• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা

বাবা ভারতে, মা পাকিস্তানে, ৪৮ বছর পর দেখা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩  

৪৮ বছর পর দেখা হলো বাবা-ছেলের। এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি। ছেলের বয়স যখন ৭ মাস তখন বাবা রাগ করে পাড়ি জমিয়েছিলেন ভারতে আর ৮ বছর বয়সে মাও পাড়ি জমিয়েছেন পাকিস্তানে। সেই ছেলের বয়স এখন ৪৯ বছর। বাবা কিংবা মায়ের সন্ধানে নানা স্থানে ঘুরে বেরিয়েছেন তিনি। অবশেষে সন্তানের খোঁজে বাবাই এলেন বাংলাদেশে।

নেত্রকোণার আরজদ আলী আর হাজেরার সংসারে যখন ৭ মাসের শিশু কালা মিয়া ১৯৭৪ সালে শ্বশুর বাড়ির সাথে ঝগড়া করে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলেন বাবা আরজদ আলী। আর সেই সন্তানের যখন বয়স ৮ বছর সে সময় মা হাজেরা খাতুনও পাড়ি জমান পাকিস্তানে। সে সময় থেকেই পিতা মাতা হারা কালা মিয়া চলে আসে সিলেটে। তবে ৪৮ বছর পর গত ১০ জানুয়ারি ভারত থেকে ছেলে আর স্ত্রীর খোজে নেত্রকোণায় পৌঁছে আরজদ আলী। সেখান থেকেই বাবাকে নিয়ে সিলেটে আসেন কালা মিয়া। সত্তোরোর্ধ আরজদ আলীর কাছে শোনা গেলো তার নিরুদ্দেশের কাহিনী।

এ ব্যাপারে ছেলে কালা মিয়া বলেন, ৪৮ পর আমার আব্বাকে আমি পেয়েছি। আমার চেয়ে সুখী আর কেউ নাই। আমি যে সম্পদ পেয়েছি। আমার চেয়ে সুখী আর কেউ নাই। আল্লাহ আমার আব্বাকে যেভাবে মিলিয়ে দিয়েছে, ঠিক একইভাবে আমার মা’কেও আমি ফিরে পেতে চাই।

বাবা আরজদ আলী বলেন, মনমালিন্য হয়েছিল বলে স্ত্রী আমাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেছিল। আমিও রাগ করে সন্তান ফেলে ভারতের আসামে চলে যাই। অনেক খোঁজখবর করে অবশেষে ছেলেকে পেয়ে বেজায় খুশি বাবা আরজদ।

কালা মিয়ার কাছে জানা যায়, ইতোমধ্যেই বাবা আরজদ আলী ভারতে আর মা হাজেরা বেগম পাকিস্তানে সংসার বেধেছেন, রয়েছে তাদের সন্তানও।