• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৩  

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নামতে শুরু করেছে গাছপাকা আম। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আম বাজারজাত হওয়া শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, আবহাওয়ার কারণে দেশের অন্যান্য স্থানের আম বাজারে এলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম দেরিতে বাজারজাত শুরু হয়েছে। বর্তমানে গুটি ও গোপালভোগ আম কিছুটা নামলেও পুরোপুরি বাজারে পাওয়া যাবে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই। এদিকে গত দুই বছরের মতো এবারও গাছ থেকে আম নামানোর সময়সীমা নির্ধারণ করেনি জেলা প্রশাসন। ফলে পরিপক্ব আম পাবেন ক্রেতারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে ৬০ লাখ গাছে আম আবাদ হচ্ছে। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। প্রতি কেজি আম ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলে জেলায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর জেলায় ৩৭ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয়েছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। তবে এবার আম বাণিজ্যে গত বছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা বৃদ্ধির আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। এ বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকা আম বাণিজ্যের আশা করছেন তারা। আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকদের সরলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফড়িয়ারা আমের ওজন বেশি নিয়ে থাকেন। ফলে আমবাগান মালিকরা বাজারে ওজন নিয়ে ব্যাপক বিড়ম্বনায় পড়েন। ৪৫-৫২ কেজিতে এক মণ ধরেন ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে জেলার বৃহৎ আমের মোকাম কানসাট, ভোলাহাট, রহনপুর ও সদরের পুরাতন তহাবাজারে প্রস্তুত করে ফেলেছেন আমের আড়ত, আবার কেউ আমের টুকরি, সুতলি, পেপারসহ খড় (ঘাস) মজুদ করছেন। এই আম নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ আগামী ৩-৪ মাস ব্যস্ত সময় পার করবেন। আম ব্যবসায়ীদের মতে, প্রথমে আসবে গোপালভোগ, তারপর গুটি থেকে ক্ষীরসাপাতি এবং সবশেষে আসবে আশ্বিনা আম। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, চলতি বছর আমের জন্য অন ইয়ার বা বেশি ফলনের বছর। এবার বাগানের ৯০ ভাগ গাছে আমের মুকুল এসেছিল, আমের ফলনও ভালো হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার আমের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই হিসাবে গড়ে প্রতি কেজি আম ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলে জেলায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।