• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী

পানিতে ডুবে মারা গেলে শহীদ

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২০  

জীব মাত্রই মৃত্যু অপরিহার্য। তবে সুন্দর ও স্বাভাবিক মৃত্যুর প্রত্যাশা সব মানুষের। এর পরও কষ্টকর ও দুর্ঘটনাকবলিত মৃত্যুরও মুখোমুখি হয় কোনো কোনো মানুষ। মুমিন বিশ্বাস করে মানুষের মৃত্যু কিভাবে হবে তা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। তাই দুর্ঘটনায় কারো মৃত্যু হলে ইসলামে তাকে হেয় করার সুযোগ নেই; বরং আল্লাহর দরবারে বিশ্বাসী ব্যক্তির কষ্টকর মৃত্যুর বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী (সা.) বলেছেন, পানিতে ডুবে, কলেরায়, প্লেগে ও ভূমিধসে বা চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তিরা শহীদ।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭২০)

অপর বর্ণনায় এসেছে, ‘একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা তোমাদের মধ্যে কোন কোন ব্যক্তিকে শহীদ বলে গণ্য করো? তারা বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর পথে যে নিহত হয়, সে-ই শহীদ। তিনি বললেন, তাহলে তো আমার উম্মতের মধ্যে শহীদ খুবই অল্প। লোকেরা বলল, তাহলে কারা শহীদ বলে গণ্য হবে, হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বললেন, যে আল্লাহর পথে নিহত হয় সে শহীদ, যে আল্লাহর পথে মারা যায় সে শহীদ, যে প্লেগ রোগে মারা যায় সে শহীদ, যে পেটের রোগে প্রাণ হারায় সে শহীদ এবং যে পানিতে ডুবে মারা যায় সেও শহীদ।’ (রিয়াজুস সালিহিন, হাদিস : ১৩৬২)

 

কষ্টকর মৃত্যু থেকে বাঁচার প্রার্থনা

ইসলাম দুর্ঘটনায় কারো কষ্টকর মৃত্যু হলে তাকে শহীদের মর্যাদা দিয়েছে। তবে সেই মৃত্যু কখনোই প্রার্থিত নয়। বরং মুমিন কষ্টকর মৃত্যু থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাপা পড়ে মৃত্যু থেকে আশ্রয় চাই, আশ্রয় চাই গর্তে পড়ে মৃত্যু থেকে, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই পানিতে ডুবে ও আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া থেকে এবং অতি বার্ধক্য থেকে। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই মৃত্যুর সময় শয়তানের প্রভাব থেকে, আমি আশ্রয় চাই আপনার পথে জিহাদ থেকে পলায়নপর অবস্থায় মারা যাওয়া থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে মৃত্যুবরণ থেকে।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ১৫৫২)

শুধু তা-ই নয়, রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বাভাবিক মৃত্যুর কষ্ট থেকেও আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁদের যেমন কোরআনের সুরা শিক্ষা দিতেন, তেমনি এই দোয়াও শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন, ‘বলো! হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি জাহান্নামের শাস্তি থেকে, আমরা আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কবরের শাস্তি থেকে, আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি দাজ্জালের ফিতনা থেকে এবং আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৫৫১২)