• মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৭ ১৪৩০

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
‘আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে’ শহর ও গ্রামের বৈষম্য দূর করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকে সুন্দর করার পূর্বশর্ত শিশুদের সুন্দর করে গড়ে তোলা ‘শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি, ভবিষ্যতের বিশ্ব গড়ি’ শিশুর সুশিক্ষা-সুস্থ বিনোদন নিশ্চিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি সরকার প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি সংবেদন ও শ্রদ্ধাশীল: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ ‘বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে আদালতে যেতে হবে’ ভিসা নিষেধাজ্ঞার কোনও যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ অন্ধকারে ফিরে যাবে: প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকাপে ভালো খেলবে বাংলাদেশ, আশা প্রধানমন্ত্রীর কন্যাশিশুদের সুদক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর অর্ধকোটি মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়েছেন শেখ হাসিনা বিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নে কোনো বিভাজন চলবে না: রাষ্ট্রপতি দেশের ভাবমূর্তি আরো জোরদার করতে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগের বিকল্প নাই: প্রধানমন্ত্রী মহানবীর (সা.) আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই সফলতা-শান্তি নিহিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ

আগামীতেও আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে আশ্রয়নে বসবাসকারীরা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

বরিশালের বানারীপাড়ায় ৪৮০টি আশ্রয়নের ঘরে বইছে আনন্দের বন্যা। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার জন্য নামাজ পরে দোয়া করছেন। উপকারভোগীরা হচ্ছেন দুস্থ, অসহায়, বিধবা ও উপার্জনে অক্ষম এবং পরিবারে উপার্জনক্ষম সদস্য নেই এমন ব্যক্তি। আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকাগুলো সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে সারি সারি আশ্রয়নের ঘর। ঘরের পেছনে সামনে নানা জাতের গাছ রোপন করছেন ঘরের মালিকরা। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার মধ্যে ঘরে ওঠা পরিবারগুলো মাঝে বইছে আনন্দ বন্যা। তারা প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরুপ ঘর-জমি পেয়ে পরম আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছেন। তারা আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য নামাজ পরে দোয়া করছেন বলে জানান উত্তরপাড় আশ্রয়নের বসবাসকারী জাহানা বেগম ও আনিচুর রহমান। তারা আগামী নির্বাচনেও আওয়ামীলীগ সরকারকে ভোট দিবেন বলে জানান।

এর আগে তারা অন্যের জায়গায়, কেউ বাঁধের রাস্তার পাশে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করে আসছিলেন। এবার তারা দলিলসহ ঘর পেয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। এছাড়া পরিবারগুলো গভীর নলকূপ, বিদ্যুৎ, রাস্তাসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। পাকা সেমি দুকক্ষ বিশিষ্ট ঘর স্বামী ও স্ত্রীকে যৌথভাবে ২শতাংশ জায়গা দলিল করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলার উত্তরপার নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে আশ্রয়ন প্রকল্পের সারি সারি ঘর। এখানে ৫৩টি পরিবার বসবাস করছেন।

এখানে বসবাসকারী জাহানা বেগম, আসমা খানম, মামুন মিয়া, হালিম আকন, উত্তম দাস বলে সরকারের দেওয়া নিজস্ব জায়গায় সরকার ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। এখন আর কোনো সমস্যা নেই। কেউ আর আমাদের ভূমিহীন বলতে পারবে না। আমরা জেলা, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের নেতাদের ধন্যবাদ জানাই, তাদের সহযোগিতায় আজ আমরা পরিবার নিয়ে নতুন ঘরে বসবাস করতে পারছি।

উপজেলার আলতা, সলিয়াবাকপুর, ইলুহার, বিশার কান্দি, উত্তরপার, উদয়পুর ইউনিয়নে ৪৮০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে স্থানীয় সাংসদ মো.শাহে আলম’র সহযোগিতায় জমিসহ ঘর পেয়েছেন। সদর ইউপি চেয়ারম্যান জলিল ঘরামী বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন-গৃহহীনদের জমিসহ ঘর দেয়া এটা প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। আমার ইউনিয়নে ৪৫টি উপকারভোগী পরিবারগুলোকে ঘর বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা আজরিন তন্বী ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে আশ্রয়নে বসবাসকারীদের ভিজিডি কার্ড দেয়া এবং হাঁস-মুরগি পালন করে তারা যাতে স্বাবলম্বী হতে পারে সেজন্য তাদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। ঘর নির্মাণ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মহাসিনউল আলম বলেন, এ প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রধিকার প্রকল্প। এখানে কেউ অনিময় করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্মানের জন্য সিমেন্ট, ইট, বালু, যাতে মানসম্পন্ন হয় সেদিকে সর্বদা খেয়াল রাখছি। এই কাজ যেন বাঁধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য আমরা রাত-দিন আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

আশ্রয়নের ঘর নির্মাণ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা আজরিন তন্বী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদানের উদ্যোগ নেন। তারই অংশ হিসেবে বানারীপাড়া উপজেলায় ৪৮০টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। বাকি পরিবারগুলোকেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকারভোগী পরিবারের সন্তানেরা যাতে লেখাপড়া করতে পারে সে জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ যখন সময় পাই তখনই ঘুরে দেখি। যাতে কাজে কোন সমস্যা না হয়। যারা ঘর পেয়েছে তাদের পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা।