• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা

প্রিডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকার চার উপায়

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

প্রিডায়াবেটিস নিয়ে মানুষের মাঝে আতঙ্কের কমতি নেই। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন এই অসুখ নিয়ে সতর্ক হতে। প্রথমেই সচেতন হতে পারলে আর জটিলতা বেশি দূর এগোয় না। এমনকি ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকা যায়।
আমাদের শরীরে গ্লুকোজ বিপাকে সাহায্য করে ইনসুলিন নামের একটি হরমোন। এই হরমোন বের হয় অগ্ন্যাশয় থেকে। তবে কোনো কারণে এই হরমোন কম বের হলে বা বের হওয়ার পরও নিজের কাজ না করতে পারলে রক্তে সুগার বৃদ্ধি পায়। এই হল মূল সমস্যা।

তবে অনেক সময় মানুষের সুগার লেভেল থাকে বিপদসীমায়। অর্থাৎ এনাদের ডায়াবেটিস হয়নি, তবে অন্যান্যদের তুলনায় ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। এই সমস্যার নামই হলো প্রিডায়াবিটিস। কিন্তু ভালো কথা হল, এই সময় ঠিকঠাক ব্যবস্থা নিলে অনায়াসে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, ফাস্টিং সুগার ১০০ থেকে ১২৬-এর ভেতর থাকলে বুঝতে হবে আপনি প্রিডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

প্রিডায়াবেটিস-এর লক্ষণ

১. তৃষ্ণা বেড়ে যায়
২. বারবার প্রস্রাব পায়
৩. ক্লান্ত লাগে খুব
৪. চোখে আবছা দেখতে পারেন
৫. হাত, পা অসাড় হতে পারে
৬. ঘা শুকাতে চায় না সহজে
৭. ওজন দ্রুত কমে যায়

এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই আর অপেক্ষা করা চলবে না। বরং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফেলাটা প্রয়োজনীয়। তবেই সুস্থ থাকতে পারবেন।

আসুন জানা যাক প্রিডায়াবিটিস রিভার্স করার পথ-

ওজন কমান দ্রুত: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক জানাচ্ছে, ওজন বেশি থাকাটা ইনসুলিন রেজিস্টেন্সের অন্যতম কারণ। দেখা গিয়েছে যে ওবেসিটির কারণে বহু মানুষ প্রিডায়াবিটিসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই এখনো সময় রয়েছে, ওজন কমিয়ে নেয়ার। এক্ষেত্রে দিনে অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা বা ব্যায়াম করুন। পাশাপাশি খেতে হবে ফাইবার যুক্ত খাবার। ফাইবার খেলে পেট ভরতি থাকে, ওজন বৃদ্ধি পায় না। এই খাবারের মধ্যে রুটি, ওটস রয়েছে। ওজন কমালে বেশিরভাগ সময়ই এই অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ডায়েট ঠিক করুন: আপনাকে নিজের খাদ্যাভ্যাসের দিকে জোর দিতে হবে। এমন খাবার খাওয়া যাবে না যা শরীরে চটজলদি সুগার বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার খান। এই খাবার রক্তে চটজলদি সুগার বাড়ায় না। এছাড়া পাতে রাখতে হবে ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য। খাওয়া যাবে না অতিরিক্ত মিষ্টি, রেডমিট, তেল। বরং খেতে পারেন রুটি, ডালিয়া, ওটস, শাক, সবজি। এই খাবারগুলো খেলে অনায়াসে রিভার্স হতে পারে প্রিডায়াবিটিস। আপনারা সুস্থ থাকবেন।

মিষ্টি, চিনি নয়: মিষ্টি ও চিনি হল সরল কার্বোহাইড্রেট। এই খাবার শরীরে গেলে হু হু করে রক্তে বেড়ে যায় সুগার। তাই এর থেকে দূরে থাকাটা সবার আগে জরুরি। তবে শুধু চিনি বা মিষ্টি নয়, পাশাপাশি খাওয়া যাবে না বেকারির মিষ্টি দেওয়া খাবার, ক্যান্ডি, বাইরে থেকে কেনা ফ্রুট জুস, কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাদি। এই খাবারগুলোতে মেশানো থাকে মিষ্টি যা শরীরে সমস্যা তৈরি করে। বরং কিছুটা হলেও চেষ্টা করুন সুগার ফ্রি খাওয়ার। তবে সুগার ফ্রি বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।

এক্সারসাইজেই কিস্তিমাত: আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতানুযায়ী, সপ্তাহে ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। ভালো হয় ৫ দিন ৩০ মিনিট করে হাঁটতে পারলে। এই সাধারণ শরীরচর্চাটুকু করলেই প্রিডায়াবেটিসকে আটাকানো যায়। এছাড়া কোনো ব্যক্তি যদি জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে চান, তাহলে আরো ভালো হয়। তাই এই হিসাবটা মাথায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।