• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

থাকুন রোগমুক্ত, শীতকে করুন উপভোগ্য

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০১৯  

শীতের শুরু।কথাটা অনেক সাধারণ একটি কথা।নতুন ঋতু আসছে।পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে নতুন ঋতু।

পরিবেশের ওপর সর্বোপরি যে প্রভাব ফেলে এই ঋতু। তার ফলে আমাদের স্বাস্থ্যর উপর কিছুটা প্রভাব তো পড়বেই।এজন্য এই ঋতু পরিবর্তনের সময় সতর্ক থাকতে হয়,না হলে নানা বিধ রোগ দেখা দিতে পারে।

শীতকালে যে দুইটি বিষয় রোগের নিয়ামক তা হলো পরিবেশের তাপমাত্রা এবং বাতাসের আদ্রতা কমে আসা।তাপমাত্রা কমে আসার ফলে আমরা শীত শীত অনুভব করি, আর আদ্রতার বিভিন্ন প্রভাবে ঠোট ফাটা এরকম কিছু সাধারণ সমস্যা শীতকালে দেখা দেয়।

শীতকালে সবথেকে বেশি যত্ন নেবার প্রয়োজন পড়ে শিশুদের।কারন শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে যুবক দের থেকে। একই ভাবে বৃদ্ধ দের ক্ষেত্রেও এমন হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে।

**শিশুদের সমস্যাঃ
শীতে শিশুরা ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ এবং ভাইরাস জনিত রোগ উভয় ই আক্রান্ত হতে পারে।এদের মধ্যে নিউমোনিয়া খুব ই প্রকট। এটি স্ট্রেপটোকক্কাস নাকম ব্যাকটেরিয়া দিয়ে হয় এই ব্যাকটেরিয়া কোনো কোনো বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্রেইন এর মেনিনজেস এর প্রদাহ করতে পারে।যা মেনিনজাইটিস নামে পরিচিত।

এজন্য শীত থেকে শিশুকে আগলে রাখুন  বিশেষ করে কয়েক সপ্তাহ বয়স যেসব বাচ্চাদের তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।

স্কুলে যায় এমন বাচ্চাদের শীতের কাপড় দিয়ে বাইরে পাঠান।ফ্লু জাতীয় রোগ স্কুলের বাচ্চাদের বেশি হয় কারণ এটি স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।তাই খুশ খুশে কাশি হলে ফার্মেসী থেকে সিরাপ কিনে খাইয়ে রেখে দিলেন, কাশি কমলে মনে করলেন সেরে গেছে এমন করবেন না।একজন এম বি বি এস ডাক্তারের নিকট নিয়ে যান তাহলে কোনো ক্ষতির আশংকা থাকে না।

যেসকল বাচ্চাদের নাকে পলিপস আছে,  কোল্ড এলার্জি আছে,কানে সমস্যা আছে।এদের শীত মৌসুমে বেশি দেখভালের প্রয়োজন হয়।ঠান্ডার প্রভাবে কানের পূর্ববর্তী সমস্যা নতুন করে হতে পারে কানে ব্যাথা হতে পারে ভয় পাবেন না, নাক কান গলার বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে তার পরামর্শ মেনে চলবেন।

যাদের পূর্বে নিউমোনিউয়া হয়েছিল বা ফুসফুস জনিত রোগ হয়েছিল তারা ডক্তারের নিয়মিত মনিটরিং এ থাকুন।

**বড়দের সমস্যাঃ
বড়দের শীতকালে ছোটদের মতন এতো সমস্যা দেখা না দিলেও কিছু সমস্যা থাকে।ঋতু পরিবর্তনের জন্য ভাইরাস জ্বর হতে পারে। সাধারণত ভাইরাস জ্বর আপনা আপনিই সেরে যায়।তবে চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারেন।

শীতকালে বড়দের যে সমস্যা সর্বক্ষেত্রে সমস্যা করে তা হলো নাক অফ হয়ে থাকা এজন্য সাইনাসে ফ্লুইড জমে মাথা ভারী হয়ে থাকা।এটি কর্মক্ষেত্রে সমস্যা করে মনোযোগ বিঘ্ন করে।

অনেক রোগী দেখা যায় এসে অভিযোগ করেন যে আমি ফার্মেসী থেকে ওমুক স্প্রে নিয়েছিলাম কিন্তু কিছুদিন খুব ভালো কাজ করার পর এটি আর ভালো কাজ করছে না তাছাড়া ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।মাথায় একটু হ্যাংওভার ভাব করছে।এর কারণ হচ্ছে এই ধরণের ন্যাসাল স্প্রে গুলো স্টেরয়েড জাতীয় হয় এগুলো খুব দ্রুত কাজ করে তবে এগুলোর আস্তে আস্তে কর্মদক্ষতা কমে আসে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করে।তাই চিকিৎসক এর নিকট গিয়ে আপনার সঠিক চিকিৎসা নিন।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি পানি গরম করে গরম বাস্প নাক দিয়ে টেনে নিয়ে নাকের জড়তা কাটাতে পারবেন।এটি অনেক সহজ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন তবে এটির কার্যকারিতা বেশি সময় ধরে থাকে না।গরম চা কফি খেয়েও একই রকম ফল পাওয়া যায়।

যারা কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনে বাইক চালান তারা বুকে যাতে অনেকক্ষন বাতাস না লাগে খেয়াল রাখবেন এতে অনেক ঠান্ডা লেগে জ্বর এবং ফ্লু জাতীয় রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

**বৃদ্ধদের জন্য করণীয়ঃ
বৃদ্ধদের সমস্যা হলো তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় তারা অল্পতেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।শীতের সময় বৃদ্ধদের নিউমোনিউয়া,পালমোনারি ইফিউশন এধরনের ফুসফুস জনিত রোগ বেড়ে যায়।
তাই তাদের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।

এসব ছাড়াও সৌন্দর্য প্রেমীদের জন্য শীতকাল কষ্টের ।কারণ ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে শীতকালে কাঠখড় পোড়াতে হয় অনেক।এর কারণ হলো বাতাসের আদ্রতার ঘাটতি।

শীতকালে এরকম কিছু নিয়ম মেনে চললে রোগমুক্তভাবে আপনি শীতকাল উপভোগ করতে পারবেন।আপনার রোগমুক্ত শীতের সঙ্গী হোক বরিশাল প্রতিবেদন।