গৌরনদীতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ

বরিশালের গৌরনদীতে স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক স্কুল ছাত্রীর পিতাকে ৫হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালত সুত্রে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার চাদর্শী ইউনিয়নের গোবর্ধন গ্রামের রাসেল সরদারের মেয়ে ও চাঁদশী ইশ্বর চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী ১৫বছর ৩মাস  বয়সী সাদিয়া আক্তারের সাথে সোমবার বিকেল ৫টায় পাশ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর গ্রামের শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে ফয়সাল হাওলাদার(২০)বিয়ের আয়োজন চলছিল।

বাল্য বিয়ের সংবাদ পেয়ে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস সোমবার বিকেল ৫টায় ওই বিয়ে বাড়িতে গিয়ে হারিজ হন। এসময় গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস ওই স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়ে মেয়ের পিতা রাসেল সরদারকে ৫হাজার টাকা জরিমানা করেন। এবং ১৮বছর না পর্যন্ত তার মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার মুচলেখা নেন। এ সময় বরের পরিবারকে মোবাইল ফোনে বিয়েতে না আসার জন্য নিষেধ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র দে, গৌরনদী মডেল থানা এসআই আব্দুল হক ও ইউএনও অফিসের সহকারী শিপন মিয়াসহ প্রমুখ। এব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, উপজেলার কোথায়ও বাল্য বিয়ে হলে আমাকে গোপনে সংবাদ দেওয়া হলে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেই। এবং মেয়ের পরিবারকে জরিমানা করা হয়। গৌরনদী উপজেলায় যোগদানের পরে অনেক বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।