সর্বজনীন নয় নতুন নাম জাতীয় পেনশন ব্যবস্থা
বরিশাল প্রতিবেদন
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২২

‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা’ নামটি থাকছে না। এর বিপরীতে নতুন নাম হবে ‘জাতীয় পেনশন ব্যবস্থা’। শিরোনামে সর্বজনীনের জায়গায় জাতীয় শব্দটি প্রতিস্থাপন হচ্ছে। এ ছাড়া পূর্ণাঙ্গ শিরোনামে ‘দেশের সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই পেনশন কাঠামোয় অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে আনীত’ শব্দটি প্রতিস্থাপনসহ কয়েকটি সংশোধন আনা হয়েছে এ সংক্রান্ত বিলে। সম্প্রতি বিলটির অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে বিলটি পাশের জন্য উত্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট জাতীয় সংসদে সর্বজনীন পেনশন আইনের খসড়া বিল আকারে উত্থাপন করা হয়। এরপর সেটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে। সেখানেই বিলের শিরোনামসহ বেশ কিছু সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়। প্রসঙ্গত, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব শ্রেণির মানুষকে পেনশন সুবিধার আওতায় আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর মাধ্যমে বয়স্কদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা বিল আলোচনার শুরুতে অর্থ সচিব (সিনিয়র) ফাতিমা ইয়াসমিন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনের ইশতেহারে বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই এবং সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপদ অবকাঠামোর আওতায় বৃদ্ধকালীন সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য জাতীয়ভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের বাজেটে এর ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় একটি কৌশল প্রণয়ন করা হয়, যা বিল আকারে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য মো. হারুন উর রশিদ বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন শিরোনামটি ভালো, কিন্তু আসলে ভালো না। যারা চাঁদা দেবে তারাই শুধু এর আওতায় আসতে পারবে। বিষয়টি সর্বজনীন হচ্ছে না। শুধু চাঁদাদাতারা এর সুবিধা ভোগ করবে। তিনি আরও বলেন, সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠনের কথা বলা হলেও কোন পেশার লোকজন কর্তৃপক্ষের সদস্য হবেন তা আরও সুনির্দিষ্ট হওয়া দরকার। এ ছাড়া এ পেনশনের আওতায় সবাই সুবিধা পাবেন। তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পেনশন পাচ্ছেন সে ব্যাপারে এ আইনে কোথাও উল্লেখ নেই। সেটি আসা দরকার ছিল। এছাড়া সর্বজনীন পেনশনের পরিচালনা পর্ষদ অনেক বড় হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাতজনের হওয়া উচিত। পাশাপাশি বিলে কাজের সুরক্ষার কথাটা আরও নিশ্চিত করতে হবে। তবে সর্বজনীন পেনশনের স্থানে জাতীয় পেনশন করার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এর প্রতিউত্তরে ওই বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, সর্বজনীন বলে সবাইকে যুক্ত করা হয়েছে। কাউকে বাদ দেওয়া হয়নি। ১৮ থেকে ৫০ বছরের লোকজন এর আওতায় আসবে। তারা ৬০ বছর পূর্ণ হলে পেনশন পাবেন। তিনি আরও বলেন, পঞ্চাশোর্ধ্বরা এর আওতায় আসতে পারবেন। যদি তারা ১০ বছর চাঁদা দেন। আর সরকারি চাকরিজীবীদের এর আওতায় আনার বিষয়টি বিলে বিবেচনা করা হয়েছে। সরকার চাইলে সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিতদের নিয়ে আসতে পারবে। অর্থাৎ আইনের মাধ্যমে সর্বজনীনতা রক্ষা করা হয়েছে। সর্বজনীন ও জাতীয় এর মধ্যে দ্বন্দ্ব নেই। পর্ষদ বড় এর উত্তর দিতে গিয়ে গভর্নর বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সদস্য ৫০ জনের বেশি। ফলে এটি একটা পর্ষদ, এটা একটু বড়ই হয়। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারকে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া নিম্নআয়ের লোকজনকে সরকার প্রণোদনা দিয়ে এখানে অন্তর্ভুক্ত করছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আবদুস শহীদ বলেন, সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠনের ধারা ৬(১) এ বলা হয়েছে- এখানে একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং চারজন সদস্য থাকবেন। এটা যদি রেগুলেটরি বডি হয় তাহলে সংবিধানের আর্টিক্যাল ৭ অনুযায়ী জনগণ দেশের মালিক। কিন্তু এখানে জনগণের প্রতিনিধি রাখা হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, বিলে দুটি তহবিলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একটি পেনশন তহবিল অপরটি পেনশন কর্তৃপক্ষ তহবিল। এ ক্ষেত্রে ঋণ কোন তহবিলের জন্য নেওয়া হবে। এ ছাড়া পেনশন ফান্ড বিনিয়োগের জন্য কোনো অবকাঠামো আছে কি না। তিনি আরও বলেন, পেনশন ফান্ডের নিরাপত্তার পদ্ধতি কী সেটিও তুলে ধরতে হবে।
