আরও একবার মুশফিকুল ফজলকে এড়িয়ে গেলেন বেদান্ত প্যাটেল

ভিসা নীতি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য বিকৃতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল। জবাবে তার প্রশ্ন এড়িয়ে যান মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

সোমবার (৫ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ভিসা নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য বিকৃতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন মুশফিকুল ফজল। তার প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে মার্কিন বেদান্ত প্যাটেল জানান, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতেই নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এ নীতি নির্দিষ্ট কোনো দল বা ব্যক্তির জন্য নয়।

বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের প্রচার এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যম সকলেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে। সেই অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সমর্থনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, যেমনটা আপনি উল্লেখ করেছেন। কয়েক সপ্তাহ আগে একটি নতুন নীতি, যা আমাদেরকে বর্তমান বা প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তাসহ, সরকারপন্থি বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার অনুমতি দেয়।’

তিনি আরও জানান, বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা এবং অন্যরাও যদি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা হয়, তাদের ক্ষেত্রেও এ নীতি প্রযোজ্য হবে।
 
এদিন বাংলাদেশ নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে কংগ্রেসম্যানদের পাঠানো চিঠি নিয়ে প্রশ্ন করেন সময় সংবাদের ওয়াশিংটন ডিসি প্রতিনিধি। চিঠির জেরে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না বললেও, আবারও বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন বেদান্ত প্যাটেল।