• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা

ঘরের কাজে সহযোগিতা করা সুন্নত

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮  

ক্তিজীবনে রাসুল (সা.) একজন সাধারণ মানুষের মতোই ছিলেন। অবসর সময়ে তিনি পারিবারিক কাজে অংশগ্রহণ করতেন। নিজের কাজ নিজেই করতেন। আসওয়াদ (রা.) বলেন, আমি একবার আয়েশা (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসুল (সা.) ঘরের মধ্যে কী কাজ করতেন? উত্তরে তিনি বললেন, তিনি ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকতেন, অর্থাৎ গৃহস্থালি কাজে পরিবার-পরিজনের সহযোগিতায় থাকতেন। যখন নামাজের সময় হতো তখন নামাজে চলে যেতেন। (বুখারি, হাদিস নং : ৬৭৬)

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও রাসুল (সা.) কতটা নমনীয় ছিলেন এবং অতি সাধারণ কাজও নিজ হাতে করেছেন। বিভিন্ন হাদিসে সেগুলোর বিস্তর ধারণা ও বিবরণ পাওয়া যায়। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে আছে, তিনি অন্যান্য মানুষের মতোই একজন ছিলেন। নিজের কাপড়ের উকুন পরিষ্কার করতেন, বকরির দুধ দোহন করতেন এবং নিজের কাজ নিজেই করতেন। (মুসনাদ আহমদ, হাদিস নং : ২৬১৯৪)

আয়েশা (রা.) অন্য বর্ণনায় বলেন, তিনি নিজের কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। নিজের জুতা নিজেই মেরামত করতেন এবং সাধারণ মানুষের মতোই ঘরের কাজকর্ম করতেন। (তিরমিজি, হাদিস নং : ২৪৫৮৯)

পরিবারের প্রতিটি কাজই নিজেদের কাজ। কাজগুলো ভাগাভাগি করে করলে একদিকে যেমন পরিবারের সবার ভেতরে শৃঙ্খলা ও ভালোবাসা বজায় থাকবে, তেমনি আমাদের সমাজ-সংসার থেকে বিলুপ্ত হতে যাওয়া রাসুল (সা.)-এর একটি মহৎ সুন্নতও পালন হবে। উপরন্তযু সুন্নতের নিয়তে পরিবারে যেকোনো ধরনের কাজ করলে, সার্বক্ষণিক সওয়াব লিপিবদ্ধ হতে থাকে। বর্ণনা রয়েছে, যে ব্যক্তি উম্মতের অধঃপতনের সময় একটি সুন্নতকে আঁকড়ে ধরে সে ১০০ শহিদের সওয়াব পাবে। (আল-কামেল : ৩/১৭৪)

হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি মুসলমানদের মধ্যে কোনো একটি ভালো সুন্নতের প্রসার করবে, সে ওই আমলকারীদের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে, এ ক্ষেত্রে আমলকারীদের সাওয়াব বিন্দু পরিমাণও কমানো হবে না। আর যে ব্যক্তি মুসলমানদের মধ্যে কোনো একটি খারাপ কাজের প্রসার করবে, সে-ও ওই কুকর্মে জড়িতদের সমপরিমাণ গুনাহের অংশীদার হবে, এ ক্ষেত্রেও অপকর্মে লিপ্তদের গুনা বিন্দু পরিমাণ কমানো হবে না। (মুসলিম, হাদিস নং : ১০১৭)

দেশের প্রতিটি নাগরিক যদি রাসুল (সা.) এর বিভিন্ন সুন্নতের দিকে অনুপ্রাণিত হতেন, তাহলে পৃথিবীটা আরও অনেক সুন্দর ও উপভোগ্য হতো।