• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জিন জাতি সম্পর্কে বিস্ময়কর তথ্য

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০১৯  

 

প্রাচীনকাল থেকেই জিন জাতি সম্পর্কে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মাঝে নানা রকম মিথ প্রচলিত আছে। বিজ্ঞান এখনও জিনের অস্তিত্বের প্রমাণ আবিষ্কারে সক্ষম হয়নি। হতে পারে জিন জাতি এমন কোন সূক্ষাতি সুক্ষ তরঙ্গ, যাদেরকে কোন যন্ত্রপাতি দ্বারা দেখা সম্ভব না, অনেক তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যেমন অবলোহিত, মাইক্রো ওয়েভ, X-Ray, গামা রশ্মি আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না। আরবি জিন (جن) শব্দের অর্থও এমন কোন কিছু যা গুপ্ত, অদৃশ্য, অন্তরালে বসবাসকারী। 

ইসলামি বিশ্বাস মতে, জিন জাতি মানুষের ন্যায় আল্লাহর সৃষ্ট আরেকটি জাতি, যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে মানুষকে পাঠানোর পূর্ব পাঠিয়েছিলেন এবং এখনও তাদের অস্তিত্ব রয়েছে। সাধারণত মানুষের চোখে তারা দৃষ্টিগ্রাহ্য নয়। কিন্তু, তারা মানুষদেরকে দেখতে পায়। তাদের মধ্যেও মুসলিম এবং কাফির, নেককার এবং বদকার উভয়প্রকারই রয়েছে। মুহাম্মাদ (সা.) জিন ও মানব উভয়জাতির নবি হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। সুলাইমান (আ.) এর সেনাদলে জিনদের অংশগ্রহণ ছিল বলে কুরআনে উল্লেখ আছে। আর ‘ইবলিস’ তথা শয়তান প্রকৃতপক্ষে জিন জাতির একজন ছিল। 

জিনদের সৃষ্টি উপাদান

জিনদের সৃষ্টি করা হয়েছে ধোঁয়াবিহীন আগুন হতে। কুরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তিনি জিনকে সৃষ্টি করেছেন আগুনের শিখা দিয়ে।’ [সুরা আর-রহমান : ১৫]। অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি এর আগে জিনকে সৃষ্টি করেছি প্রখর আগুন দিয়ে।’ [সুরা আল-হিজর : ২৭]  

আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ফেরেশতারা নুর থেকে তৈরি, জিনেরা আগুনের স্ফুলিংগ থেকে, আর আদমকে যেভাবে (মাটি থেকে) সৃষ্টি করা হয়েছে তার বর্ণনা তো পবিত্র কুরআনে রয়েছেই।’ [মুসলিম, আসসাহিহ : ৭১৩৪] 

জিনদের প্রকারভেদ

লিঙ্গ হিসেবে জিন জাতি মানুষের মত নারী ও পুরুষ, ঈমানের দিক থেকে মুমিন ও কাফির, আমলের দিক থেকে নেককার ও বদকার হয়ে থাকে। কাফির ও বদকার জিনের মধ্যে চারপ্রকারের নাম কুরআন-হাদিসে এসেছে— ১. ইবলিস : এই জিন আদমকে সিজদা করতে অস্বীকার করে জান্নাত থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিল। জান্নাতে থাকাকালে আদমকে আল্লাহর আদেশ অমান্য করতে প্ররোচিত করেছিল এবং পৃথিবীতেও সে মানুষদেরকে পথভ্রষ্ট করে। ২. খানজাব : এই জিন নামাজরত মানুষের মনে নানারকম চিন্তা ঢুকিয়ে নামাজ থেকে অমনোযোগী ও উদাসীন করে তুলে। ৩. ওলহান : এরা হচ্ছে একপ্রকার শয়তান জিন, যারা মানুষকে ওযুর সময় ওয়াসওয়াসা দেয়। ৪. কারিন : কারিন অর্থ সঙ্গী। প্রত্যেক মানুষের সাথেই এই প্রকার জিন লেগে থাকে, সঙ্গী হিসেবে। এরা সবসময় বান্দার অন্তরে খারাপ চিন্তা ঢুকিয়ে দিয়ে পাপ কাজ করতে উৎসাহিত করে।

গঠন অনুযায়ী জিন তিন প্রকার হয়ে থাকে। এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন ধরনের জিন আছে—এক প্রকারের জিন পাখার মাধ্যমে বাতাসে ওড়ে, এক প্রকারের জিন সাপ এবং মাকড়শার আকারে থাকে, শেষ প্রকারের জিনরা সাধারণভাবে থাকে এবং চলাচল করে।’ [হাকিম, আলমুসতাদরাক : ৩৭০২] 

