• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের

বদলে গেল বাংলা বর্ষপঞ্জি, বুধবার ৩১ আশ্বিন

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৯  

 

 

বদলে গেছে বাংলা বর্ষপঞ্জি। এতদিন ৩০ দিনে গণনা করা হলেও চলতি ১৪২৬ সাল থেকে আশ্বিন মাস গণনা করা হচ্ছে ৩১ দিনে। এ হিসাবে বুধবার হবে ৩১ আশ্বিন। বৃহস্পতিবার পয়লা কার্তিক।

২০২০ সাল অধিবর্ষ (লিপইয়ার) হওয়ায় এ বছর ফাল্গুন মাস পূর্ণ হবে ৩০ দিনে। তবে আগামী বছর থেকে ফাল্গুন মাস গণনা করা হবে ২৯ দিনে।

বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, নতুন বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বৈশাখ থেকে আশ্বিন- বছরের প্রথম ছয় মাস গণনা করা হবে ৩১ দিনে। কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ ও চৈত্র- এই পাঁচ মাস গণনা করা হবে ৩০ দিনে। ফাল্গুন মাস গণনা করা হবে ২৯ দিনে। লিপইয়ারে ফাল্গুন মাস পূর্ণ হবে ৩০ দিনে। বাংলা একাডেমির অভিধান ও বিশ্বকোষ উপবিভাগের কর্মকর্তা রাজীব কুমার সাহা সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

আগে বৈশাখ থেকে ভাদ্র- এই পাঁচ মাস ৩১ দিনে গণনা করা হতো। আশ্বিন থেকে চৈত্র- এই সাত মাস গণনা করা হতো ৩০ দিনে। লিপইয়ারে ফাল্গুনে মাস গণনা করা হতো ৩১ দিনে। এ কারণে ২১ ফেব্রুয়ারি, বিজয় দিবসের মতো জাতীয় দিবসগুলোতে বাংলা ও ইংরেজি তারিখে পার্থক্য দেখা দেয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল ৮ ফাল্গুন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ছিল ১ পৌষ। কিন্তু ইংরেজি বছরের মিল রাখতে গিয়ে গত কয়েক দশক ধরে একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হয় ৯ ফাল্গুন, বিজয় দিবস পালন করা হয় ২ পৌষ।

জাতীয় দিবসগুলো যে দিনে সংঘটিত হয়েছিল, সেই বাংলা তারিখ ঠিক রাখতে ২০১৫ সালে অধ্যাপক অজয় রায়কে প্রধান করে কমিটি গঠন করে বাংলা একাডেমি। কমিটির সুপারিশ মেনে ২০১৯ সালে করা ছুটি তালিকায় বাংলা তারিখ সংস্কার করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ছুটির তালিকায় দেখা যায়, এ বছর ১৬ ডিসেম্বর পালিত হবে ১ পৌষ। তবে পহেলা বৈশাখ হবে আগেই মতো ১৪ এপ্রিলে।

অজয় রায় সমকালকে বলেন, তাদের সুপারিশ মানা হয়েছে, জেনে ভালো লাগছে।

রাজীব কুমার সাহা জানান, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ছিল ১২ চৈত্র। কিন্তু এতদিন ১৩ চৈত্র স্বাধীনতা দিবস পালিত হতো। বর্ষপঞ্জি সংশোধনের ফলে এখন থেকে ১২ চৈত্র স্বাধীনতা দিবস পালিত হবে। ২৫ বৈশাখ রবীন্দ্রজয়ন্তী ও ১১ জ্যৈষ্ঠ নজরুলজয়ন্তী পালিত হবে যথাক্রমে ৮ মে ও ২৫ মে।

বাংলা বর্ষপঞ্জি এর আগেও দুই দফা সংস্কার হয়েছে। পঞ্চাশের দশকে জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী ড মেঘনাদ সাহার নেতৃত্বে এবং ১৯৬৩ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে এ সংস্কার হয়। মেঘনাদ সাহার সুপারিশে বৈশাখ থেকে ভাদ্র ৩১ দিন, আশ্বিন থেকে চৈত্র ৩০ দিন ছিল, অধিবর্ষে একদিন যুক্ত হতো চৈত্র মাসে।