আবার ফিরে আসছে সুস্বাদু ‘গুলশা টেংরা’
বরিশাল প্রতিবেদন
প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২০
নতুন প্রজন্মের কাছে ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ কথাটি আজ আর তাৎপর্যপূর্ণ নয়। তারা অনেকেই জানে না মিঠাপানির সুস্বাদু সব মাছের নামধাম। প্রাকৃতিক জলাশয় কমে যাওয়া এরই মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে অনেক প্রজাতির মাছ। আর কিছু মাছ ফিরে এসেছে চাষের বদৌলতে।
প্রাকৃতিক জলাভূমিতে একসময় প্রচুর পরিমাণে দেশি প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু এসব জলাভূমি নানাভাবে দূষিত, দখল ও মাছের বসবাসের অনুপোযোগী হওয়ায় হারিয়ে গেছে নানান প্রজাতির দেশি মাছ। এসব মাছের মাঝে ‘গুলশা টেংরা’ অন্যতম।
তবে মৎস্য অধিদপ্তরের নানা ধরনের কার্যক্রমের ফলে পুনরায় ফিরে এসেছে দেশি প্রজাতির অনেক মাছ। এসব দেশি প্রজাতির মাছের মধ্যে ‘গুলশা টেংরা’ অন্যতম। শ্রীমঙ্গলের বাজারে স্থানীয় ভাষায় এই মাছকে গুলাইয়া মাছ বলে।
একেকটি প্রাপ্তবয়স্ক মাছ প্রজনন মৌসুমে ১৩ হাজার থেকে ৩৯ হাজার পর্যন্ত ডিম দেয়। সে ডিমগুলো সাগুদানার মতো আঠালো এবং ক্রিম বর্ণের হয় বলে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ জানায়।
মাছ ব্যবসায়ী আজাদ বলেন, গুলাইয়া মাছের এখন চাহিদা খুব বেশি। এক সময় গুলাইয়া মাছ পাওয়া না গেলেও বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে। এখন মাছের ডিম দেওয়ার সময়; তাই তার টেস্ট (স্বাদ) অন্যরকম। কাস্টমারেরা (ক্রেতারা) এই মাছের নাম শুনলে নিতে চায় এবং অনেকে অগ্রিম অর্ডার দিয়ে রাখে। ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৩শ থেকে ৬শ টাকা এবং বড় সাইজের প্রতি কেজি ৭শ থেকে ৯শ টাকা বিক্রি হয় বলে জানান এ মাছ ব্যবসায়ী।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমান সিদ্দিকী এ মাছ প্রসঙ্গে বলেন, দেশীয় ছোট মাছগুলোর মধ্যে ‘গুলশা টেংরা’ অন্যতম। তবে ‘গুইল্লা টেংরা’ বা ‘লাইট্ট টেংরা’ও বলে। এ মাছটি দেখতে অনেকটা টেংরা মাছের মতো। এর বৈজ্ঞানিক নাম Mystus bleekeri. এ মাছটি খেতে খুবই সুস্বাদু; এ মাছের কাটা কম হওয়ায় সবার কাছে প্রিয়। প্রাকৃতিক জলাভূমিগুলোতে এখনও বিপন্ন এ মাছটি।
মাছটির দৈহিক গঠন সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় এ মাছটি দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ২৩ সেন্টিমিটার। এ মাছের পিঠের অংশ বাঁকা এবং দেহ চাপানো। লম্বা কাঁটাযুক্ত পৃষ্ঠ ও কানকো পাখনা থাকে। শরীরের রং সবুজাভ ধূসর কিন্তু নিচের দিক কিছুটা হালকা। শিরদাঁড়া রেখা বরাবর ডোরা দেখা যায়।
মৎস্য কর্তকর্তা আরো বলেন, গুলশা টেংরা ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মিয়ানমারে পাওয়া যায়। এক সময় এ মাছটি বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলের খাল-বিল, হাওর-বাওড়, নদী-নালা, পুকুর-দিঘি, বর্ষাপ্লাবিত ধানক্ষেত ও প্লাবনভূমিতে পাওয়া যেত। তবে প্রাকৃতিক জলাভূমি নানাভাবে দূষিত হওয়া এবং তাদের প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস হওয়ায় এদের প্রাপ্যতা দারুণভাবে হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে মৎস্য বিভাগের নানামুখী উদ্যেগের ফলে এ মাছটি এখন বিভিন্ন হ্যাচারিতে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদন করে বাণিজ্যিকভাবে দেশের বিভিন্ন পুকুরে চাষ করা হচ্ছে।
এ মাছটি সাধারণত মাংসাশী। তবে প্রকৃতিতে এরা জলজ পোকা, মশার লার্ভা, ক্ষুদ্রাকার মাছ, ক্ষুদ্রাকার চিংড়ি, পচা জৈব পদার্থ প্রভৃতি খেতে পছন্দ করে বলে এর খাদ্যপ্রণালী সম্পর্কে জানান এ মৎস্য কর্মকর্তা।
প্রজনন সম্পর্কে তিনি বলেন, গুলশা টেংরা এক বছর বয়সেই প্রজননের জন্য পরিপক্বতা লাভ করে। এরা বছরে একবার প্রজনন করে। মে থেকে আগস্ট মাস তাদের প্রজনন মৌসুম হলেও জুন-জুলাই মাসে তারা সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রজনন করে।