জিনদের বাসস্থান

গহীন জঙ্গলে, গভীর সমুদ্রে বা মানুষের পরিত্যক্ত স্থানগুলোতে জিনরা থাকতে পছন্দ করে। তবে কিছু জিন লোকালয়ে থাকে, যা আমরা আগেও উল্লেখ করেছি। হাদিস থেকে জানা যায়, জিনরা নোংরা ও গন্ধময় জায়গায় থাকতে পছন্দ করে, যেখানে মানুষেরা ময়লা এবং খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ ফেলে রাখে। টয়লেট এবং প্রস্রাবের জায়গাগুলো জিনদের অবাধ বিচরণ কেন্দ্র। তাই এসব জায়গায় প্রবেশের পূর্বে দুয়া পড়তে হয়, দুষ্টু জিন থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হয়। দুয়াটি হলো : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাবায়িস। অর্থাৎ ‘আমি আল্লাহর কাছে পুরুষ এবং মহিলা জিন-শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’

জিনদের খাবার-দাবার

মানুষের মতো জিন জাতিও খাবার গ্রহণ করে। মানুষের উচ্ছিষ্ট খাবার জিনদের জন্য আল্লাহর রহমতে নতুন খাবার হয়ে যায়। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হাড় এবং গোবর জিনদের খাবার। জিনদের একটি দল আমার সাথে দেখা করতে আসে। কত বিনয়ী ছিল তারা। তারা আমার কাছে মানুষের খাবারের উচ্ছিষ্ট সম্পর্কে জানতে চায়। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, যেন তারা এমন কোন হাড় কিংবা গোবর অতিক্রম না করে, যা তাঁদের জন্য খাবার না হয়ে যাবে।’ [বুখারি, আসসাহিহ : ৩৫৭১] 

জিনদের উৎপাত যখন বেড়ে যায়

সন্ধ্যেবেলা দুষ্ট জিনদের উৎপাত বেড়ে যায়। এ জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন রাত নামে (সন্ধ্যার শুরুতে) তোমাদের সন্তানদের ঘরের বাইরে যেতে বারণ করো। কারণ দুষ্টু জিন (শয়তান) এই সময়ে বের হয়। অবশ্য কিছু সময় পার হলে সন্তানদের যেতে দিও। তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে ঘরের দরজাগুলো বন্ধ করো। কারণ শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না। তারপর আল্লাহর নাম নিয়ে পানির পাত্রের মুখ বন্ধ কর। এরপরে আল্লাহর নাম নিয়ে খাবারের পাত্রগুলো ঢেকে রাখো। যদি ঢেকে রাখার কিছু না পাওয়া যায়, তবে অন্তত অন্য কিছু উপরে কিছু দিয়ে রাখো। আর রাতে শোবার সময় বাতি নিভিয়ে শুতে যেও।’ [বুখারী, মুসলিম]

কে শ্রেষ্ঠ, জিন না মানুষ?

মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। মর্যাদায় জিনদের চেয়ে মানুষ শ্রেষ্ঠ। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, আমি তাদের স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদের উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদের অনেক সৃষ্ট বস্তুর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।’ [সুরা ইসরা : ৭০] 

অথচ কিছু মানুষ নিজের মর্যাদা না বোঝার কারণে বিভিন্ন বিষয়ে জিনদের সহায়তা চায়। এতে করে নিজেকে যেমন অপমানিত করা হয়, মানুষ এবং জিন উভয়ের স্রষ্টা আল্লাহকেও অপমানিত করা হয়। অপরদিকে এতে জিনেরাও অহঙ্কারে ফেটে পড়ে। কুরআনে এসেছে, ‘আর এই যে মানুষের মধ্যে কিছু লোক জিন জাতির কিছু লোকের আশ্রয় নিত, ফলে ওরা তাদের আত্মম্ভরিতা বাড়িয়ে দিত।’ [সুরা জিন : ৬] 

জিনদের আকার-আকৃতি

জিনেরা বিভিন্ন আকার-আকৃতি ধারণ করতে পারে। মানুষ, সাপ, কুকুর বা অন্য যে কোনো প্রাণীর রূপ ধারণ করতে পারে। এ ক্ষমতা আল্লাহই তাদের দিয়েছেন। মানুষের বেশ ধারণ করে বাইতুল মালের মাল চুরি করতে এসেছিল জিন-শয়তান। বদরের যুদ্ধের সময় বনু কিনানার গোত্রপ্রধান সুরাকার রূপ ধারণ করে মক্কার মুশরিকদের মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্ররোচনা দিয়েছিল। সাপ বা কুকুরের রূপ ধারণ করার ব্যাপারে সহিহ মুসলিমে হাদিস বর্ণিত হয়েছে। 

জিনদের ওপর উল্কাপিণ্ড নিক্ষেপ

জিনেরা আগেকার দিনে আসমানে ঘাপটি মেরে থাকত আসমানি ফায়সালা শোনার জন্য। যখন আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের কোনো আদেশ করতেন, ফেরেশতারা একে অপরের কাছে পৌঁছে দিতেন, তখন জিনেরা সেখান থেকে টুকরো টুকরো কিছু কথা শুনে ফেলত এবং সেগুলোর সাথে আরও সত্যমিথ্যা যোগ করে তাদের সহযোগী বন্ধু গনকদের কাছে এসে বলে দিত। আর গনকরা সেগুলো মানুষকে বলে চমকে দিত। 

