উজিরপুরে নিখোঁজের ৪দিন পরে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

বরিশালের উজিরপুরে নিখোঁজের ৪ দিন পরে শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  আজ মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৫টায় উপজেলার হারতা ইউনিয়নের নাথারকান্দি গ্রামের হাফিজুর রহমান বেপারীর বাড়ীর পাশে কচা নদীর শাখা খাল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার হারতা ইউনিয়নের কাজীবাড়ী গ্রামের দিপক মন্ডলের ৮ বছরের শিশু তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র দিপ্ত মন্ডল গত ২৭ মে বাবা-মায়ের সাথে হারতা বাজারে কীর্ত্তন অনুষ্ঠানে যায়। সেখান থেকে শিশুটি রাত ১১টায় নিখোঁজ হয়। গত ২৮মে তার পিতা দিপক মন্ডল বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। নিখোঁজের পর থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিন্দ্রনাথ বড়াল ও কৃষ্ণ কান্ত বাড়ৈসহ কতিপয় লোকজন দীপক মন্ডলের ধর্ম ভাই হারতা বন্দরে সেলুনের কর্মচারী নয়ন শীলকে সন্দেহের তালিকায় রাখে।

গত ৩০ মে (সোমবার) গভীর রাতে নয়ন তার রক্তমাখা সেলুনের দোকানটি ধৌত করার সময় হাতেনাতে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। অভিযুক্ত নয়নের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সেলুনের মালিক রতন বিশ্বাস ও তার স্ত্রী ইভা মল্লিক(৩৫)কে পুলিশ গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃতরা পুলিশ ও স্থানীয়দের জানান, শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে তিনদিন সেলুনের ভিতরে বাথরুমে ফেলে রেখেছিল। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় ৩০মে দুপুর দেড়টায় বস্তাবন্দী লাশ মাছের ড্রামে ভরে রতন বিশ্বাসের ভাই ভ্যানচালক জীবন বিশ্বাসকে নিয়ে ইভা মল্লিক, নয়ন শীল ও রতন বিশ্বাস মিলে লাশ খালে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে।

এরই সুত্র ধরে আজ মঙ্গলবার ৫টায় উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা খাল থেকে লাশ উদ্ধার করেন। শিশু হত্যার ঘটনায় সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি আক্তারুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন মোঃ শাহ্ জাহান, উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ।

তবে গ্রেফতারকৃত সেলুন মালিকের স্ত্রী ইভা মল্লিক জানান কর্মচারী নয়ন শীলের সাথে নিহত শিশু দিপ্ত মন্ডলের মা সীমা মন্ডলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার সম্পর্কের কারণেই এ হত্যাকান্ড হয়েছে।

এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ জানান, এ ঘটনায় ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত শেষে মুল রহস্য উৎঘাটন হবে।