দ্রব্যমূল্যের অনৈতিক দাম বাড়ালে যেসব আজাবে পতিত হয় মানুষ
বরিশাল প্রতিবেদন
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৯
ব্যবসা-বাণিজ্য ইসলামে অনেক সম্মানজনক কাজ। আল্লাহ তাআলা ব্যবসাকে করেছেন হালাল। এ হালাল ব্যবসায় কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এক শ্রেণীর অসাধু নামধারী মজুদদার মানুষকে কষ্ট দেয়া। তাদের মজুদদারীর কারণে সর্ব সাধারণের সীমাহীন কষ্ট ও ক্ষতি হয়। ইসলামে নিঃসন্দেহে এটি হারাম কাজ।
মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় হালাল খাদ্যসামগ্রী গুদামজাত করে কিংবা কৃত্রিমভাবে বাড়ানোকে ইসলামের পরিভাষায় ‘ইহতিকার’ বা মজুদদারি বলা হয়। রাসুলে আরাবি মজুদদার ব্যক্তিকে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মজুদদার খুবই নিকৃষ্টতম ব্যক্তি। যদি জিনিসপত্রের দাম হ্রাস পায় তাহলে চিন্তিত হয়ে পড়ে, আর যদি মূল্য বেড়ে যায় তাহলে আনন্দিত হয়।’ (মিশকাত)
অস্বাভাবিক হারে মূল্য বৃদ্ধির জন্য গোপন স্থানে দ্রব্যসামগ্রী আটক রেখে মানুষকে কষ্টে ফেলা শুধু ঘৃনিত কাজই নয় বরং তা অত্যন্ত জঘন্য পাপ ও এক প্রকার শোষণ হিসেবে চিহ্নিত।
অধিক মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে সাধারণ মানুষের কষ্ট তৈরি করা এবং বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা ইসলাম চরম অনৈতিক, ঘৃণ্য ও নিষিদ্ধ কাজ। হাদিসে এসব মজুদদার ও অধিক মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে সতর্কবার্তা ঘোষণা করা হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পণ্যদ্রব্য আটক করে অধিক মূল্যে বিক্রয়কারী অবশ্যই পাপী।’ (মিশকাত)
যারা এসব অনৈতিক কাজ করে তাদের শুধু পাপ হবে এমনটিই নয় বরং তাদের জন্য অপেক্ষা করছে চরম মহামারী ও দ্ররিদ্রতা। হাদিসে এসেছে-
>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই মর্মে সতর্কবার্তা দিয়েছেন যে, ‘কেউ যদি মুসলমানদের থেকে খাদ্যশস্য আটকিয়ে রাখে, তবে আল্লাহ তাআলা তার উপর মহামারী ও দারিদ্র্যতা চাপিয়ে দেন।’ (ইবনে মাজাহ, বাইহাকি)
>> ‘যে ব্যক্তি মূল্য বৃদ্ধির অসৎ উদ্দেশ্যে মুসলমানদের লেনদেনে হস্তক্ষেপ করে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকে আগুনের পাহাড়ে উঠিয়ে শাস্তি দেবেন।’
যে সব অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যমূ্যে বৃদ্ধি করে তাদের ব্যাপারে প্রিয় নবি ঘোষণা করেন-
>> ‘যে ব্যক্তি বাজারে পণ্যের অভাবের সময় পণ্য মজুদ করে রাখে সে বড় পাপী।’ (মুসলিম)
>> ‘আমদানিকারক রিজিকপ্রাপ্ত হয়, আর মজুদদার হয় অভিশপ্ত।’
>> ‘বিভ্রান্ত লোকই শুধু মজুদদারী করে।’ (ইবনে মাজাহ)
>> ‘যে মুসলিম সম্প্রদায়ের খাদ্যদ্রব্য চল্লিশ দিন যাবত মজুদ করে রাখবে আল্লাহ তাকে দূরারোগ্য ব্যাধি ও দারিদ্র্য দিয়ে শাস্তি দিবেন।’ (ইবনে মাজাহ)
>> ‘যে ব্যক্তি চল্লিশ রাত পর্যন্ত খাদ্যদ্রব্য মজুদ করবে তার সঙ্গে আল্লাহর কোনো সম্পর্ক থাকবে না।’
>> ‘মূল্যবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন পর্যন্ত খাদ্যশস্য মজুদ রাখে, সে ব্যক্তি আল্লাহর দায়িত্ব থেকে মুক্ত এবং আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট।’ (মিশকাত)
কৃত্রিমভাবে প্রয়োজনীয় এসব দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেয়ার মধ্যে এক শ্রেণির লোক সুখ খুঁজে পায়। অথচ তারা অনুধাবন করে না যে, মানুষকে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়িয়ে কষ্ট দেয়া মারাত্মক গোনাহ।
অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুদদারদের হৃদেয় মানবিক বিষয় এবং গোনাহের উপলব্দি আসে না। না তারা পরকালের ভয়াবহতাকে ভয় করে।
বর্তমানে মানুষের কষ্টকর পরিস্থিতিতে দেশের জনগণ, সরকার ও বিভিন্ন ধর্মীয় ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সভা সেমিনার করে সব অন্যায় ও দুর্নীতি বন্ধের আবেদন ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
