• মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১১ ১৪৩০

  • || ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের জনসভায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়ার ভেতর দিয়েই শিশুর সামাজিকীকরণ ঘটে: প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় ভাষণের ৪৯তম বার্ষিকী আজ তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগে জনগণকে সম্পৃক্ত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ চুরি করা অর্থ দিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়, তাদের নেতা কে: প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী আগামী প্রজন্মের জন্য সমুদ্রগুলো যেন সমৃদ্ধির উৎস হয়ে থাকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে বাংলাদেশ পুতুলের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে: শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণই তাদের ‘স্যাংশন’ দিয়ে দেবে: প্রধানমন্ত্রী কোরআন পোড়ানো নিয়ে শেখ হাসিনার নিন্দা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে বাংলাদেশও নিষেধাজ্ঞা দেবে: প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি ছাড়া দেশকে কিছুই দিতে পারেনি বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায় ভিয়েতনাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই বাংলাদেশের অগ্রাধিকার: উজরা জেয়াকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী

গরমে ডায়রিয়া কেন হয়?

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২৩  

কাঠফাটা রোদের গ্রীষ্মকালে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবারই এ রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়তে শুরু করে গরমের এ সময়টাতেই। কিন্তু কেন তা কি আপনি জানেন? ডায়রিয়া মূলত পানিবাহিত একটি রোগ। আর তাই অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে তৈরি খাবার এবং দূষিত পানি ডায়রিয়া রোগ হওয়ার অন্যতম কারণ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাফিসা আবেদীন বলেন, বিভিন্ন কারণে ডায়রিয়া হতে পারে। তবে মূলত পরিপাকতন্ত্রে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবী সংক্রমণের কারণে ডায়রিয়া হয়।

গরমের সময়ই কেন এ রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়, এ বিষয়ে একই প্রতিষ্ঠানের ডা. সোহাগ বলেন, এ সময় যে ডায়রিয়া হচ্ছে তা মূলত সামার ডায়রিয়া।

গরমে স্বস্তি পেতে অনেকেই এসময় রাস্তার ঠান্ডা পানীয় পান করেন। ঘাম থেকে পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত থাকতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেন না। যা এসময় ডায়রিয়া হওয়ার বড় একটি কারণ।

সেই সঙ্গে হাত না ধুয়ে খাবার প্রবণতা তো রয়েছেই। গরমের সময় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে হজম প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। এ সমস্যায় ফ্রিজে রাখা সংরক্ষিত খাবারেও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের সুযোগ ঘটে। যা খাওয়ার পর পেটের নানা সংক্রমণ হওয়ার পাশাপাশি ডায়রিয়ার সংক্রমণও বেড়ে যায়।   

রাস্তার বাসি ও খোলা খাবার খাওয়ার ফলেও গরমের সময় ডায়রিয়া রোগে আক্রান্তের প্রকোপ বাড়ে। তাই ডায়রিয়া রোগ থেকে দূরে থাকতে হলে এসব অস্বাস্থ্যকর প্রবণতা থেকে দূরে থাকতে হবে।

আর যদি কোনো কারণে ডায়রিয়া রোগ হয়েই যায় তবে শরীরে পানিশূন্যতা ও রক্তে লবণের তারতম্য দেখা যায়। এই সমস্যা দুটিকে রোধ করতে পারলেই ডায়রিয়া রোগ থেকে কোনো ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর জন্য প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর অবশ্যই বয়স অনুযায়ী পরিমাণ মতো খাবার স্যালাইন পান করতে হবে। ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে পাতলা পায়খানা এমনিতেই সেরে যায়। তাই পাতলা পায়খানা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

ডায়রিয়া রোগে মৃত্যু মূলত তখনই ঘটে যখন পাতলা পায়খানার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা, পুষ্টিহীনতা ও রক্তে লবণের তারতম্য দেখা দেয়। তাই এ সমস্যার সমাধানে স্যালাইনের পাশাপাশি রোগীকে চিড়ার পানি, ডাবের পানি পান করানো যেতে পারে।

বেশি বেশি তরল খাবারের পাশাপাশি রোগীর স্বাভাবিক খাবারও চালু রাখতে হবে এ সময়। তবেই ডায়রিয়া রোগ থেকে কোনো ক্ষতি ছাড়াই দ্রুত সেরে উঠা সম্ভব বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।