• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী

পদ্মাসেতুর রেল রুটও যুক্ত হচ্ছে ট্রান্স-এশিয়ান নেটওয়ার্কে

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

মিয়ানমার হয়ে চীনর সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে ট্রান্স-এশিয়ান রেল রুটের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে পদ্মাসেতুর রেল রুটটিও। প্রস্তাবিত রুটটি পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতকে সংযুক্ত করে বেনাপোল-যশোর-নড়াইল-ভাঙ্গা-মাওয়া হয়ে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-টঙ্গী-আখাউড়া-চট্টগ্রাম-দোহাযারি হয়ে মিয়ানমারের গুনদুম সীমান্তে গিয়ে মিশবে।

বাংলাদেশের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গত ১০-১১ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের এসকপের (এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন) আন্তঃসরকারের সভায় আলোচনা হয়েছে। প্রক্রিয়াটি শেষ হলে ওই রেল রুট হবে বাংলাদেশের ৪র্থ ট্রান্স-এশিয়ান রেল রুট।

এর আগের ট্রান্স এশিয়ান রেল রুটে বাংলাদেশের তিনটি রুট সংযুক্ত হয়েছে। রুট তিনটির প্রথমটি গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতকে সংযু্ক্ত করে দর্শনা-ঈশ্বরদী-জামতৈল-জয়দেবপুর-টঙ্গী-আখাউড়া-চট্টগ্রাম-দোহাজারি হয়ে গুনদুম সীমান্তে মিশেছে।

দ্বিতীয়টি সিঙ্গাবাদ সীমান্ত দিয়ে ভারতকে সংযুক্ত করে রোহানপুর-রাজশাহী-আব্দুলপুর-ঈশ্বরদী-জামতৈল-জয়দেবপুর-টঙ্গী-আখাউড়া-চট্টগ্রাম-দোহাযারি হয়ে গুনদুম সীমান্তে গিয়ে সংযুক্ত হবে। আর তৃতীয়টি রাধিকাপুর-বিরইল-দিনাজপুর-পার্বতীপুর-আব্দুলপুর-ঈশ্বরদী-জামতৈল-জয়দেবপুর-টঙ্গী-আখাউড়া-চট্টগ্রাম-দোহাযারি হয়ে গুনদুম সীমান্তে মিশবে।

জানা গেছে, ট্রান্স-এশিয়ান রেল রুট নিয়ে জাতিসংঘের এসকপের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা শুরু হয় ২০০৭ সালে। তবে ২০১৫ সালে ব্যংককে অনুষ্ঠিত আন্তঃসরকার সম্মেলনের চতুর্থ দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক সম্মতি দিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এবার ৬ষ্ঠ দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে আলোচনা হলো নতুন এই প্রস্তাব নিয়ে।

এদিকে, ‘পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে’র আওতায় ঢাকা থেকে যশোর-বেনাপোল পর্যন্ত ১৬৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর এ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রথম অংশ ঢাকার কমলাপুর থেকে গেন্ডারিয়া স্টেশন পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ (ডিজি) রেলপথ নির্মাণ করা হবে। দ্বিতীয় অংশ গেন্ডারিয়া থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৬ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ এবং ৪টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। তৃতীয় অংশে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত ৪২ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ এবং ৫টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। চতুর্থ অংশে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৮৬ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ ও ১০টি স্টেশন নির্মাণ হবে। এ ছাড়া পঞ্চম অংশে ১০০টি ব্রডগেজ কোচ সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে ২০২০ সালের জুলাইয়ের মধ্যে ৪টি এসি স্লিপার কোচ ও ১৬টি এসি চেয়ার কোচ সংগ্রহ করা হবে।

প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। যদিও ২০১৬ সালে প্রকল্পের অনুমোদনের সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রকল্পের ব্যয় আরো চার হাজার ২৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালে জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

জি-টু-জি ভিত্তিতে বাংলাদেশ-চীন যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এক্ষেত্রে প্রকল্প ব্যয়ের ১৮ হাজার ২১০ কোটি ১০ লাখ টাকা বহন করছে বাংলাদেশ সরকার। আর ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা দেবে চীন। সে লক্ষ্যে চীনা এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিও হয়েছে।

প্রথমে রুটটিকে ট্রান্স-এশিয়ান রেল রুটের সাব-রুট হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। সেখান থেকে মূল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, উদ্দেশ্য একটাই, দ্বার খুলে দেয়া এবং সংযোগ বাড়ানো। এরইমধ্যে ভারতের সঙ্গে আমাদের সংযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবারে আমরা মিয়ানমারকে সংযুক্ত করতে যাচ্ছি। সেখান থকে চীনের সঙ্গে সংযোগ ঘটবে। এই রুটের মাধ্যমে আরো অনেক দেশে যেতে পারবো। অর্থাৎ, সম্ভাবনা অনেক।

প্রকল্পের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরইমধ্যে প্রকল্পের ২৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা যায় প্রকল্প মেয়াদের মধ্যে বাকি কাজও শেষ হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড।