এ ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত দুটি পদ্ধতির কোনো একটি অবলম্বন করা যেতে পারে—
১. প্রতি মাসের পানির বিল সব ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়াদের মাঝে বণ্টন করে দেবে।
২. বাড়িওয়ালা পানির বিল বাসাভাড়ার অন্তর্ভুক্ত করে নেবে। পানির নামে ভিন্ন বিল নেবে না। এ ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা পূর্ণ ভাড়ার মালিক হবে। আর পানির বিল সে-ই আদায় করবে।
দ্বিতীয় পদ্ধতিটি প্রথমটির চেয়ে নিরাপদ ও উত্তম। কিন্তু বর্তমানে কোনো কোনো বাসায় প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য ৩০০ বা ৪০০ টাকা পানির বিল নেওয়া হয়। কোনো কোনো এলাকায় এর চেয়েও বেশি নেওয়া হয়। ফলে কখনো কখনো এই টাকা দ্বারা মোট পানির বিল দিয়েও আরো উদ্বৃত্ত থেকে যায়। বাড়িওয়ালাকে নিজের ফ্ল্যাটে ব্যবহৃত পানির বিল দিতে হয় না। উপরন্তু কখনো তা আরো অতিরিক্ত থেকে যায়। অথচ বাড়িওয়ালার জন্য পানির বিলের ক্ষেত্রে ব্যবসা করা বা অতিরিক্ত নেওয়া ঠিক নয়। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে ওয়াসার পানি দ্বারা ব্যবসা করার অনুমতি নেই। আর এটি ভাড়াটিয়াকে জানিয়েও করা হয় না। বরং কেউ কেউ তো খরচ অনুযায়ী নেওয়ার দাবি করে খরচের চেয়ে বেশি নিয়ে থাকে। তাই এভাবে অতিরিক্ত নেওয়া বৈধ হবে না।
৬. বাড়ি ছেড়ে দিতে হলে কত দিন আগে জানাতে হবে তা-ও চুক্তির সময় জানিয়ে দিতে হবে। কেউ কেউ দুই মাস আগে জানানোর শর্ত করে। চলতি মাসে বা আগের মাসে জানানোর শর্ত করা দূষণীয় নয়। সুতরাং বাড়ি ছাড়ার সময় চূড়ান্ত করা হলে ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালা উভয়ের জন্যই তা পালনীয় হবে।
লক্ষণীয় হলো, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় চলতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে জানানোর শর্ত থাকে। তবে ভাড়াটিয়া যদি এর এক বা দুই দিন পরে জানায় তাহলেও পরবর্তী মাসের ভাড়া আদায় করা হয়। কখনো দুই মাস আগে জানানোর কথা থাকে। কিন্তু ভাড়াটিয়া হয়তো সময়মতো জানাতে পারেনি। তখন সে বাসা ছেড়ে দেওয়ার পরও তার থেকে দুই মাসের ভাড়া কেটে রাখা হয়। এ ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা বাস্তবেই অন্যত্র ভাড়া দিতে না পারলে পূর্বশর্ত অনুযায়ী ভাড়াটিয়া থেকে নির্ধারিত টাকা নেওয়া বৈধ হতে পারে।
তবে বাড়ির মালিকের কর্তব্য অন্যত্র ভাড়া দেওয়ার চেষ্টা করা। বাসাটি ভাড়া হয়ে গেলে আগের ভাড়াটিয়া থেকে অতিরিক্ত যা নেওয়া হয়েছে তা তাকে ফেরত দেওয়া জরুরি। নতুন ভাড়াটিয়া পেয়ে গেলে আগের ভাড়াটিয়া থেকে এ সময়ের ভাড়া রেখে দেওয়া জায়েজ হবে না।
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- জাতিসংঘ বাংলাদেশে জলবায়ু কর্মকান্ডে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে
- বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খালে, বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক বন্ধ
- পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে ধূমপান
- নতুন নতুন অপরাধ দমনে পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
- মজুত করা ১০০ টন খেজুর এক সপ্তাহের মধ্যে খালাসের নির্দেশ
- এবার মসজিদের অর্থ আত্মসাৎ করলো বিএনপি নেতা
- বাজারে নজরদারি-মজুত ঠেকাতে ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- গাজার শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- বরিশালে বিনোদন স্পটে অভিযান, কয়েক যুগল আটক পরে মুক্তি
- র্যাব সব সময় নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
- বরিশালে বেসরকারি হাসপাতালে-ক্লিনিকে অভিযান
- বিপিএলে বরিশালের শিরোপা জয়, আনন্দে ভাসছে নগরী
- নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা টাস্কফোর্স সভা
- গৌরনদীতে দুই ফল ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- এ বছর ফিতরার হার নির্ধারণ
- নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল রাখতে কাজ করতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার
- বরিশালকে সর্বোচ্চ পেনশন স্কিমের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি
- প্রধানমন্ত্রীর সামনে উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রশংসায় ভাসছেন মেয়র
- ক্রীড়া জগতকে সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার অঙ্গিকার
- দুর্নীতির মামলায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জেলে