• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২  

নামাজ ফরজ ইবাদত। নামাজে সুরা ও কেরাত পড়তে হয়। এ কেরাত পড়ায় কিছু শর্ত আছে, যেগুলো মেনে নামাজ পড়তে হয়। যে শর্তগুলো পাওয়া না গেলে নামাজ হবে না, যা পালন করা জরুরি। তাহলো-

১. তেলাওয়াত শুদ্ধ হতে হবে। কোরআনের সুরা ও আয়াতের অক্ষর, বাক্যগুলো বিশুদ্ধ উচ্চারণ হতে হবে। তেলাওয়াত বিশুদ্ধ না হলে নামাজ হবে না। আর ভুল তেলাওয়াতের জন্য গুনাহগার হতে হবে।

২. ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতেহার সঙ্গে সুরা মিলাতে হবে। সুরা মিলানো ওয়াজিব।

৩. কমপক্ষে তিন আয়াত বা তিন আয়াতের সমপরিমাণ বড় এক আয়াত তেলাওয়াত করতে হবে।

৪. বিতর, সুন্নাত ও নফল নামাজের ক্ষেত্রে প্রত্যেক রাকাতেই সুরা ফাতেহার সঙ্গে সুরা মিলাতে হবে।

৫. ফজর, মাগরিব, এশা, জুমা, বিতর নামাজ জামাতে পড়াকালীন, দুই ঈদের নামাজে সুরা উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করতে হবে।

৬. ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজ একাকি আদায় করলেও উচ্চস্বরে কেরাত কেলাওয়াত করা উত্তম।

৭. সুরা ফাতেহার সঙ্গে যে সুরা মেলানো হয় তা প্রত্যেক রাকাতের জন্য আলাদা আলাদা সুরা তেলাওয়াত করা উত্তম।

৮. ধীরে ধীরে কেরাতের নামাজে সুরাগুলো মুখে উচ্চারণ করে তেলাওয়াত করতে হবে; মুখ বন্ধ করে, জিহ্বা না নাড়িয়ে মনে মনে পড়া যাবে না। এমনভাবে পড়তে হবে যাতে নিজ কানে তেলাওয়াতের আওয়াজ আসে।

৯. কেরাত শেষ হওয়ার আগে তেলাওয়াত করতে করতে রুকুতে যাওয়া মাকরূহ বা নিষিদ্ধ।

১০. ফরজ নামাজে সুরা ফাতেহার সঙ্গে মিলানো সুরা বা আয়াতে ইচ্ছাকৃতভাবে কোরআনের ক্রমধারা ঠিক না রাখা মাকরূহ। ভুলে আয়াত বা সুরা আগে/পিছে পড়লে মাকরূহ হবে না। ক্রমধারা অর্থ হচ্ছে- প্রথম রাকাতে সুরা ইখলাস (কুল হুয়াল্লাহু আহাদ) পড়া আর দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাউছার (ইন্না আ’ত্বাইনা) পড়া।

১১. ফরজ নামাজে একই সুরার অনেক আয়াত একত্রে পড়া এবং দুই আয়াতের কম ছেড়ে দ্বিতীয় রাকতে সামনে থেকে পড়া মাকরূহ। আবার কেউ যদি দুই সুরা এভাবে পড়ে যে, মাঝখানে ৩ আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরা ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী সুরা পড়ে তবে তাও মাকরূহ।

১২. যদি কেউ নতুন মুসলমান হয়। তবে অনতিবিলম্বে সুরা বা আয়াত শিখে নিতে হবে। শিখে নেয়ার আগ পর্যন্ত নামাজে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ইত্যাদি তাসবিহ পড়বে। কোরআন শিক্ষা করার ব্যাপারে অলসতা করলে গুনাহগার হবে।

আল্লাহ তাআলা সবাইকে নামাজে সঠিকভাবে তেলাওয়াত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।