• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

পৃথিবীকে বিপদ থেকে রক্ষার মহড়া

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২  

মহাকাশ থেকে আসা সম্ভাব্য বিপদ থেকে পৃথিবীকে রক্ষায় এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় পরীক্ষা চালাতে যাচ্ছে নাসা। পৃথিবীর দিকে কোনো বিপজ্জনক আকারের গ্রহাণু ছুটে এলে তাকে কিভাবে প্রতিহত করা যাবে, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নতুন অভিযানে এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হবে।

সম্ভাব্য কৌশলের কার্যকারিতা যাচাই করতে প্রথমবারের মতো কোনো গ্রহাণুকে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করবে নাসার মহাকাশযান। এর মাধ্যমে গ্রহাণুটির কক্ষপথ পরিবর্তন করবে নাসা। পরবর্তী সময়ে পৃথিবীর দিকে কোনো গ্রহাণু ছুটে এলে এই প্রক্রিয়ায় তা প্রতিহত করা হবে।

পৃথিবী থেকে এক কোটি ১০ লাখ কিলোমিটার দূরের ডাইমরফস নামের গ্রহাণুতে আঘাত হানবে নাসার মহাকাশযান ডার্ট। বেশ দূরে হওয়ার কারণে গ্রহাণুতে আঘাত করায় পৃথিবীর কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই। ডার্ট (ডিএআরটি) কথাটি ‘ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ।

গত বছরের নভেম্বরে ডার্ট যানটি উৎক্ষপণ করে নাসা। ক্যালিফোর্নিয়ায় বিমানবাহিনীর ভ্যানডেনবার্গ ঘাঁটি থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে যাত্রা শুরু করে ডার্ট। সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার ভোরে ঘণ্টায় ১৪ হাজার মাইল গতিতে ডাইমরফসে আঘাত করবে ডার্ট।

ডিডিমস নামের আরো বড় এক গ্রহাণুকে প্রদক্ষিণ করছে ডাইমরফস। অর্থাৎ ডিডিমসের চাঁদের মতো কাজ করে ডাইমরফস। ডার্টের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে গ্রহাণুটি ধ্বংস হবে না। কক্ষপথ সামান্য বদলে যাবে মাত্র। ডিডিমস প্রদক্ষিণে কম সময় লাগবে তখন গ্রহাণুটির।

এই অভিযান সফল করা মোটেও সহজ কাজ হবে না। কেননা ডার্টের ক্যামেরা ডিডিমস থেকে ডাইমরফসকে আলাদা করে শনাক্ত করতে পারবে মিশনের একদম শেষ পর্যায়ে গিয়ে। তবে নাসার প্রকৌশলীদের বিশ্বাস, ডার্টের আধুনিক পথনির্দেশনা প্রযুক্তির সুবাদে সফলভাবেই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা সম্ভব হবে।

ডার্টের আঘাতের প্রভাব নির্ভর করবে গ্রহাণুটি একটি বিশাল কঠিন শিলা, নাকি মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে জুড়ে থাকা বেশ কিছু পাথরের স্তূপ তার ওপর, এটি এখনো জানা যায়নি। এমনকি এর ঠিক ঠিক আয়তনও অজানা।

কয়েক সপ্তাহ আগে মহাকাশযান ডার্ট থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া ‘লিসিয়াকিউব’ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সংঘর্ষের ফলাফল দেখাবে। এবার গ্রহাণুর কক্ষপথ পরিবর্তন করা সম্ভব না হলে আগামী দুই বছরের মধ্যে আবারও একই চেষ্টা করবে নাসা।

দূর মহাকাশ ছাড়াও পৃথিবীর তুলনামূলক কাছাকাছি হাজারো বিভিন্ন আকারের গ্রহাণু ঘুরে বেড়াচ্ছে। ‘নিয়ার আর্থ অবজেক্টস’ নামে পরিচিত এ পাথুরে কাঠামোগুলোর ওপর বিজ্ঞানীরা নিয়মিত নজর রেখে চলেছেন। সৌরজগতের এ ধরনের অগণিত গ্রহাণু ও ধূমকেতুর মধ্যে খুব কমই পৃথিবীর জন্য সম্ভাব্য বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়। তবে নাসার প্রধান বিজ্ঞানী টমাস জারবুচেন বলেন, ‘আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, আরো কিছু সময় অপেক্ষা করলে এমন বস্তু পাওয়া যেতেই পারে, যা বিপজ্জনক। ’

পৃথিবীতে প্রাচীনকালে অনেক গ্রহাণুর আঘাতের নজির রয়েছে। ডাইনোসরের বিলুপ্তির জন্য গ্রহাণুর আঘাতকেই অনেক বিজ্ঞানী দায়ী করে থাকেন। ভূতাত্ত্বিক তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, ছয় মাইল চওড়া চিকসুলুব গ্রহাণু প্রায় সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আঘাত হানে। ওই আঘাতের ফলে বায়ুমণ্ডল প্রচুর ধুলায় ছেয়ে যায়। সূর্যের আলো আটকে গিয়ে পৃথিবী দীর্ঘ শীতে নিমজ্জিত হয়েছিল। বাধাগ্রস্ত হয় উদ্ভিদের জন্ম। এর পরিণতিতে খাদ্যাভাবসহ নানা কারণে ডাইনোসরসহ প্রাচীন পৃথিবীর ৭৫ শতাংশ প্রাণী ক্রমে বিলুপ্তির পথে চলে যায়।