বানারীপাড়ায় সরকারি আবাসনের ১০টি ঘর পুড়ে ২০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি

বানারীপাড়ায় খেজুরবাড়ি আবাসনের ১০টি ঘর আগুনে পুড়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়-খতি হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও রিক্সা চালক সহ দু’জন আহত হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার খেজুরবাড়ি গ্রামের আবাসনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা সেখানে গিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্ট করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এবিষয়ে খেজরবাড়ি আবাসনের প্রত্যক্ষদর্শী মো.খলিলুর রহমান ও জাকির হোসেন সহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আবাসনের ৭নং ব্যারাকের আব্দুল জব্বারের পরিত্যাক্ত ঘরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে মুহুর্তের মধ্যে পাশের ১০টি ঘরে ছড়িয়ে পরে। এ সময় আগুন জ¦লতে দেখে আবাসনের লোকজন ডাক-চিৎকার শরু করে। খবর পেয়ে এ উপজেলার দমকল কর্মীরা দ্রুত সেখানে গিয়ে প্রায় দু’ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় আবাসনের ৭নং ব্যারাকের বাসিন্দা ও বন্দর বাজারের পরিচ্ছন্ন কর্মী রেনু বেগম, রিক্সা চালক মো. জামাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, ইউনুস মোল্লা, এনায়েত হোসেন, সমীর, সালাউদ্দিন মিয়া, ফারুক হোসেন ও ডিস ফিরোজের প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল ও আসবাপত্র আগুনে পুরে ছাই হয়ে যায়। এ সময় আগুন নেভাতে গিয়ে শিক্ষার্থী মো. নাঈম ও রিক্সা চালক মো. হাসান গুরুতর আহত হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। 
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ, পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. খলিলুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা, সহ-সভাপতি মজিবর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা ডা, খোরশেদ আলম সেলিম, ওয়ার্কার্সপার্টির সম্পাদক অধ্যাপক মন্টু লাল কুন্ডু সহ দলীয় একাধিক নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের সার্বিক সহায্য-সহযোগীতা করার ঘোষনা দেন। 
এদিকে খেজরবাড়ি আবাসনে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বরিশাল-২ আসনের এমপি মো. শাহে আলম ক্ষতি ক্ষতিগ্রস্থ ১০টি পরীবারে সার্বিক খোঁজ-খবর নেন। পরে তার পক্ষ থেকে আ’লীগ নেতা ডা. খোরশেদ আলম সেলিম ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা তালুকদারকে সেখানে পাঠিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে শাড়ি-লঙ্গী ও শুকনো খাবার বিতরণ করেণ। 
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ বলেন, জেলা প্রশাসকের পক্ষে ওই দিন দুপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ১০টি পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবন, ১ লিটার তেল, ১ প্যাকেট নুডুলস, ২ কেজি চিড়া, ১ কেজি চিনি ও ২টি কম্বল বিতরণ করেন। এ সময় উপজেলা ত্রাণ কর্মকর্তা অয়ন সাহা সহ স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।