পেঁয়াজ ও লবনসহ দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে সমাজের মানুষের উপর আপতিত একটি বিপদ। এ থেকে মুক্তি লাভে রাষ্ট্রীয় কার্যকর ভূমিকার পাশাপাশি মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফারের বিকল্প নেই।
তাই সার্বিকভাবে দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মানুষকে সাধারণ জীবন-যাপনে আশ্বস্ত করতে যেমন অসাধূ ব্যবসায়ী ও মজুদদারদে আত্মোপলব্দি প্রয়োজন। তেমনি রাষ্ট্রেরও প্রয়োজন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ।
কৃত্রিক সংকট ও অনিয়মতান্ত্রিক মজুদদারী যেমন ইসলামে হারাম ও গোনাহের কাজ। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা সব ব্যবসায়ীদের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।
- উত্তেজনার মধ্যেই ইসরাইলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হিজবুল্লাহর
- গাঁজায় মিটবে ডলার সংকট— আশাবাদ পাকিস্তানের
- ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহত বেড়ে ১৪, চালকসহ আটক ২
- প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে
- কুয়েতে নিজস্ব দূতবাসের জন্য প্লট পেল বাংলাদেশ
- ৭১ বছর পর সূর্যের কাছে আসছে এই ধূমকেতু, দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও
- রাখাইনে নতুন করে সংঘাত, পালিয়ে আসা বিজিপির সংখ্যা বাড়ছে
- বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস আজ
- আত্মসর্মপণ করলে কুকিচিনকে পুনর্বাসন করা হবে: র্যাব ডিজি
- দুনিয়ার বিপদ আল্লাহর পরীক্ষা
- হুপিং কাশিতে আক্রান্ত কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- মুলতানি মাটি মাখলে গরমেও ত্বক থাকবে সতেজ
- গরুর মেজবানি মাংস রান্নার সহজ টিপস
- টেক্সট লিখলেই তৈরি হবে ভিডিও
- ‘মুজিবনগরে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে’
- ওমরাহ ভিসার জন্য নতুন আইন চালু করেছে সৌদি আরব
- কৃষি গুচ্ছের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ২২ এপ্রিল
- বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত
- ২১ নাবিক দেশে ফিরবেন জাহাজে, বাকি দুজন বিমানে
- জ্বালানি তেলের দাম ফের বিশ্ববাজারে ৯০ ডলারের নিচে
- শরীয়তপুরে মুজিব নগর দিবস পালিত
- শিবচরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- আবেগে নয়, জাকাত আদায় করতে হবে মাসআলা জেনে
- ঈদ স্পেশাল বোরহানি
- নগরীর আবাসিক হোটেলে অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬
- বরিশালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা
- দীপিকার ছেলে না মেয়ে হবে, জানালেন রণবীর
- ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ
- বঙ্গবাজারে দশতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু শিগগিরই
- ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে
- বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এর সাথে স্বাচিপ নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- হিজলায় জালের দোকান ও গোডাউনে অভিযান, কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ
- বরিশালকে সর্বোচ্চ পেনশন স্কিমের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- গৌরনদীতে দুই ফল ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- এ বছর ফিতরার হার নির্ধারণ
- নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল রাখতে কাজ করতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- বরিশালে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট অভিযানে অর্থদণ্ড
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- ইফতার পার্টি না করে নিম্ন আয়ের মানুষকে সহযোগিতা করুন
- প্রথমবারের মত ইমাম ও এতিম হাফেজদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ
- সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বরিশালে আট কেজি গাঁজাসহ দুই ভাই গ্রেপ্তার
- বরিশালে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে অলোচনা সভা
- বানারীপাড়ায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