• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

এইচএসসির ফল হতে পারে ১১-১২ ফেব্রুয়ারি

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩  

এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় ফলাফল আগামী ১১ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রকাশ করা হতে পারে। ফলাফল প্রকাশের জন্য আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সম্মতি দেবেন সেদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ফলাফল প্রকাশের জন্য অন্যান্য কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার পরবর্তী ৬০ দিন পূর্ণ হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার হওয়ায় এ ফলাফল আগামী ১১ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রথমে ৮ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি এ প্রস্তাব পাঠালেও মন্ত্রণালয় থেকে সেটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার ১১-১২ ফেব্রুয়ারি নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সম্মতি দেবেন সেদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে। গত বছরের এসএসসি-সমমান পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর শুরু ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে। পরবর্তী সাত দিন ব্যবহারিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পরীক্ষা আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের কাজ শেষ হয়েছে। ফলাফল প্রকাশের পরবর্তী প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ফল প্রকাশে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেই প্রস্তাবে আগামী ১১ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রীতি অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষা শেষে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজ করছি। এ সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।

জানা গেছে, ফলাফল প্রকাশে দিন সকাল ১০টা মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবেন। এরপর দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে এ পরীক্ষার ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন। এদিন দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ও মোবাইলে এসএমএস করে ফলাফল জানা যাবে।

এ বছর ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে ছয় লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ ছাত্র এবং পাঁচ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন ছাত্রী। সারা দেশে দুই হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। মোট ১১টি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ১৮৩ এবং ছাত্রী পাঁচ লাখ তিন হাজার ৫৩০ জন।

অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় দুই হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ৪৪৮টি কেন্দ্র মোট পরীক্ষার্থী ৯৪ হাজার ৭৬৩ জন। এরমধ্যে ৫১ হাজার ৬৯৫ ছাত্র এবং ৪৩ হাজার ৬৮ জন ছাত্রী। এছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ৯৩১ জন। এরমধ্যে ৮৮ হাজার ৯১৮ ছাত্র এবং ৩৪ হাজার ১৩ জন ছাত্রী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।