• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নবী-রাসুলের মুজিজা কী ও কেন

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২২  

মুজিজা বা কারামত হলো নবি-রাসুল-অলিদের প্রতি আল্লাহ তাআলার একান্ত অনুগ্রহ। আল্লাহ তাআলা ইসলামের প্রয়োজনে তার ইচ্ছামাফিক এই ক্ষমতা নবী-রাসুল বা অলিদের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। এটি ব্যক্তিবিশেষকে দেখানো বা ক্ষমতা জাহির করার কোনো বিষয় নয়। নবী-রাসুল থেকে প্রকাশিত অলৌকিক বিষয়াবলিকে মুজিজা বলা হয়। আর নবী-রাসুল ব্যতীত অন্যদের থেকে প্রকাশিত অলৌকিক বা আশ্চর্যজনক ঘটনাকে কারামত বলা হয়।

মুজিজা আরবি শব্দ। এর অর্থ অভিভূতকারী। বস্তুত অলৌকিক কোনো কাজের পারিভাষিক শব্দরূপে মুজিজা শব্দটি ব্যবহৃত হয়। মুজিজা হলো নবী-রাসুলের নিজস্ব দাবির সমর্থনে এমন অলৌকিক ও আশ্চর্য ঘটনা ঘটিয়ে দেখানো, যা নবী-রাসুল ব্যতীত অন্য কারও পক্ষে ঘটানো আদৌ সম্ভব নয়। নবী-রাসুলের বাইরে কামেল বুজুর্গদের মাধ্যমে অলৌকিক কার্য সম্পাদন হলে তাকে বলা হয় কারামাত।

মুজিজা মূলত নবী-রাসুলের সত্যতা প্রমাণের জন্য আল্লাহর সাক্ষ্য। বিষয়টি এভাবেও বলা যায়, যিনি নিজেকে আল্লাহর নবী দাবি করেন, তার সত্যতা প্রমাণ করাই মুজিজার উদ্দেশ্য। আল্লাহ তাআলা নবী ও রাসুলদের বিভিন্ন মোজেজা দান করেছেন। যেমন: মুসা (আ.)-এর লাঠি সাপ হয়ে যেত, ঈসা (আ.) মৃতকে জীবিত করতে পারতেন। হজরত সুলাইমান (আ.) বাতাসকে বশীকরণ করতে পারতেন। তিনি পাখি ও পিঁপড়ার ভাষাও বুঝতেন। জিনদের দিয়ে কাজ করাতেন।

বিশ্ব নবী হজরত মুহাম্মদও (সা.) ছিলেন অসংখ্য মোজেজার অধিকারী। মুহাম্মদ (সা.)-এর অলৌকিক ঘটনাসমূহ বলতে সেসব অতিপ্রাকৃত তথা সূত্রবিহীন ঘটনাবলিকেই বোঝানো হয়, যেগুলো নবীজির জীবদ্দশায় সংঘটিত হয়েছে। তবে নবীজির মোজেজার প্রকৃত সংখ্যা কত, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। এ প্রসঙ্গে ইমাম বায়হাকী বলেন, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজিজা ছিল এক হাজার। অন্যদিকে ইমাম নববী মুহাম্মাদের মতে, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজিজা হলো ১ হাজার ২০০। আবার অনেক মনীষী বলেন, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজিজা ছিল ৩ হাজার।

বর্তমানে কারো পক্ষে মুজিজা প্রদর্শন করা সম্ভব নয়। কেউ আশ্চর্যজনক কিছু করলে বা করে দেখালে সেটা হবে তার কারামত। কারণ, মুজিজা নবী-রাসুলদের সঙ্গে সম্পর্কিত। যেহেতু দুনিয়ায় নবী আগমনের ধারা বন্ধ হয়ে গেছে, তাই মুজিজাও বন্ধ হয়ে গেছে।