• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের

বরিশাল বিভাগে মিলেছে ৩৭ রাজাকারের অস্তিত্ব!

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯  


 একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকার, আলবদর ও আলশামসের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রাজাকারের নামের তালিকা ঘোষণা করেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা প্রথম পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের নামের তালিকা প্রকাশ করেছি। ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধিনতাবিরোধীরা রাজাকার-আল বদর নামে সশস্ত্র বাহিনী গঠন করে লুটপাট ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বরের আগে তাদের নামের তালিকা প্রণয়ন করা ছিল আমরা প্রতিশ্রুতি। সংসদেও এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম। এরই আলোকে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

জেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, মেহেরপুর জেলায় সর্বোচ্চ ১৬৯ জন রাজাকারের নাম, চাঁদপুরে ৯ জন, শরীয়তপুরে ৪৪ জন, বাগেরহাটে এক জন ও নড়াইলে ৫০ জনের নাম পাওয়া গেছে। তবে যশোরের শার্শা উপজেলা, গাইবান্ধা, শেরপুর, মাগুরা ও খাগড়াছড়ি জেলায় কোনো রাজাকার নেই বলে জেলা প্রশাসকদের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। যদিও সংশ্লিষ্ট এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখনো জীবিত রয়েছে এমন রাজাকারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে শার্শা উপজেলা যেখানে রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর সম্মুখযুদ্ধে শতাধিক শহিদ হওয়ার ঘটনা রয়েছে।


 
অন্যদিকে ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির ট্রুথ কমিশন ফর জেনোসাইড ইন বাংলাদেশ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, মাগুরা জেলায় রাজাকারের সংখ্যা ২১ জন, ঢাকা জেলায় চার জন, গাজীপুর জেলায় সাত, টাঙ্গাইল জেলায় ১৪ জন, ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলায় ১৮ জন, নান্দাইল উপজেলায় ১১ জন, ফুলপুর ও হালুয়াঘাট উপজেলায় ৪৩ জন, গফরগাঁও উপজেলায় ১৫ জন, মুক্তাগাছা উপজেলায় ২০, ফুলবাড়িয়া উপজেলায় ৪০ জন, ত্রিশালে ৪৩ জন, ভালুকায় ১৯ জন, শেরপুর সদরে ৩১ জন, নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৪৯ জন, জামালপুর সদরে ১১ জন, নেত্রকোনা সদরে ১৩ জন, আটপাড়ায় সাত জন, বারহাট্টায় ১১ জন, কলমাকান্দায় আট জন, পূর্বধলায় সাত জন, কেন্দুয়ায় ১০ জন, মোহনগঞ্জ উপজেলায় ২৪ জন, দুর্গাপুরে ১৬ জন, মদনে সাত জন, কিশোরগঞ্জ জেলায় ৩১ জন, গাজীপুর জেলায় সাত জন, ফরিদপুর জেলায় ১৭ জন, মাদারীপুর জেলায় ১৪ জন, শরীয়তপুর জেলায় এক জন, গোপালগঞ্জ জেলায় সাত জন, রাজশাহী জেলায় ১৪ জন, পাবনা জেলায় তিন জন, সিরাজগঞ্জ জেলায় আট জন, বগুড়া জেলায় ১৪ জন।

এছাড়া নওগাঁ জেলায় চার জন, নাটোর জেলায় ছয় জন, কুড়িগ্রাম জেলায় এক জন, দিনাজপুর জেলায় ২৮ জন, ঠাকুরগাঁও জেলায় চার জন, লালমনিরহাট জেলায় সাত জন, মাগুরা জেলায় ১৮ জন, ঝিনাইদহ জেলায় তিন জন, মেহেরপুর জেলায় তিন জন, যশোর জেলায় চার জন, বাগেরহাট জেলায় ৯ জন, বরিশাল জেলায় এক জন, পটুয়াখালী জেলায় তিন জন, পিরোজপুর জেলায় ১৮ জন, বরগুনা জেলায় ১১ জন, ঝালকাঠি জেলায় চার জন, মৌলভীবাজার জেলায় তিন জন, সিলেট জেলায় পাঁচ জন, সুনামগঞ্জ জেলায় ১৩ জন, নোয়াখালী জেলায় তিন জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এক জন।

তবে এই হিসাব পুরো জেলা বা উপজেলার নয় বরং আংশিক।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রেকর্ড সংগ্রহ করে রাজাকারদের তালিকা করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকার সময় অনেক রাজাকার-আলবদরের রেকর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, রাজাকারদের নাম-পরিচয় নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্যই তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।


 
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, আমরা নতুন করে কোনো তালিকা করিনি। পাকিস্তান সরকার কর্তৃক যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং যেসব পুরনো নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত ছিল সেটুকু প্রকাশ করেছি। তৎকালীন বিভিন্ন জেলার রেকর্ড রুম থেকে এবং বিজি প্রেসে ছাপানো তালিকাও সংগ্রহের প্রচেষ্টা চলছে। যাচাই-বাচাই করে ধাপে-ধাপে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে।

সূত্র জানায়, ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে অনানুষ্ঠানিকভাবে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছিল। ওই সময় গ্রামে-গঞ্জে বেসিক ডেমোক্রেসি মেম্বার ছিল, তাদের রাজাকার বাহিনীতে লোক সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। গ্রামের এসব মেম্বার এবং বিভিন্ন দল (যেমন জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লীগ, জামাতে ওলামা, কনভেনশন মুসলিম লীগ) যারা পাকিস্তানের সমর্থক- ওই রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয়।

এসব দলের নেতা রাজাকার বাহিনীর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তবে রাজাকার বাহিনী তৈরির পেছনে ছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনী এবং তাদের জেনারেলরা।

ওই সব বেতনভুক্ত রাজাকার এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যাদের বিরুদ্ধে দালাল আইনে মামলা হয়েছিল, তাদের নিয়েই রাজাকারের তালিকা চূড়ান্ত করেছে সরকার।