• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমছেই

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২  

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমছেই। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ২৯ ডলার বা ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ৬৪৩ ডলার ৯০ সেন্টে নেমে এসেছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দর টানা পড়ছে। এই দর দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মূল্যবান এই ধাতুটির দাম ১ হাজার ৬৫০ ডলারের নিচে নেমে এসেছিল।

তবে বিশ্ববাজারে যে হারে স্বর্ণের দর কমছে, দেশের বাজারে সে হারে কমছে না। এমনকি পড়তির বাজারেও স্থানীয় বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় পতন হলেও দেশের বাজারে কেন কমছে না- এ প্রশ্নের উত্তরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, বাজারে গোল্ডের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে গোল্ড আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার, প্রথম দিকে কয়েকজন কিছু আমদানি করলেও এখন আর কেউ করে না। কারণ শুল্ক, ভ্যাটসহ আমদানির খরচ অনেক বেড়ে যায়। সে দামে বিক্রি করলে স্বর্ণের ভরি ৯০ হাজার টাকা বেশি হবে। অন্যদিকে এখন ব্যাগেজ রুলসের আওতায়ও কম গোল্ড আসছে।’

‘সে কারণে আমাদের স্থানীয় বাজারের তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই গোল্ডের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে বেশি কমলেও তার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা দেশের বাজারে কমাতে পারছি না।’

‘আমরা প্রতি ভরি গোল্ড বিক্রি করে মাত্র ১ হাজার টাকা লাভ করি’ হিসাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘তেজাবি স্বর্ণ আমদানি করা হয় না। এটি দেশেই পাওয়া যায়। এই স্বর্ণ একেবারে পিওর বা ১০০ শতাংশ খাঁটি। আমাদের তাঁতীবাজারের ব্যবসায়ীরা সারা দেশ থেকে পুরোনো স্বর্ণ কিনে সেগুলো মেশিনে মাধ্যমে খাদ বাদ দিয়ে যে স্বর্ণ আলাদা করে, সেটাকেই পিওর বা ১০০ শতাংশ খাঁটি স্বর্ণ বলে। এটাকে আমরা তেজাবি স্বর্ণ বলি। এই স্বর্ণের দামই অনেক বেড়ে গেছে। যেহেতু আমদানি নেই, ব্যাগেজ রুলসের আওতায়ও কম আসছে, সে কারণে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা এখন আর গোল্ড বিক্রি করতে পারছি না।’

আন্তর্জাতিক বাজার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আগস্টের মাঝামাঝি থেকে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমছে। গত ১২ আগস্ট প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৮০১ ডলার ৮২ সেন্ট। সেখান থেকে কমতে কমতে এখন ১ হাজার ৬৫০ ডলারেরর নিচে নেমে এসেছে। এ হিসাবে দেড় মাসের কম সময়ের মধ্যে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ১৫৮ ডলার।

গত এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমেছে ৩১ ডলার ৬৬ সেন্ট। এক মাসের ব্যবধানে কমেছে ১০৮ ডলার বা ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার প্রভাব দেশের বাজারে পড়েছে। স্থানীয় বাজারে কিছুটা কমেছে স্বর্ণের দর। তবে বিশ্ববাজারে যে হারে কমেছে, দেশের বাজারে সেই হারে কমেনি। বরং চলতি মাসে বিশ্ববাজারে যখন স্বর্ণের দাম কমের দিকে ছিল, সে সময়ও দেশের বাজারে উল্টো বাড়ানো হয়।

এতে ১১ সেপ্টেম্বর সব রেকর্ড ভেঙে দেশের বাজারে নতুন উচ্চতায় ওঠে স্বর্ণের দাম। সে সময় সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৮৪ হাজার ৫৬৪ টাকা করা হয়। এর আগে দেশের বাজারে স্বর্ণের এত দাম দেখা যায়নি।

অবশ্য এই রেকর্ড দাম স্পর্শ করার পর সম্প্রতি দুই দফা দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এর মধ্যে সর্বশেষ ১৯ সেপ্টেম্বর ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩৩ টাকা কমিয়ে ৮২ হাজার ৩৪৮ টাকা করা হয়েছে।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৭৫ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ৬১৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৭০০ টাকা কমিয়ে ৬৭ হাজার ৪১৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৫৮৩ টাকা কমিয়ে ৫৫ হাজার ৮৭১ টাকা করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের বাজারে এ দামেই বিক্রি হচ্ছে এই ধাতু।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেনে হামলার পর বিশ্ববাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে স্বর্ণের দর। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর গত কয়েক মাসে কয়েক দফা ওঠা-নামা করে। তবে আগস্টের মাঝামাঝি থেকে কমছেই।