ওমিক্রন নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্রে বিএনপি-জামায়াত

বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ যেখানে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব ও দূরদর্শী পদক্ষেপে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শুধু তাই নয়, চলমান রয়েছে গণটিকা কার্যক্রমও। এমতাবস্থায় সরকারের লকডাউনের চিন্তা না থাকলেও তা নিয়ে নতুন করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিএনপি-জামায়াত চক্র। 

তারা বলছে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার লকডাউন দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। 

বিশিষ্টজনদের ভাষ্য, দেশ যখন ভালো আছে, উন্নয়ন-অর্জনে ‘বিশ্বের বিস্ময়’ হয়ে মাথা উঁচু করে চলছে, ঠিক তখনই গাত্রদাহ শুরু হয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত চক্র। অনলাইনে ছড়াচ্ছে বিভ্রান্তিকর তথ্য। 

নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যমতে, প্রথমে করোনার টিকা নিয়ে ভয়াবহ গুজব ছড়ায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। কিন্তু সাড়া না পাওয়ায় পরবর্তীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় নামে লকডাউন নিয়ে মিথ্যা প্রচারণায়। ফলাফল সেবারও শূন্য হওয়ায় এবারের ওমিক্রন ঢেউ নিয়ে নতুন করে রাজনীতিতে নেমেছে বিএনপি-জামায়াত চক্র। তারই অংশ হিসেবে তাদের ‘পেইড এজেন্ট’ সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ৩ জানুয়ারি (সোমবার) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, সরকার লকডাউন দেওয়ার পরিকল্পনা করলেও জনগণ তা মানবে না।

কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ৩ জানুয়ারি (সোমবার) সচিবালয়ে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই মুহূর্তে আমরা লকডাউনের কথা ভাবছি না। এখন আমরা জোর দেব প্রতিরোধের বিষয়ে। যে সমস্ত কার্যকলাপগুলো করা প্রয়োজন, যে সমস্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা প্রয়োজন ওমিক্রন ও করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য, সেগুলোর ওপর জোর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত জোট লকডাউন নিয়ে অনলাইনে গুজব ছড়ালেও সেই তারাই আবার দেশব্যাপী স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই জনসমাগম করছেন। বিক্ষোভের নামে ছড়াচ্ছেন প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। তাই দেশে যদি কোনোভাবে এই ভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ ঘটে, তবে তার দায় বিএনপি-জামায়াত চক্র কোনভাবেই এড়াতে পারবে না।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলেন, রাজনৈতিকভাবে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়ে অনলাইনে গুজব কেন্দ্রিক রাজনীতিই এখন বিএনপি-জামায়াত জোটের শেষ ভরসা। এ কারণে লকডাউন নিয়েও অপপ্রচারে নামতে তারা পিছপা হচ্ছে না। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যেন, কোনোভাবেই তারা তাদের নোংরা গন্তব্যে পৌঁছে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে না পারে।