আগৈলঝাড়ায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ১০ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত স্কুল ছাত্রীর বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করবে না বলে বরের কাছ থেকে মুছলেখা নিয়েছেন।

আদালত সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের পশ্চিম বাগধা গ্রামের কাওসার বাহাদুরের মেয়ে ও বাগধা স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রোনীর ছাত্রী রাবেয়া আক্তার(১৫)সাথে শনিবার বিকেল ৬টায় একই গ্রামের সহিদ মিয়ার ছেলে প্রবাসী শরীফ মিয়ার বিয়ের আয়োজন চলছিল। বাল্য বিয়ের সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো.সাখাওয়াত হোসেন শনিবার ৬টায় ওই বিয়ে বাড়িতে গিয়ে হারিজ হন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো.সাখাওয়াত হোসেন ওই স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ১৮বছর না হওয়া পর্যন্ত স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে করবে না বলে বরের কাছ থেকে মুচলেখা নেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, থানা এসআই মনিরুজ্জামান, ইউপি সদস্য রুস্তুম মিয়া ও ইউএনও অফিসের সহকারী রমনী সরকারসহ প্রমুখ।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাখাওয়াত হোসেন জানান, আমি আগৈলঝাড়া উপজেলায় যোগদানের পর থেকে বাল্য বিয়ের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি দিয়েছি। আমি যতদিন এই উপজেলায় থাকবে ততদিন উপজেলার কোথায়ও বাল্য বিয়ে হতে দেবনা। বাল্য বিয়ে হলে আমাকে জানালে আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়ে মেয়ের পরিবারকে জরিমানা করবো।