পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো বা বসা: এটা কি ঠিক ?
বরিশাল প্রতিবেদন
প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৯
ইসলামী আইনের মূলনীতি হচ্ছে- সাধারণভাবে সবকিছু জায়েজ, যতক্ষণ না সেটি হারাম হওয়ার পক্ষে কোনো দলিল পাওয়া যায়। বিশেষ করে আমাদের দেশে পশ্চিম দিকে পা দিয়ে বসা, শোয়া বা ঘুমানোর ব্যাপারে বিতর্ক দেখা ও শোনা যায়। অনেকে এটিকে গুরুতর অপরাধ বলে গণ্য করেন আবার কেউ কেউ এতে কোনো অন্যায় দেখেন না। অনেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন কুসংস্কারেও বিশ্বাস করেন। যেমন-পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমালে হায়াত কমে যায় বলে ধারণা প্রচলিত রয়েছে।
ইসলামে কোনো বিষয়কে হালাল বা হারাম সিদ্ধান্ত দেয়ার জন্যে তার পক্ষে বা বিপক্ষে গ্রহণযোগ্য দলিল থাকা জরুরি। দলিল ছাড়া ইসলামে কোনো কিছু হালাল বা হারাম বলা যায়।
তাই প্রথমে এ বিষয়টি জায়েজ কীনা তা জানতে হলে খুঁজতে হবে-এ নিয়ে কোনো দলির আচে কীনা। ইসলামী আইনের মূলনীতি হলো, ‘সাধারণভাবে সবকিছু জায়েজ, যতক্ষণ না সেটি হারাম হওয়ার পক্ষে কোনো দলিল পাওয়া যায়।’
এই মূলনীতি অনুয়ায়ী আমরা যদি এ মাসআলাটি বিশ্লেষণ করি, তাহলে বুঝা যায়, পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানোর ব্যাপারে কোনো আদেশ বা নিষেধ নেই। কেউ যদি বলে এটি হারাম তাহলে এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য দলিল দেখাতে হবে।
আমরা ‘পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো নিষেধ’ মর্মে কোনো বক্তব্য কোরআন, হাদিস বা ইমামদের বক্তব্য পাইনি। তাই এটি নিষেধ করার কোনো যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য কারণ নেই বলে দাবি করা যায়।
অনেকে পশ্চিম দিকে (কিবলার দিকে) মুখ ফিরিয়ে বা পিঠ ফিরিয়ে পায়খানা-প্রস্রাব করার নিষেধাজ্ঞায় বর্ণিত হাদিসের ওপর কিয়াস করে পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো বা বসাকে নাজায়েজ বলে থাকেন।
অথচ এমন ধারণার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই। খোলা স্থানে কিবলার দিকে মুখ ফিরিয়ে বা পিঠ ফিরিয়ে পায়খানা-প্রস্রাব করা নিষেধ- এ সংক্রান্ত স্পষ্ট হাদিস রয়েছে।
কিন্তু কিবলার দিকে পা দিয়ে ঘুমানো বা বসা নিষেধ-মর্মে কোনো হাদিস বর্ণিত হয়নি। তাই কিবলার দিকে তথা পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো বা বসা নাজায়েজ- এ কথাটিও অপ্রমাণিত এবং ভুল।
এক প্রশ্নের উত্তরে সৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বাজ (র.) বলেন, ‘এতে কোনো সমস্যা নেই। কোনো ব্যক্তি যদি তার দুই পা কিবলার দিকে ফিরিয়ে রাখে তাতে কোনো সমস্যা নেই। এমনকী কেউ যদি মসজিদে হারামে বসেও কাবার দিকে পা ফিরিয়ে রাখে তাতেও কোনো সমস্যা নেই।’
আর শাইখ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-উছাইমীনও (র.) বলেন, ‘কিবলার দিকে পা দিয়ে ঘুমাতে বা বসতে কোনো দোষ নেই।’ তবে কিবলা ও কাবা অত্যন্ত মর্যাদাবান দু’টি বিষয়। এগুলো ইসলামের শিআর বা নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। এগুলোকে কোনোভাবে অসম্মান করা, অবজ্ঞা করা বা এগুলোর প্রতি কোনো অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা মহা অন্যায়।
তাই কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে পশ্চিম দিকে পা দিয়ে রাখে তাহলে তা মহা অন্যায় ও কবীরা গুনাহ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে তা হবে কী হবে না-তা নির্ভর কর; যে পা রাখছে তার নিয়তের ওপর।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, পশ্চিম দিকে পা রাখা যদি হারাম হয় তাহলে বিছানায় বা সমান কোনো স্থানে বসা কোনো মাজুর ব্যক্তি (অসুস্থতা বা কোনো সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি) কীভাবে বা কোন দিকে পা রেখে সালাত আদায় করবে?
