• বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২৪ ১৪৩০

  • || ১৭ জ্বিলকদ ১৪৪৪

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর স্বাধীনতার ইতিহাসে ৬ দফা অন্যতম মাইলফলক: রাষ্ট্রপতি ৬ দফার প্রতি জনসমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা: প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ সাধ্যমতো চেষ্টা করছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ: শেখ হাসিনা সবাইকে ৩টি করে গাছ লাগানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর আ.লীগ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: শেখ হাসিনা একদিকে মুদ্রাস্ফীতি, অন্যদিকে লোডশেডিংয়ে ভুগছে দেশের মানুষ: প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপ বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত: প্রধানমন্ত্রী ‘প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে, এরকম পরিস্থিতি আর হয়েছিল কিনা জানি না’ প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অনস্বীকার্য দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশের বিকল্প নেই: রাষ্ট্রপতি বিশ্বের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪ দিন বন্ধ ঘোষণা সরকার এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবে: শেখ হাসিনা দেশজুড়ে উন্নত রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী সত্যের জয় হবেই: প্রধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২১ দিনে নিহত ১১

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩  

মাদক চোরাচালান, মানবপাচার, চাঁদাবাজি, অপহরণ-মুক্তিপণ, হামলা-হত্যাকাণ্ডে অস্থির হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প। মার্চ মাসের ২১ দিনেই নিহত হয়েছেন ১১ রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে খুন হয়েছেন ৯ জন ও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে দুইজন। এছাড়া বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সবশেষ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে উখিয়ার তাজনিমারখোলা এলাকার ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।

উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, ৫-৬ জন অজ্ঞাত সশস্ত্র দুর্বৃত্ত ১৩ নম্বর ক্যাম্পে হামলা চালায়। ঐ সময় রফিক নামে ২ জন ও ইয়াছিন নামে একজনকে লক্ষ্য করে গুলি করে তারা। এতে মো. রফিকের বুকে গুলি লাগে। আরেকজনের চোখের উপরে গুলি লেগে মাথার পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। ঐ ঘটনায় দুজনই নিহত হন এবং ইয়াসিনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান জোরদার করেছে এপিবিএন ও জেলা পুলিশ।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ বলছে, গত ৩ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত ৭টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহতদের বেশিরভাগি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমিউনিটি নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক। আধিপত্য বিস্তারের জেরেই এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন।

১৪ এপিবিএন-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি হারুন অর রশিদ বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিসহ (আরসা) ৩টি সন্ত্রাসী গ্রুপ ও ১৪টি ডাকাত দল সক্রিয় রয়েছে। তারা আধিপত্য বিস্তার, মাদক চোরাচালান ও অপহরণকে কেন্দ্র করে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। এ পর্যন্ত কয়েকশ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও ডাকাত সদস্যকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে, বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও বড় কোনো নাশকতার আশঙ্কা নেই। ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ, এপিবিএন, র‍্যাবের বেশ কয়েকটি টিম প্রতিনিয়ত কাজ করছে। আমরা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করছি।