যখন মুহাম্মদ (সা.) নবুয়তপ্রাপ্ত হন, তখন জিনেরা এভাবে সংবাদ সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়। আকাশের সংবাদ শুনতে আঁড়ি পাতলেই তাদের উল্কা নিক্ষেপ করা হয়। হঠাৎ করে এরকম পরিবর্তনে জিনেরা হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। কী এমন ঘটনা ঘটল পৃথিবীতে খোঁজ নেয়ার জন্য তারা পৃথিবীর দিকদিগন্তে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে জিনদের একটি দল নাখলা নামক জায়গায় এসে আশ্চর্য জিনিস শুনতে পায়। নবিজি (সা.) তখন সাহাবাদের নিয়ে ফজরের নামাজ পড়ছিলেন। নবিজির তিলাওয়াত শুনে তারা বুঝতে পারে, কীসের জন্য এত আয়োজন। এরপর তারা ইসলাম গ্রহণ করে নিজ সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে যায়। 

জিন কি মানুষের ওপর ভর করতে পারে?

জিন মানুষের ওপর ভর করতে পারে। আরবিতে এটাকে ‘সিহর’ বলে। মূলত তান্ত্রিক কবিরাজ ও গনকেরা কাজের ক্ষেত্রে দুষ্টু জিনদের ওপরই নির্ভর করে। ভাড়াটে খুনিদের মতো এই জিনেরা কবিরাজদের পক্ষ হয়ে কাজ সমাধা করে। কোনো জিন মানুষের ওপর সওয়ার হলে তখন ওই মানুষটা নিজের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় এবং সাময়িক স্মৃতি বিভ্রম ঘটে। আল্লাহ তায়ালা বলছেন, 

‘যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দণ্ডায়মান হবে, যেভাবে দণ্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আছর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়।’ [সুরা বাকারা, ২ : ২৭৫]

এই আয়াত দিয়ে ইমাম কুরতুবি, তাবারি, ইবনু কাসিরসহ অধিকাংশ তাফসিরবিদ মানুষের ওপর জিনের আছর করার দলিল হিসেবে পেশ করেছেন। 

আর রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘শয়তান আদম সন্তানের শরীরে রক্তের ন্যায় প্রবাহিত হয়।’ [বুখারি, মুসলিম] 

একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) এক অসুস্থ বালককে দেখতে গিয়েছিলেন, যার ওপর জিনের আছর ছিল। রাসুল (সা.) ছেলেটির দিকে ফিরে জোরে বলেন, ‘ও আল্লাহর শত্রু, বের হয়ে আসো। ও আল্লাহর শত্রু, বের হয়ে আসো।’ ফলে ছেলেটি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। [ইবনু মাজাহ, আহমদ]

এছাড়াও অনেক সাহাবি থেকে হাদিস বর্ণিত হয়েছে, যেখানে রাসুল (সা.) জিনের আছরগ্রস্ত রোগীর ওপরে দুয়া করে সিহর মুক্ত করেছেন। 

জিন কেন মানুষের ওপর ভর করে?

১. আকর্ষণে : অনেক সময় কোনো জিন (পুরুষ/মহিলা) কোনো মানব-মানবীর প্রতি আকর্ষণ থেকে তাদের ওপর আছর করতে পারে। 

২. রাগে : জ্ঞাত অথবা অজ্ঞাত কোনো কারণে জিনেরা কষ্ট পেলে রেগে গিয়ে কষ্ট দানকারী ব্যক্তির ওপর আছর করতে পারে। যেমন কেউ জিনদের বসবাসের জায়গায় গরম পানি ফেললে, কোনো কিছু নিক্ষেপ করলে, তাদের খাবার নষ্ট করলে কিংবা তারা যখন কোনো প্রাণীর আকার ধারণ করে মানবসমাজে প্রকাশিত হয় তখন তাদের কষ্ট দিলে জিনেরা রেগে গিয়ে ওই ব্যক্তির ওপর আক্রমণ করে। 

৩. অনিষ্টের জন্য : মানুষের প্রচণ্ড রাগের সময়, ভয়ের সময় ও কোনো কিছু পাবার তীব্র আকাঙ্ক্ষার সময় জিন-শয়তান মানুষের ওপর আক্রমণ করে। এসব অবস্থায় আমাদের ইসতিগফার ও আযকার পাঠ করা উচিত। আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া উচিত। 

৪. জাদুকরের নির্দেশে : প্রায় প্রতিটি জাদুকর বা তান্ত্রিকেরই কিছু পোষ্য জিন থাকে। যাদের সে নানাভাবে নিজের বশীভূত রাখে। তাদের দিয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করে। টাকার বিনিময়ে এইসব জিনদের লেলিয়ে দেয় কোনো মানুষের ওপর।