• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে

স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষক পাবেন ভর্তুকি ও ঋণ সহায়তা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩  

কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকের উন্নয়নে নতুন পঞ্চবার্ষিকী প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। প্রণোদনা ও কৃষিঋণ বিতরণের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ১ কোটি ৮০ লাখ কৃষককে আনা হচ্ছে ডিজিটাল কৃষি পরিষেবার আওতায়। দেওয়া হবে স্মার্ট কার্ডও। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ২শ’ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর থেকেই এর বাস্তবায়ন শুরু হবে। 

খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে বিশ্বজুড়ে। কৃষিপ্রধান দেশ হলেও এ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে বাংলাদেশও। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য-নিরাপত্তা জোরদারে নানামুখী পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার।  

এরই অংশ হিসেবে সরকার চলমান কর্মসূচির বাইরে পাঁচ বছর মেয়াদী একটি নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে এতে ব্যয় হবে ৭ হাজার ২১৪ কোটি টাকা। 

প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৮০ লাখ কৃষকের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। দেওয়া হবে স্মার্ট কার্ড। এর মাধ্যমে প্রণোদনা, কৃষি উপকরণে ভর্তুকি ও ঋণ সহায়তার মতো বিভিন্ন সেবা পাবেন কৃষকরা।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সার্বিকভাবে দেশের উৎপাদন বাড়বে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, কৃষি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।”

এছাড়া প্রকল্পটির মাধ্যমে এক লাখ হেক্টর নতুন জমিতে উন্নত এবং দক্ষ সেচ প্রযুক্তির প্রচলন করা হবে। পাশাপাশি তরুণদের মধ্যে কৃষি উদ্যোগকে জনপ্রিয় করতে ২০ হাজার নারী-পুরুষকে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ।

একই সঙ্গে ফল ও সবজির আওতাধীন এলাকা তিন লাখ হেক্টর এবং উচ্চ ফলনশীল ধানের আবাদ দুই লাখ হেক্টরে উন্নীত করা হবে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রকল্পটি শেষ হলে জিডিপিতে কৃষির অবদান বাড়বে। 

ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “কৃষিকে বাণিজ্যিককরণ এবং কৃষি ব্যবসাকে সহায়তাকরণ- এগুলো হলো নতুন প্রকল্পের উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে কৃষি গবেষণা এবং অবকাঠামোকে সহায়তা করা।”

কৃষির আধুনিকায়ন, বৈচিত্রকরণ ও সামগ্রিক উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে এই প্রকল্প টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।