• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আজ ২১ নভেম্বর, বিশ্ব COPD দিবস

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৮  


COPD সম্পর্কে প্রতিটি মানুষকে সচেতন করতে প্রতি বছর এই দিনে বিশ্বব্যাপী এই দিনটি পালন করা হয়। 
এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য: "ধুমপানমুক্ত জীবন- নির্মল বাতাস- নীরোগ ফুসফুস"

♦COPD কি:
COPD যার পূর্ণরূপ হচ্ছে Chronic obstructive pulmonary disease (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ)
COPD বলতে একটি ফুসফুসের রোগ বোঝায় যার কারনে ফুসফুসে বায়ু চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়  এবং শ্বাস- প্রশ্বাসে সমস্যার সৃষ্টি করে।
এ রোগের কারনে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায় এবং শ্বাসনালীর ভিতর আঠালো শ্লেষ্মা তৈরি হয়, যার কারনে শ্বাসনালীরর ভিতর পর্যাপ্ত বাসাস প্রবেশ করতে পারে না, তখম শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়।
রোগটির ভিতর ৩ রোগ আলাদাভাবে থাকতে পারে অথবা একসাথে ২টা বা ৩টা রোগ থাকতে পারে। তাই এটা একটা গুচ্ছ রোগ। এটা তিনটি রোগ হলো 
১) ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস (দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসনালীর প্রদাহ)
 ২) পালমোনারী এমফাইসিমা (ফুসফুসের বায়ুথলীগুলির পর্দাগুলি ধ্বংস হয়ে বড় বড় বায়ুথলী হয়ে যাওয়া- “এই বড় বড় বায়ুথলী হবার কারনে ফুসফুস দিয়ে বাতাসের অ·িজেন ভালভাবে শরীরে প্রবেশ করতে পারে না” 
৩) ক্রনিক অ্যাজমা অথবা দীর্ঘস্থায়ী হাঁপানি। 

♦ COPD এর প্রকটতা:
COPD একটি শ্বাসকষ্ট-জনিত রোগ যা বিশ্বব্যাপী দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা সৃষ্টি করে এবং মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে। বহুলোক এই রোগে ভোগে এবং কম বয়সে এই রোগে অথবা এই রোগের জটিলতায় মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমানে COPD বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম কারণ। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে আগামী ২০১২ সাল নাগাদ COPD বিশ্বব্যাপী রোগের বিস্তৃতি হিসেবে পঞ্চম এবং মৃত্যুর কারণ হিসেবে তৃতীয় স্থান দখল করবে।

♦আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে COPD:
COPD রোগ আমাদের দেশের জন্যও একটি অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা। চিকিৎসক এবং রোগী উভয়ের জন্য এটা চ্যালেঞ্জিং বিষয় এবং কখনো হতাশাজনকও বটে। কারণ বেশিরভাগ রোগী প্রাথমিক পর্যায়ে আসেন না এবং রোগের উপশমের পর চিকিৎসকের উপদেশ মেনে চলেন না। বাংলাদেশে এই রোগের প্রকোপ সঠিক জানা না গেলেও সীমিত গবেষণায় দেখা যায় এটা প্রায় ৬%। 
বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের ২০০৭ এর সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে চল্লিশোর্ধ্ব বয়সের প্রতি ৫ জনে ১ জন অর্থাৎ ২১% ভুগছে COPDতে। যাদের ৬২ শতাংশই ধূমপায়ী। বর্তমানে এ রোগীর সংখ্যা ৭০ লাখ। এএ রোগে বছরে মারা যায় ৬৩ হাজার জন।প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ COPD রোগী জানে না যে, সে এই রোগে ভুগছেন এবং এই কারণে বেশীর ভাগ রোগী যথাযথ পদক্ষেপ নেই না।
 যে পদক্ষেপগুলি নিলে COPD রোগী তাদের কষ্ট নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারত এবং রোগটার কারনে কর্মক্ষমতা হ্রাস পাওয়া নিয়ন্ত্রন করতে পারত। সঠিক ব্যবস্থা নিলে রোগের কারণে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা আরও অনেক ধীরে ধীরে কমত এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত COPD নিয়েও কর্মক্ষম জীবন যাপন করার সম্ভাবনা অনেক বাড়তো। 

♦রোগের উপসর্গ
- শ্বাসকষ্ট
-দীর্ঘমেয়াদী কাশি
- বুকে চাও অনুভব করা
- শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় শব্দ হওয়া
- কাশির সাথে শ্লেষ্মা নির্গত হওয়া
- অবসাদ অথবা ক্লান্তিববোধ হওয়া

♦COPD যাদের বেশি হয় :
 COPD রোগের জানা কারণগুলোর মধ্যে ধূমপান হচ্ছে প্রধানতম। সাধারণত যে যত দীর্ঘ সময় ধূমপান করবে তার COPD হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। কর্মক্ষেত্রে জৈব-অজৈব ধূলিকণা বেশি হলে, রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে যারা কাঠ, শুকনো খড় ইত্যাদি ব্যবহার করেন, বায়ু দূষণ বেশি হলে, -ফুসফুসের সংক্রমণ হলে, যেমন ঘন ঘন ভাইরাস সংক্রমণ, যাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিম্ন এবং যারা অপুষ্টিতে ভুগছে।
 সাধারণত নারীদের তুলনায় পুরুষরাই বেশি COPD আক্রান্ত হয়। তাছাড়া জন্মগতভাবে ফুসফুস ঠিকমত গড়ে না উঠলে এবং আলফা ওয়ান এনটি ট্রিপসিন নামক এনজাইমের ঘাটতি হলেও COPD হয়।

♦ COPD নিয়ে যতটা সম্ভব ভাল থাকা নির্ভর করে ৩ জিনিসের উপর-
১)    রোগের উপসর্গ বা কষ্টকে নিয়ন্ত্রনে রাখা। 
২)    এইভাবে চিকিৎসার আওতায় রোগকে আনা যাতে ফুসফুসের স্থায়ী ক্ষতিগুলি এড়ানো যায় বা কম হয়। 
৩)    কর্মক্ষম ফুসফুসকে আরও বেশী কর্মক্ষম রাখতে অনবরত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। 

♦ COPD হলে করনীয়:
- ধুমপান ত্যাগ করা
- নিয়মিত ডাক্তারের নির্দেশ মেনে চলা
- নির্দেশিত ইনহেলার নিয়মিত ব্যাবহার করা
- নিয়মিত হাটা
- শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা
- পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করা
- সঠিক ওজন বজায় রাখা

♦COPD এর চিকিৎসা :
কার্যকর চিকিৎসার জন্য দরকার রোগের তীব্রতা নির্ণয় ও পর্যবেক্ষণ, রোগের কারণসমূহ নির্ণয় এবং সম্ভব হলে কারণসমূহ দূর করা,COPD রোগের সঠিক ওষুধ প্রয়োগ এবং রোগীদের সঠিক পুনর্বাসন।
এ রোগ সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয়, সঠিক চিকিৎসায় লক্ষণ যেমন- শ্বাসকষ্ট, কাশি ইত্যাদি কমে যায়, রোগীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং জটিলতা হ্রাস পায়। COPD রোগীর চিকিৎসা সাধারণত ওষুধ দ্বারা এবং বিভিন্ন রকম পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়।