• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ৩ মামলা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৯  

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ঘুষ, জালিয়াতি ও আস্থাভঙ্গের তিনটি মামলায় অভিযুক্ত করেছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল আবিচাই মান্দেলব্লিত।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়, বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে উপহার নেওয়ার অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তিনটি মামলা হয়েছে।

তবে, টেলিভিশনের এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা চলছে। তারা সত্যের সন্ধান করছেন না, আমার পেছনে লেগেছেন। আমি পদত্যাগ করবো না। আইনগতভাবে, আমি পদত্যাগ করতে বাধ্য নই। এসব তদন্ত কর্মকর্তাদেরই তদন্ত হওয়া উচিত।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই মান্দেলব্লিত বলেছিলেন, তিনটি মামলায় নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করতে চান তিনি। মামলা তিনটি হলো- কেস ১০০০, কেস ২০০০ ও কেস ৩০০০। গত মাসে মামলাগুলোর শুনানি শেষ হয়।

কেস ১০০০ অনুযায়ী, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আস্থাভঙ্গ ও জালিয়াতের অভিযোগ উঠেছে। বলা হয়, ধনাঢ্য এক বন্ধুকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে দামি উপহারসামগ্রী নিয়েছেন তিনি। তবে, নেতানিয়াহু এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এটি শুধুই একজন বন্ধুর দেওয়া উপহার ছিল, তিনি অন্যায় কিছু করেননি। ওই বন্ধুও কোনো ধরনের অন্যায়ের কথা স্বীকার করেননি।

কেস ২০০০ এ নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আস্থাভঙ্গ ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে বলা হয়, অন্যতম একটি পত্রিকার প্রকাশকের সঙ্গে বিশেষ চুক্তি করেছেন তিনি। চুক্তি হয়, নিজের পক্ষে ইতিবাচক  প্রচারণা চালানোর বিনিময়ে তিনি ওই পত্রিকার প্রতিদ্বন্দ্বী পত্রিকাটিকে কোণঠাসা করতে সহায়তা করবেন। এই অভিযোগও অস্বীকার করেন নেতানিয়াহু এবং ওই প্রকাশক।

কেস ৩০০০ সবচেয়ে গুরুতর। তাতে অভিযোগ উঠেছে, একটি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ খেয়েছেন নেতানিয়াহু। ওই কোম্পানিকে সমর্থন করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে চাপ দিয়েছেন তিনি।

সব অভিযোগ অস্বীকার করে নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

এক বিবৃতিতে মান্দেলব্লিত বলেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা হৃদয় বিদারক ছিল। কিন্তু ইসরায়েলে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন ইচ্ছে মতো করা প্রয়োগ যায় না। এখানে কোনো ডান-বাম নেই। কোনো রাজনীতির ব্যাপার নেই।

গত এপ্রিল ও সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়েছেন নেতানিয়াহু। এমন  রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই তার বিচারের ঘোষণা দিলো আইন বিভাগ।

বুধবার (২০ নভেম্বর) নেতানিয়াহুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গান্টজ সরকার গঠনে ব্যর্থ হওয়ার কথা ঘোষণার পর আগামী ২১ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নির্বাচন করতে একমত হতে আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিন।

নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে তা এখনি বোঝা যাচ্ছে না। তবে, যতক্ষণ তিনি অপরাধী প্রমাণিত না হচ্ছেন, ততক্ষণ তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনে কোনো ধরনের আইনি বাধা নেই।