• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

গান-বাজনার সয়লাব : কিয়ামতের আলামত

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০১৯  

 

আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবিজি (সা.) বলেছেন, ‘শেষ যুগে এই উম্মতের এক সম্প্রদায়কে বানর ও শূকরে বিকৃত করে দেওয়া হবে।’
সাহাবিরা বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, তারা কি আল্লাহ এক ও মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল হওয়ার সাক্ষ্য দেয় না?’
নবিজি (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ তারা রোজা রাখে, নামাজ পড়ে এবং হজও আদায় করে।’ 
সাহাবিরা বললেন, ‘তাহলে তাদের অপরাধ কী?’
নবিজি (সা.) বললেন, ‘তারা ঢাকঢোল, বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা মহিলা বরণ করবে। এই লোকগুলো আমোদ-প্রমোদ ও মদ্যপানে মত্ত অবস্থায় রাত কাটাবে। সকালে দেখা যাবে, তাদের বানর ও শূকরে বিকৃত করে দেওয়া হয়েছে।’ [আসবাহানি, হিলয়াতুল আউলিয়া : ৩/১১৯-১২০] 

সাহল বিন সা'দ (রা.) থেকে বর্ণিত। নবিজি (সা.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মাঝে ধ্বংস, পাথরবৃষ্টি এবং চেহারা বিকৃতকরণ শাস্তি আসবে।’
সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘হে রাসুল! কবে এই আজাব আসবে?’
নবিজি (সা.) বললেন, ‘যখন বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা মহিলাদের খুব বিস্তার ঘটবে আর মদকে হালাল মনে করা হবে।’ [তাবারানি, আলমুজামুল কাবির : ৬/১৫০; তিরমিযি, আসসুনান : ২২১৩; সনদ হাসান] 

আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন কেউ উচ্চস্বরে গান ধরে, আল্লাহ তায়ালা তার কাছে দুইটা শয়তান পাঠান, যারা তার দুই কাঁধে বসে সে গান থেকে বিরত হওয়া পর্যন্ত তার বুকে আঘাত করতে থাকে।’ [ইবনু হাযম, আলমুহাল্লা : ৯/৫৮] 

ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রহ.) বলেছেন, ‘গান হলো অন্তরের মাদক।’ 

‘আর মানুষের মধ্যে থেকে কেউ কেউ অজ্ঞতাবশত আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ‘বেহুদা কথা’ ক্রয় করে, আর তারা সেগুলো নিয়ে হাসি-ঠাট্টায়  লিপ্ত হয়। তাদের জন্য রয়েছে লজ্জাজনক আযাব। [সুরা লুকমান, ৩১ : ৬] 

এ আয়াত দ্বারা কী উদ্দেশ্য সে বিষয়ে সাহাবিদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত তাফসিরকার আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এটা গান-বাজনা এবং এ জাতীয় কিছুকেই বুঝায়।’ 

আরেক প্রসিদ্ধ সাহাবি ইবনু মাসউদ (রা.) তো আরও জোরালো ভাষায় বলেছেন, ‘আমি সেই সত্তার কসম করে বলছি, যাকে ছাড়া কোন কল্যাণ নেই, এখানে গানের কথা বলা হয়েছে।’ 

যারা গান গায় এবং গান শুনে তাদের উভয়ের জন্য এই আয়াতে রয়েছে চরম ধমকি। তাদের জন্য আছে অবমাননাকর শাস্তি।