নদ-নদী, খাল-বিলে অপরিকল্পিত বাঁধনির্মাণ, ধানক্ষেতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার, বিল শুকিয়ে মাছ আহরণ প্রভৃতি আমাদের মিঠাপানির মাছের অস্তিত্বকে মারাত্মক হুমকি মুখে ঠেলে দেয়। তাই ‘গুলশা টেংরা’সহ আমাদের দেশি প্রজাতির মাছগুলোকে বাঁচাতে এসব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে বলে জানান শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সহিদুর।
- সাধারণ জ্বর-সর্দি নাকি করোনা বুঝবেন যে লক্ষণে
- গরমে মুখে ও পিঠে ব্রণ হচ্ছে?
- ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজই
- বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে সঙ্গীত শিল্পী ‘পাগলা হাসান’সহ নিহত ২
- বিয়েবাড়ির মতো খাসির মাংস ভুনা করবেন যেভাবে
- বদলা নিতে ডেকে নিয়ে কোপানো হয় পাভেলকে
- নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার তাগিদ
- বিএনপির চিন্তাধারা ছিল দেশকে পরনির্ভরশীল করা: শেখ হাসিনা
- স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ
- জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো
- শপথ নিলেন পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমার
- মুজিব নগর সরকার গঠনের পরই বিশ্বের স্বীকৃতি পায়
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশ ও সমাজে কল্যাণ হচ্ছে- শাজাহান খান
- মাদারীপুরে ৫টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ তিনজন গোয়েন্দা পুলিশের জালে
- ম্যান সিটির হৃদয় ভেঙে সেমিফাইনালে রিয়াল
- উজিরপুরে প্রানিসম্পদ প্রদর্শনী ও মেলা অনুষ্ঠিত
- বরগুনায় মা ও মেয়ে ধর্ষণের পলাতক আসামী গ্রেফতার
- ‘সেফ জোনে’ ২৩ নাবিক, নিরাপত্তায় ইতালির যুদ্ধজাহাজ
- জলবায়ু অর্থায়নে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য: আইএমএফ
- মেট্রোরেল চলাচলে আসতে পারে নতুন সূচি
- সন্দেহভাজন আরও এক কেএনএফ সদস্য কারাগারে
- রাজধানীকে ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ রাজউকের
- প্রভাব খাটিয়ে আর পরিবেশের ক্ষতির সুযোগ নেই: মন্ত্রী
- গলায় কৈ মাছ আটকে কৃষকের মৃত্যু
- পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসিরকে মারধরের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের ফল আগামী সপ্তাহে
- রেস্তোরাঁয় মদ না পেয়ে ‘তাণ্ডব চালান’ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
- ফেসবুক লাইভে অস্ত্রাগার দেখিয়ে চাকরি হারালেন পুলিশ সুপার
- কৃষকরাই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি: স্পিকার
- ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল
- বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এর সাথে স্বাচিপ নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- হিজলায় জালের দোকান ও গোডাউনে অভিযান, কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ
- বরিশালকে সর্বোচ্চ পেনশন স্কিমের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি
- গৌরনদীতে দুই ফল ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- এ বছর ফিতরার হার নির্ধারণ
- নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল রাখতে কাজ করতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৪টি মামলা, অর্থদণ্ড আদায়
- বরিশালে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট অভিযানে অর্থদণ্ড
- মাত্র ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি পেল বরিশালের ৫৮ জন
- ইফতার পার্টি না করে নিম্ন আয়ের মানুষকে সহযোগিতা করুন
- প্রথমবারের মত ইমাম ও এতিম হাফেজদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ
- বরিশালে আট কেজি গাঁজাসহ দুই ভাই গ্রেপ্তার
- সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বরিশালে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে অলোচনা সভা
- বানারীপাড়ায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