• সোমবার ০২ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৭ ১৪৩০

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
‘আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে’ শহর ও গ্রামের বৈষম্য দূর করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকে সুন্দর করার পূর্বশর্ত শিশুদের সুন্দর করে গড়ে তোলা ‘শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি, ভবিষ্যতের বিশ্ব গড়ি’ শিশুর সুশিক্ষা-সুস্থ বিনোদন নিশ্চিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি সরকার প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি সংবেদন ও শ্রদ্ধাশীল: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ ‘বিদেশে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে আদালতে যেতে হবে’ ভিসা নিষেধাজ্ঞার কোনও যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ অন্ধকারে ফিরে যাবে: প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকাপে ভালো খেলবে বাংলাদেশ, আশা প্রধানমন্ত্রীর কন্যাশিশুদের সুদক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর অর্ধকোটি মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়েছেন শেখ হাসিনা বিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নে কোনো বিভাজন চলবে না: রাষ্ট্রপতি দেশের ভাবমূর্তি আরো জোরদার করতে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগের বিকল্প নাই: প্রধানমন্ত্রী মহানবীর (সা.) আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই সফলতা-শান্তি নিহিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ

এক মাসে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ‍জমেছে পৌনে ৮ কোটি টাকা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর প্রথম মাসে চারটি স্কিমের আওতায় এসেছেন প্রায় ১৩ হাজার মানুষ। এরই মধ্যে এই খাতে জমা হয়েছে সাড়ে সাত কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাঁদা জমা হয়েছে প্রগতি স্কিমে, সবচেয়ে কম প্রবাসী স্কিমে। পেনশন স্কিমে জমা হওয়া এসব চাঁদা সুরক্ষিতভাবে বিনিয়োগের জন্য বিধিমালা তৈরির কাজ চলছে।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে, গত ১৭ আগস্ট চালুর পর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক মাসে পেনশন স্কিমে চাঁদা দিয়েছেন গ্রাহক হয়েছেন মোট ১২ হাজার ৯৭২ জন। সম্মিলিতভাবে চারটি স্কিমে জমা হওয়া চাঁদার পরিমাণ সাত কোটি ৬২ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা।

পেনশন স্কিম কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য থেকে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি গ্রাহক চাঁদা জমা দিয়েছেন প্রগতি স্কিমে। তাদের সংখ্যা ছয় হাজার ১৯৪ জন, যা মোট গ্রাহকের প্রায় অর্ধেক (৪৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ)। তাদের জমা দেওয়ার চাঁদার পরিমাণ চার কোটি পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর সবচেয়ে কম প্রবাসী স্কিমে গ্রাহক হয়েছেন মাত্র ৩৯৮ জন, যা মোট গ্রাহকের মাত্র ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। তাদের জমা দেওয়া টাকার পরিমাণ ৮২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

প্রগতি স্কিম মূলত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য নির্ধারিত পেনশন স্কিমের ক্যাটাগরি। চাঁদা দেওয়ার ক্ষেত্রেই তারাই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে প্রবাসী স্কিমটি নামের মতোই প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য নির্ধারিত। পেনশন স্কিমে তাদের দিক থেকেই সাড়া মিলেছে সবচেয়ে কম।

পেনশন স্কিমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক গ্রাহক পাওয়া গেছে সুরক্ষা স্কিমে। অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত ব্যক্তি, যেমন— কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতী ইত্যাদি পেশার ব্যক্তিদের জন্য এ স্কিম চালু করা হয়েছে। এ স্কিমের আওতায় চাঁদা দিয়ে গ্রাহক হয়েছেন পাঁচ হাজার ২০ জন, যা মোট গ্রাহকের এক-তৃতীয়াংশের বেশি (৩৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ)। এসব গ্রাহকের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ দুই কোটি ৫৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

অন্যদিকে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জন্য রয়েছে সমতা স্কিম। এই স্কিমের আওতায় গ্রাহক হয়েছেন এক হাজার ৩৬০ জন। তাদের সংখ্যা পেনশন স্কিমের মোট গ্রাহকের ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তারা চাঁদা জমা দিয়েছেন ২২ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা। এ স্কিমে চাঁদাদাতা যে পরিমাণ অর্থ জমা দেবেন, সরকারের পক্ষ থেকেও সমপরিমাণ অর্থ জমা দেওয়া হবে চাঁদা হিসেবে।

পেনশন স্কিমে জমা হওয়া এই চাঁদার টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা হবে— জানতে চাইলে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার পেনশন স্কিমের টাকা দিয়ে সরকারি ট্রেজারি বন্ড কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ দেশে সবচেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ হলো সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ। এই টাকা কখনো মার যায় না। কারণ সরকার কখনো দেউলিয়া হয় না। সরকারি বন্ডে বিনিয়োগের চেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ আর হতে পারে না।’

প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা— এই চারটি স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা হয়ে। তবে এখনো পেনশন স্কিমের পরিচালন ব্যবস্থা, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, বিনিয়োগ নীতি ও বিনিয়োগ টিম— এসব কিছু চূড়ান্ত করা যায়নি।

এখন পেনশন স্কিমের চাঁদা বিনিয়োগের বিধিমালা তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘পেনশন স্কিমের চাঁদার টাকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ঝুঁকিমুক্ত খাতে বিনিয়োগ করা হবে। এ লক্ষ্যে বিনিয়োগ বিধিমালা তৈরির কাজ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে। তবে এর আগে প্রাথমিকভাবে সরকারি সিকিউরিটিজ বা ট্রেজারি বন্ডে চাঁদার টাকা বিনিয়োগ করা হবে।’