• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান তিন দেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী লাইলাতুল কদর মানবজাতির অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনি শবে কদর রজনিতে দেশ ও মুসলিম জাহানের কল্যাণ কামনা প্রধানমন্ত্রীর সেবা দিলে ভবিষ্যতে ভোট নিয়ে চিন্তা থাকবে না জনপ্রতিনিধিদের জনসেবায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভোটের চিন্তা থাকবে না দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সরকারের বাস্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রেসিডেন্টকে শেখ হাসিনার চিঠি

অভিন্ন মুদ্রা চালু করতে যাচ্ছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩  

নিজেদের মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা চালু করতে চায় দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। এ লক্ষ্যে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে দেশ দু’টি। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা প্রতিষ্ঠাসহ বৃহত্তর অর্থনৈতিক একীকরণের লক্ষ্য নিয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজের লেখা যৌথ এক নিবন্ধে একথা বলা হয়েছে।

আর্জেন্টিনার ওয়েবসাইট পারফিলে ওই নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আমাদের বিনিময়ের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে, নিয়মগুলোকে সহজ ও আধুনিকীকরণ করতে এবং স্থানীয় মুদ্রার ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে চাই।’

নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘আমরা একটি অভিন্ন দক্ষিণ আমেরিকান মুদ্রার বিষয়ে আলোচনা আরও অগ্রসর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যা আর্থিক এবং বাণিজ্যিক উভয় ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, একইসঙ্গে এর পরিচালন ব্যয় এবং আমাদের বাহ্যিক ঝুঁকিও হ্রাস করতে পারে।’

রয়টার্স বলছে, নিজেদের মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা চালুর ধারণা মূলত গত বছর ফার্নান্দো হাদ্দাদ এবং গ্যাব্রিয়েল গালিপোলোর লেখা একটি নিবন্ধে উত্থাপিত হয়েছিল। ফার্নান্দো হাদ্দাদ বর্তমানে ব্রাজিলের অর্থমন্ত্রী এবং গ্যাব্রিয়েল তার নির্বাহী সচিব। গত বছরের এই প্রচারণার সময় তারা বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলাকেও উল্লেখ করেছিলেন।

দক্ষিণ আমেরিকায় ব্রাজিলের প্রধান ও সর্ববৃহৎ ব্যবসায়িক অংশীদার আর্জেন্টিনা। আর তাই চলতি মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ঐতিহ্য বজায় রেখে লুলা তার প্রথম বিদেশ সফরের জন্য আর্জেন্টিনাকে বেছে নেন।

অন্যদিকে প্রতিবেশী আর্জেন্টিনাও ওই সফরটিকে ল্যাটিন আমেরিকান অ্যান্ড ক্যারিবিয়ান স্টেটস (সিইএলএসি) গোষ্ঠীতে ব্রাজিলের প্রত্যাবর্তন হিসেবে চিহ্নিত করে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর নির্দেশে ব্রাজিল ২০১৯ সালে এই গোষ্ঠী থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। মূলত কিউবা এবং ভেনিজুয়েলার উপস্থিতির কারণে আঞ্চলিক গোষ্ঠীতে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন বলসোনারো।

ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা ছাড়াও এই বাণিজ্য ব্লকে প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়েও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এমনকি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই ব্লকটি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় ব্রাজিলের অর্থমন্ত্রী হাদ্দাদ সম্প্রতি দুঃখও প্রকাশ করেছেন।

অবশ্য একদিন আগেই ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছিল, নিজেদের মধ্যে অভিন্ন মুদ্রা চালুর জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করার বিষয়ে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা এই সপ্তাহে ঘোষণা দেবে।

কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এই সপ্তাহে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসে একটি শীর্ষ সম্মেলনে এই পরিকল্পনার ব্যাপারে আলোচনা হবে। অভিন্ন এই মুদ্রার নাম হতে পারে ‘সুর’ (দক্ষিণ) এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে ও মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে এই মুদ্রা কিভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে সেই বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।

অবশ্য উভয় দেশের রাজনীতিবিদরা ২০১৯ সালে অভিন্ন মুদ্রা চালুর এই ধারণাটি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু সে সময় ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এর বিরোধিতা করা হয়েছিল।

প্রাথমিকভাবে এটি দ্বিপাক্ষিক প্রকল্প হিসাবে শুরু হবে। পরবর্তীতে ল্যাটিন আমেরিকার অন্য দেশগুলোকে এতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।