• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

এবারও ঈদে তারেকের চাঁদা আতঙ্কে নেতারা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২২  

তিনদিন পর ঈদুল আজহা। আর ঈদে লন্ডনে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাঁদা আতঙ্কে রয়েছেন দলটির নেতারা। প্রতি বছর ঈদের আগে দলীয় নেতা ও দাতাদের কাছে চাঁদা দাবি করেন তিনি।

জানা গেছে, চাঁদা তোলার জন্য তারেক রহমানের একদল প্রশিক্ষিত ক্যাডার রয়েছে। এ ক্যাডার বাহিনী নিত্যদিন চাঁদার জন্য চাপ দিচ্ছে দলীয় নেতাদের। কিন্তু সংগঠন চালাতে গিয়ে দলের অনেক নেতারই অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে। চক্ষুলজ্জায় তারা এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। কিছু বলতেও পারছেন না আবার তারেকের চাঁদাবাজ বাহিনীর অত্যাচার সহ্যও করতে পারছেন না। এ কারণে বিএনপির অনেক নেতাই ‘ফোন বন্ধ’ করে রেখেছেন।

সূত্র বলছে, এবারও চাঁদার জন্য দলীয় নেতা ও দাতাদের কল দিতে শুরু করেছেন তারেক রহমান। আর চাঁদা তুলতে তাদের বারবার চাপ দিচ্ছে তারেকের ক্যাডাররা। নির্ধারিত অংকের চাঁদাই দিতে হচ্ছে নেতাদের। এরই মধ্যে অনেকে চাঁদা পাঠিয়েও দিয়েছেন। তবে অর্থনৈতিকভাবে বিপদে থাকায় চক্ষুলজ্জায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও মির্জা আব্বাসদের মতো বিএনপির সিনিয়র নেতারা। নিজেদের ফোন বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার তারেকের লিস্ট থেকে বাদ পড়েননি জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও। চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া ও সাতক্ষীরার একাধিক নেতা এরই মধ্যে তারেক রহমানকে নির্ধারিত অংকের চাঁদা পাঠিয়েছেন।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে পাবনা বিএনপির এক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারেকের কাছে রাজনীতি মানেই টাকা কামানোর মেশিন। এভাবে কোনো রাজনৈতিক দল টিকে থাকতে পারে না। ব্যক্তি স্বার্থ ঠিক রাখতে নিজের দলের নেতাদের কাছ থেকে যে দল চাঁদা তোলে সেই দলের পরিণতি তো খারাপই হবে। দল ক্ষমতায় থাকলেও না হয় এসব অন্যায় মেনে নেয়া যায়। এক যুগের বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থেকে প্রতি বছর দলের প্রধানকে বিভিন্ন বাহানায় টাকা দেওয়া খুবই কষ্টদায়ক।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, তারেক রহমানের এমন চাঁদাবাজি নতুন কিছু নয়। করোনা মহামারির সময়ও তারেকের হাত থেকে নিস্তার পাননি দলের ব্যবসায়ী নেতারা। তাদের কাছ থেকে নেয়া চাঁদার টাকাতেই লন্ডনে বিলাসী জীবনযাপন করেন তিনি।