উত্তর হবে অবশ্যই পশ্চিম দিকে অর্থাৎ কিবলার দিকে পা রেখেই তিনি সালাত আদায় করবেন।
ফিকহবিশারদরা বলেন, ‘যদি কোনো অসুস্থ ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বা বসে নামাজ পড়তে না পারেন, তাহলে কিবলার দিকে মুখ করে এক পাশে শুয়ে নামাজ আদায় করবেন। যদি সেটাও না পারেন তাহলে চিত হয়ে শুয়ে কিবলার দিকে পা দিয়ে নামাজ পড়বেন।’
এ দিক দিয়ে বলা যায়, যদি পশ্চিম দিকে পা রাখা হারাম বা নাজায়েজ হতো তাহলে সালাত আদায় কালেও তা হারাম হতো। এছাড়া তা ফিকহের কিতাবেও ফতোয়ায় উল্লেখ থাকতো।
সুতরাং বলা যায়, কিবলার দিকে বা পশ্চিম দিকে পা রেখে ঘুমালে হায়াত কমে যায় বা এ ধরনের কোনো কথা কোরআন ও হাদিসে নেই। তাই এগুলো বিশ্বাস করাও জায়েজ নয়।
বরং ইসলামের নামে প্রচলিত এ রকম বহু অপ্রমাণিত ও অগ্রহণযোগ্য কথা বিশ্বাস, প্রচার ও প্রসার থেকে নিজে বিরত থাকা ও অপরকে বিরত রাখার চেষ্টা করা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য। এটি বিশ্বাস করাও ভিত্তিহীন।
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- জাতিসংঘ বাংলাদেশে জলবায়ু কর্মকান্ডে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে
- বেইলি ব্রিজ ভেঙে ট্রাক খালে, বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক বন্ধ
- পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে ধূমপান
- নতুন নতুন অপরাধ দমনে পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
- মজুত করা ১০০ টন খেজুর এক সপ্তাহের মধ্যে খালাসের নির্দেশ
- এবার মসজিদের অর্থ আত্মসাৎ করলো বিএনপি নেতা
- বাজারে নজরদারি-মজুত ঠেকাতে ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- গাজার শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- বরিশালে বিনোদন স্পটে অভিযান, কয়েক যুগল আটক পরে মুক্তি
- র্যাব সব সময় নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
- বরিশালে বেসরকারি হাসপাতালে-ক্লিনিকে অভিযান
- বিপিএলে বরিশালের শিরোপা জয়, আনন্দে ভাসছে নগরী
- নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা টাস্কফোর্স সভা
- গৌরনদীতে দুই ফল ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- এ বছর ফিতরার হার নির্ধারণ
- নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল রাখতে কাজ করতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার
- বরিশালকে সর্বোচ্চ পেনশন স্কিমের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি
- প্রধানমন্ত্রীর সামনে উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রশংসায় ভাসছেন মেয়র
- ক্রীড়া জগতকে সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার অঙ্গিকার
- দুর্নীতির মামলায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জেলে