• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী

নামাজের জামাত ছেড়ে দেওয়ার ক্ষতি

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০২২  

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো নামাজের জামাত ছেড়ে দেননি। কিন্তু জামাতে নামাজ পড়ার প্রতি তিনি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। জামাতে নামাজ পড়া ছেড়ে দিলে অনেক কল্যাণ, হেকমত বঞ্চিত হতে হয়। এমনকি নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণও হয় না। এ কারণে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামাত ছেড়ে দেওয়ার মারাত্মক ক্ষতির কথা তুলে ধরেছেন হাদিসের একাধিক বর্ণনায়।

১. নবিজীর হেদায়াত থেকে বঞ্চিত

জামাতেই আদায় করা জরুরি। জামাতে নামাজ না পড়াকে হেদায়াত ও সুন্নাতের অনুসরণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কথা বলেছেন বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘হে মুসলমানগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য সুনানে হুদা বা হেদায়াতের পন্থা নির্ধারিত করে দিয়েছেন। আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে মসজিদে আদায় করাই হচ্ছে সুনানে হুদা। তোমরা যদি তোমাদের ঘরে নামাজ আদায় করা শুরু কর, যেমন অমুক ব্যক্তি জামাত ছেড়ে ঘরে নামাজ আদায় করে; তাহলে তোমরা তোমাদের নবির সুন্নাত ছেড়ে দিলে। যদি তোমরা নবির সুন্নাত ছেড়ে দাও, তাহলে হেদায়াতের পথ থেকে তোমরা বিচ্যুত হয়ে পড়বে।’ (মুসলিম, মিশকাত)

২. বিনা ওজরে একাকি নামাজ কবুল হবে না

আজান শোনার পর কোনো ওজর ছাড়া একাকি নামাজ পড়লে তা কবুল হবে না। হাদিসে এসেছে-

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আজান শোনার পর জামাতে নামাজ আদায় করতে উপস্থিত না হয় এবং তার না আসার কোনো ওজরও না থাকে; আর এ অবস্থায় সে যে নামাজ পড়ে; সে নামাজ কবুল হবে না। এক  সাহাবি জানতে চাইলেন, ওজর বলতে কী বোঝায়? উত্তরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘ভয় অথবা অসুস্থতা’। (আবু দাউদ)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায় করা। ওজর না থাকলে জামাত ছেড়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকা। জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়ে সুন্নাতের অনুসরণ ও কল্যাণের পথে অগ্রসর হওয়া।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জামাতে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। সুন্নাতের অনুসরণ ও কল্যাণ পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।