• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের

পদ্মা সেতু: জটিল ১১ পিলারের কাজ শেষ হবে আগামী ৮ মাসেই

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০১৯  

পদ্মা সেতুতে কাজের শুরুতে ১১টি পিলার নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। নদীর তলদেশে মাটির গুণাগুণগত বৈচিত্র্যের কারণে এসব পিলারের নকশার অপেক্ষায় থাকে ঠিকাদার। নকশা সমাধান হয়ে চূড়ান্ত হলে এরপর কাজ শুরু হয়। এসব পিলার সম্পন্ন হলে মূল সেতুর সব পিলারের কাজও শেষ হবে। এই ১১টি পিলারের কাজ শেষ হতে ৮ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হতে আর কত সময় লাগবে, তার জন্য দেশের মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। সব প্রতিকূলতা আর বাধা পেরিয়ে এগিয়ে চলছে সেতুর কাজ। এবারের বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীতে প্রচন্ড স্রোত আর পলির কারণে কাজের পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে যাওয়ায় থেমে থাকা কাজগুলো শুরু হয়েছে।

জানা যায়, পদ্মার বুকে ৪২টি পিলারের মাথা তুলে দাঁড়ানোর দৃশ্য দেখতে সময় লাগবে আরও ৮ মাস। ১১টি পিলারের কাজ ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রকৌশলীদের। সেতুর মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে ৩১টি পিলারের কাজ সম্পন্ন। ডিজাইন অনুযায়ী, সেতুর পিলারগুলো ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল। এসব পিলারে ছিল নকশা জটিলতা, চূড়ান্ত সমাধান হয়ে আসতে লেগেছে বাড়তি সময়। প্রকৌশলীদের ভাষ্য, পিলারের নকশার সমস্যার কারণেই পদ্মা সেতুর কাজ নির্ধারিত সময় পেরিয়েছে। এই ১১টি পিলার হলো- ৬, ৭, ৮, ১০, ১১, ২৬, ২৭, ২৯, ৩০, ৩১ ও ৩২।

১১টি পিলারের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে মূল সেতুর এক প্রকৌশলী জানান, সেতুর ৬, ৭, ৮, ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের অবস্থান পদ্মা নদীর মাঝখানে। প্রচন্ড স্রোতের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল এই পাঁচটি পিলারের কাজ। এখন পানি কমতে শুরু করেছে, স্রোত স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে। এসব পিলারের পাইল ড্রাইভিং শেষ হয়েছে। বর্তমানে পাইলের ভেতর স্ক্রিন গ্রাউটিংয়ের কাজ চলছে। সেতুর ২৬ নম্বর পিলারের অবস্থান বিআইডব্লিউটিএ'র নৌযান চলাচল নৌরুটে। পাইল ড্রাইভিং শেষ করে পরবর্তী ধাপের কাজ সুবিধাজনক সময় শুরু হবে। সেতুর ২৭ নম্বর পিলারে পাইল ক্যাপের জন্য যন্ত্রপাতি সেট করা হচ্ছে। সেতুর ২৯ ও ৩০ নম্বর পিলারের বটম স্লাগ শেষ হয়েছে এবং এখন পাইলগুলো কংক্রিটিং হচ্ছে। সেতুর ৩১ ও ৩২ নম্বর পিলারের পাইল ক্যাপের কাজ চলছে। এর মধ্যে ৩১ নম্বর পিলারের পাইলের রড বাইন্ডিং চলছে ও ৩২ নম্বর পিলারের পাইলের পাইল ক্যাপের অর্ধেক কাজ হয়েছে। আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে এই ১১টি পিলারের কাজ সম্পন্ন হতে সময় লাগবে ৮ মাস।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে ২২ নম্বর পিলার থেকে ৩২ নম্বর পর্যন্ত চলছে ড্রেজিং। দুটি ড্রেজার পলি অপসারণে কাজ করছে। এর মধ্যে আবার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটের চ্যানেলেও পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের ড্রেজার দিয়ে কাজ চালনা করতে হয়। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে এই ড্রেজিং। পিলারের কাছে এখন পলি জমি আছে, যার কারণে স্প্যান বহনকারী 'তিয়ান ই' ক্রেনটি চলাচলে সমস্যা তৈরি হবে। প্রচন্ড স্রোত আর পলির কারণে এতদিন পিলারের ওপর স্প্যান বসানোর কাজ থেমে আছে। ড্রেজিং শেষে ও পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে এলে স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা করা হবে। পুরো সেতুতে দুই হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে দুই হাজার ৯৫৯টি।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। নদীশাসনের কাজ করছে চীনের প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এই সেতুর কাঠামো।