• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

এই দ্বীপে একটা কিছু আছে!

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

হোমো স্যাপিয়েন্স বলতে আমরা আমাদেরই বুঝি। তবে হোমো ফ্লোরেসিয়েন্সিস নামেও একটা প্রজাতি আছে। মানুষই ওরা। পার্থক্যটা আকারে। ফ্লোরেসিয়েন্সিসরা আকারে খাটো। ঠিক বামন নয়, তবে আকারে এক মিটারের একটু বেশি হয়।

২০০৪ সালে প্রথম ওদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে পারেন ভূতাত্ত্বিকরা। ইন্দোনেশিয়ার লিয়াং বুয়া নামের একটি গুহায় পাওয়া যায় তাদের দশখানা কঙ্কাল। সবার সাইজই মোটামুটি এক। এক দশমিক এক মিটার। ফ্লোরেস দ্বীপের বাসিন্দা ছিল ওরা। বাস করত আজ থেকে এক লাখ ৯০ হাজার থেকে ৫০ হাজার বছর আগ পর্যন্ত। এখন যাদের পিগমি মানব বলে ডাকা হয়, তাদের চেয়েও ছোট ওরা। তাই আক্ষরিক অর্থেই বলা যায়, ওরা ছিল সত্যিকারের ‘হবিট’।

প্রথম দিকে ঘটনাটাকে স্রেফ জিনের খেলা বলেই চালিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেল, ৭০ হাজার বছরে দুই দফায় এই ফ্লোরেস দ্বীপে বসতি গেড়েছিল মানুষ। একই সময়ে ইন্দোনেশিয়ার আশপাশের অন্য দ্বীপগুলোতেও ছিল বসতি। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে বেঁটে হয়ে গেছে শুধু ফ্লোরেস দ্বীপের বাসিন্দারাই। এমনকি শুধু মানুষ হলেও কথা ছিল, আকারে খাটো হয়ে গেছে বাদবাকি স্তন্যপায়ীরাও। ফ্লোরেস দ্বীপের একটি হাতির ওজন গড়পড়তা অন্য হাতির চেয়ে ১৮ ভাগের এক ভাগ! এখানকার একটি প্রাপ্তবয়স্ক হাতির উচ্চতা বড়জোর একজন স্বাভাবিক মানুষের কাঁধ পর্যন্ত হয়! অর্থাৎ এখানে মানুষের জিনের কোনো ভূমিকা নেই, আছে দ্বীপের কোনো নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের।

তার পরও ২০১৩ সালে একবার এখানকার একটি গ্রামের মানুষদের ডিএনএ নিয়ে গবেষণা চালানো হয়েছিল। তাতেও দেখা গিয়েছিল, সেখানকার অপেক্ষাকৃত বেঁটে মানুষরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাধারণ মানুষদের ডিএনএর বৈশিষ্ট্য নিয়েই বেড়ে উঠেছে। অস্বাভাবিক কিছু নেই। আর তাই অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডের গবেষক পিটার ভিশারসহ আরো অনেক গবেষক জানালেন, সরাসরি একটি-দুটি জিন জড়িত না থাকলেও দ্বীপের সামগ্রিক পরিবেশ এখানে ডিএনএর কাজ করেছে। হতে পারে, ফ্লোরেস দ্বীপের খাবারের সংকটও এর জন্য দায়ী। যার কারণে কম খেতে খেতে এখানকার প্রাণীদের শরীর নিজেদের কম খাবারের সঙ্গে একটা বোঝাপড়ায় চলে এসেছে। আবার কেউ তো বলছেন, আস্ত দ্বীপটাই এখানকার প্রাণীদের এমন এক আবহে আটকে রেখেছে যে কেউ তার বলয় থেকে মুক্তি পাচ্ছে না!