• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী

এক শরীরের দুই বোনের একজন অঙ্ক অন্যজন ইংরেজি পড়ান(ভিডিও)

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

প্রসব বেদনায় তখন কাতরাচ্ছি। জানতাম এখনই আমার ডেলিভারি হবে। আমি মা হব। সত্যিই আমার গর্ভ থেকে সন্তান জন্ম নিলো। তবে একটি নয় দু’টি। এ খবর পেয়ে আমি তো খুশিতে আত্মহারা।

 

অ্যাবি ও ব্রিটেনি

অ্যাবি ও ব্রিটেনি

অতঃপর নার্স জানালেন আপনার দুই কন্যা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছে। তাদেরকে পৃথক করা গেলেও একজনের প্রাণ সংশয় রয়েছে। কথাগুলো বলছিলেন জমজ দুই কন্যার মা পেটি হেনসেল। ১৯৯০ সালের ৭ মার্চ জার্মানির মিনেসোটায় জন্ম হয় পেটি হেনসেলের দুই কন্যার।

 

তারা দুই বোন

তারা দুই বোন

তিনি সন্তানদেরকে ১০ মাস গর্ভে ধারণ করেছেন। কীভাবে এক সন্তানকে বাঁচিয়ে আরেকজনকে মারতে পারেন এই মা? পেটি তখন চিকিৎসককে জানিয়েছিলেন, আমি এভাবে কন্যাদ্বয়কে বড় করে তুলব। অতঃপর মা হিসেবে জীবনযুদ্ধ চলতে থাকে পেটির। সমাজের নানা মন্দ কথা শুনেও কখনো কানে তুলেননি তিনি। দুই কন্যাকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলেছেন তিনি। আজ তারাই শিক্ষক। একজন পড়ান গণিত, আরেকজন ইংরেজি। 

 

বাইকও চালাতে পারেন তারা

বাইকও চালাতে পারেন তারা

বলছি, সংযুক্ত দুই কন্যা অ্যাবি ও ব্রিটেনি হেনসেলের কথা। তারা দু’জনই সংযুক্ত। তবে তাদের দুইটি মাথা ও ঘাড় আলাদা। দুই পায়ে ভর করে চলেন এই দুই বোন। এমনকি তাদের হাতও দুটি। ৩০ বছর বয়সী এই বেনেরা এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়েও ফেলেছেন। তারা নিজেরাই আজ স্বাবলম্বী। চালাতে পারেন গাড়িও। তারা আজ সবার কাছেই দৃষ্টান্তস্বরূপ। অসম্ভবকে তারা জয় করেছেন। 

 

একজন আরেকজনকে সাজিয়ে দিচ্ছেন

একজন আরেকজনকে সাজিয়ে দিচ্ছেন

অ্যাবি ও ব্রিটেনির মতো সংযুক্তদের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী অনেক কমই রয়েছেন। ৫০ হাজারের মধ্যে মাত্র একজন এমনভাবে জন্মাতে পারে। এদের মধ্যে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ সংযুক্তারা বাঁচলেও অন্তত ৩৫ শতাংশই জন্মের পরপরই মারা যায়। তারা মূলত ডিসেফুলাস টুইনস। তাদের মাথা, ঘাড়, হৃৎপিণ্ড, পিত্তথলি এবং পাকস্থলী আলাদা। অন্যদিকে, তাদের তিনটি ফুসফুস রয়েছে। সেইসঙ্গে দুইটি কিডনি ও একটি করে লিভার, জরায়ু, ডিম্বশয়, যৌনাঙ্গ ও মূত্রাশয় রয়েছে এই জমজদের। জন্মের সময় তারা মোট তিনটি হাত নিয়ে জন্মেছিলেন। তবে সেটি তারা সেভাবে ব্যবহার করতে পারত না। এজন্যই তা পরবর্তীতে কেটে ফেলা হয়েছে। 

 

মায়ের কোলে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন দুই বোন

মায়ের কোলে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন দুই বোন

বর্তমানে তাদের বয়স ৩০ বছর। তারা স্বাবলম্বী, নিজেদের সব কাজই তারা করতে সক্ষম। লিখতে, পোশাক পরতে, বাইক চালাতে, কি-বোর্ডে লিখতে, পিয়ানো বাজাতে এমনকি হাঁটতেও সক্ষম তারা। তবে ঘুমানোর সময় কাত হয়ে শোয়ার কোনো সুযোগ নেই তাদের। এজন্য ঠিকভাবে ঘুমাতে পারেন না দুই বোন। অ্যাবি ও ব্রিটেনি একে অন্যকে সাজিয়েও দেন। 

 

গাড়ি চালাচ্ছেন অ্যাবি ও ব্রিটেনি

গাড়ি চালাচ্ছেন অ্যাবি ও ব্রিটেনি

এই জমজ বোনদের মা পেটি জানান, তাদের দু’জনের চাহিদা কিংবা শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাও ভিন্ন হয়ে থাকে। এই ধরুন, অ্যাবির সর্দি-জ্বর হলো কিন্তু ব্রিটেনি ঠিক সুস্থই রইল। আবার ব্রিটেনির পেটে ব্যথা করলে তখন অ্যাবি আবার সুস্থ। এভাবেই তারা একে অন্যের চেয়ে মানসিকভাবে আলাদা। তাদের খাবারের চাহিদাও ভিন্ন। কেউ এখন খাচ্ছে তো আরেকজন পরে, আবার কারো ঘুম পাচ্ছে তো আরেকজন পড়ছে! এমনই ঘটে তাদের সঙ্গে।

 

স্কুলে পড়াচ্ছেন তারা

স্কুলে পড়াচ্ছেন তারা

অ্যাবি অবশ্য ব্রিটেনির চেয়ে উচ্চতায় লম্বা। এজন্যই পোশাকেও তাদের দু’জনের মাপ আলাদা হয়ে থাকে। ঠিক একইভাবে জুতার মাপও আলাদা। এজন্য অ্যাবি ফ্ল্যাট জুতা পরলেও ব্রিটেনিকে অন্য পায়ে পরতে হয় হিল জুতা। এভাবেই মানিয়ে গুছিয়ে চলেন তারা। ছাত্রী হিসেবেও তারা একে অন্যের চেয়ে আলাদা।

 

ছাত্রদের পড়াচ্ছেন তারা

ছাত্রদের পড়াচ্ছেন তারা

অ্যাবি বরাবরই গণিত পছন্দ করেন। অন্যদিকে, ব্রিটেনির পছন্দ ইংরেজি। তাই তারা দু’জনই ভিন্ন বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন। এমনকি তারা দু’জনেই একটি স্কুলে দুই বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষার সময় তারা দুই হাত দিয়ে দুইজন ভিন্ন বিষয় লিখতেন। এভাবেই তারা ভালো নম্বর অর্জন করে আজকের এই অবস্থানে এসেছেন।