এ সময় ব্যাখ্যা দিয়ে গভর্নর বলেন, সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠনের ক্ষেত্রে বেজা ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) মতো মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়েছে। সরকার চাইলে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে টাকা ঋণ নিতে পারবে। এ তহবিল হবে পুরোপুরি কল্যাণমুখী। তিনি আরও বলেন, ঋণ নেওয়া হবে কর্তৃপক্ষের জন্য। পেনশন তহবিলের জন্য। তিনি আরও বলেন, এ বিলের ধারা ১১(২) এ বলা আছে, পেনশন তহবিলের অর্থ পরিচালনা পর্ষদ সরকারি সিকিউরিটি, কম ঝুঁকিপূর্ণ অন্যান্য সিকিউরিটি ও লাভজনক অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের জন্য নির্ধারিত গাইড অনুমোদন এবং সময় সময় প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবে। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে তহবিল ব্যবস্থাপনা করা হবে।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র লেজিসলেটিভ ড্রাফটসম্যান এম এম ফজলুর রহমান বলেন, প্রস্তাবিত বিলে বাস্তবিক অর্থে চাঁদাদানকারীদের সর্বজনীন পেনশন প্রদানের ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিলে গঠিত তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তিকে কোনো সাহায্য দেওয়ার বিধান নেই। সে হিসাবে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫ এখানে প্রযোজ্য নয়। প্রস্তাবের প্রথম অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি। ওই বৈঠকে এর সঙ্গে একমত পোষণ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এটা উদ্দেশ্যের সঙ্গে মিল খাচ্ছে না। তাই প্রস্তাবের প্রথম অধ্যায় বাদ দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
- দেশে বাড়ছে সবুজ কারখানা, সুফল মিলছে রফতানিতে
- দেশের ব্যাপক উন্নয়ন বিবেচনায় নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান
- বিসিসি’র প্ল্যান পাসের নামে চাঁদাবাজি করায় ভুয়া প্রকৌশলী আটক
- ২৭ দিনে ১৬৭ কোটি ডলার পাঠালেন প্রবাসীরা
- এই সাত লক্ষণ অবহেলা করলেই সর্বনাশ
- নিয়মিত মেডিটেশন মস্তিষ্কের জন্য খুব উপকারী
- শীতের রান্নাবান্না
শাহী ফুলকপি রান্না - দেশি প্রযুক্তিতে বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন উদ্ভাবন
- রাশিয়া থেকে রূপপুরের মালামাল নিয়ে ২ জাহাজ মোংলায়
- খুলনায় ১০৭ প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিতে ফসলের ঝিলিক
- বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী জাপান
- ১৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পেল ‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ পদক’
- প্রধানমন্ত্রীকে ক্রেস্ট উপহার দিলেন মেয়র লিটন
- নরসিংদীতে নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
- মাদারীপুরে দুই দিনব্যাপী সাহিত্য মেলা
- ডিবি পুলিশের অভিযানে ২‘শ গ্রাম গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
- শূন্য পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ
- পাঠ্যবইয়ে ভুল সংশোধন ও গাফিলতি তদন্তে কমিটি
- উন্নয়ন চাইলে নৌকার পক্ষে ঐক্যবধ্য থাকুন
- গমের জায়গা নিচ্ছে ভুট্টা
- আপাতত জমজমের পানি বিক্রি বন্ধ: ভোক্তার ডিজি
- বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেফতার
- সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১ মার্চ
- গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলেই মানুষের উন্নতি হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনা দূতাবাস
- স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, শোক সইতে না পেরে স্বামীর বিষপান
- টেকনাফের পাহাড় থেকে অপহৃত দুই কাঠুরিয়া উদ্ধার
- ৩০ বছর সপরিবারে আক্রান্ত কুষ্ঠ রোগে, সরকারি চিকিৎসায় মিলল মুক্তি
- মেহেরপুরে উৎপাদিত হচ্ছে পেঁয়াজের বীজ, লাভবান চাষিরা
- ২৬ দিনে ইরানে ৫৫ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
- বরিশাল নগরীর সাগরদী খাল খনন কাজের উদ্বোধন
- বরিশালে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক- ১
- বরিশালে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় সমাজসেবা দিবস উদযাপন
- কীর্তনখোলা নদী প্লাস্টিকজাতীয় বর্জ্যে ভাগারখানায় পরিণত হয়েছে - ব্যাহত হচ্ছে ড্রেজিং কাজ
- গিরগিটির মতো রং বদলাবে!
- চলতি বছরই রেল যাবে কক্সবাজার, বদলে যাবে পর্যটন
- ক্যান্সারের এই সাধারণ লক্ষণ অনেকেই চিনতে পারেন না, সতর্ক হন এখনই
- নতুন বছরে নতুন স্বাদ
পায়েস - ডায়াবেটিসের যে লক্ষণ ফুটে ওঠে চোখে
- শীতের রান্নাবান্না
বেগুন দিয়ে গরুর মাংস - এ বছর প্রায় ৩৫ কোটি বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা: শিক্ষামন্ত্রী
- নখে সাদা দাগ, কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?
- প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষক শিক্ষিকার ভুমিকা অপরিসীম- প্রতিমন্ত্রী জাহিদ
- নতুন বছরে নতুন স্বাদ
হাঁসের কালাভুনা - শীতের রান্নাবান্না
বুটের ডাল দিয়ে খাসির মাথা - জঙ্গি আস্তানা গড়তে সেখানে আত্মগোপনে ছিলেন রণবীর-বাশার
- নতুন বছরে নতুন স্বাদ
হাঁসের মাংসের মালাইকারি - ববি’র হলে হামলা, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম
- সম্মান হারানোয় জামাতাকে ফাঁসাতে মেয়েকে খুন করেন বাবা
- লাখ লাখ টাকা দিয়ে পঙ্গুত্ব কিনে বাড়ি ফিরলাম : আফসোস তসলিমার