আগৈলঝাড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দশম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ইউএনও মোঃ আবুল হাশেম। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আমবৌলা গ্রামের খোকন খানের মেয়ে বাগধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী তামান্না খানম (১৪)’র সাথে পাশ্ববর্তী কোটালীপাড়া উপজেলার নৌয়াদা গ্রামের সামচুল হকের ছেলে সেহাব উদ্দিন ওরফে সোহাগের (২২) বিয়ের আয়োজন চলছিল।

স্থানীয়দের কাছ থেকে এই বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আবুল হাশেম। সেই সাথে স্কুলছাত্রীর প্রাপ্তবয়স না পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার শর্তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে মুচলেখা দেন স্কুল ছাত্রীর পিতা খোকন খান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক এ সময় অভিভাবকদের ১৮বছরের পূর্বে কোন মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার কুফল ও রাষ্ট্রীয় আইনে এ ধরনের বিয়ের কোন স্বীকৃতি নেই বলে জানান।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী প্রোগ্রাম কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসের সহকারী  মো.সিদ্দিকুর রহমান, এসআই মোঃ আলী হোসেন প্রমুখ।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ইউএনও মোঃ আবুল হাশেম সাংবাদিকদের বলেন, বাল্য বিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। রাষ্ট্রীয় আইনে এ ধরনের বিয়ের কোনো স্বীকৃতি নেই। স্থানীয় সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় বাল্য বিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হবে। বাল্য বিবাহ বন্ধে উপজেলা প্রশাসন সব সময় তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি। উপজেলার কোথায়ও বাল্য বিয়ে হলে গোপনে আমাকে সংবাদ দিলে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিব।