• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বঙ্গমাতার আদর্শই হতে পারে অগ্রযাত্রার চাবিকাঠি: রাবাব ফাতিমা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২০  

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের ( কভিড-১৯) বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কেও স্থানীয় নির্দেশনা অনুযায়ি সামাজিক দূরত্ব মেনেই শনিবার স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মিশনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের বুলেটে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এরপর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও বঙ্গমাতার ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয় অনুষ্ঠানে। আজ রোববার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়,আলোচনা পর্বের শুরুতে মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন ও কর্ম এবং দেশ ও জাতিগঠনে তাঁর অসমান্য অবদানের নানা দিক তুলে ধরে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

রাবাব ফাতিমা বলেন,‘জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। আর বঙ্গমাতার রেখে যাওয়া আদর্শ হতে বাংলাদেশের এই অদম্য অগ্রযাত্রার চাবিকাঠি।

তিনি বলেন,‘আমরা যখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভাবি কিংবা তাঁর সম্পর্কে কথা বলি, তখন স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে বঙ্গমাতার কথা’। জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য থেকে নানা উদ্বৃতি উল্লেখ করে রাবাব ফাতিমা বঙ্গমাতার যাপিত জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তাঁর বক্তৃতায় উঠে আসে কীভাবে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গমাতা দলীয় কর্মকান্ড সচল রাখতে ভূমিকা রেখেছেন, কি ভাবে অবলীলায় দলীয় কর্মী এবং দলের প্রয়োজনে তাঁর সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেছেন। ৬ দফা, ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধুকে অটল থাকতে কীভাবে বঙ্গমাতা সাহস যুগিয়েছেন, অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেও হাসিমূখে কীভাবে সংসার আগলে রেখেছেন তার নানা দিক।

জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকীর প্রেক্ষাপটে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীর এই আয়োজন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “একবিংশ শতাব্দীর আজকের এ ডিজিটাল পৃথিবী বঙ্গমাতাকে আরো নতুনভাবে জানবার ও হৃদয়ে ধারন করবার সুযোগ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোররা যাতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রয়াস গ্রহণ করতে হবে”। আলোচনা পর্বে মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা অংশগ্রহণ করেন।