• মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১১ ১৪৩০

  • || ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের জনসভায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়ার ভেতর দিয়েই শিশুর সামাজিকীকরণ ঘটে: প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় ভাষণের ৪৯তম বার্ষিকী আজ তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগে জনগণকে সম্পৃক্ত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ চুরি করা অর্থ দিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী বিএনপি কি আসলেই নির্বাচন চায়, তাদের নেতা কে: প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী আগামী প্রজন্মের জন্য সমুদ্রগুলো যেন সমৃদ্ধির উৎস হয়ে থাকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে বাংলাদেশ পুতুলের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, জনগণ সঠিকভাবে ভোট দেবে: শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণই তাদের ‘স্যাংশন’ দিয়ে দেবে: প্রধানমন্ত্রী কোরআন পোড়ানো নিয়ে শেখ হাসিনার নিন্দা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে বাংলাদেশও নিষেধাজ্ঞা দেবে: প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি ছাড়া দেশকে কিছুই দিতে পারেনি বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায় ভিয়েতনাম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই বাংলাদেশের অগ্রাধিকার: উজরা জেয়াকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী

দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করে রপ্তানি আয় বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২২  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের শুধু রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করলে হবে না, দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করে রপ্তানি আয় বাড়াতে হবে। পাশাপাশি পরিবর্তনশীল শ্রমবাজারের চাহিদামতো তরুণ ও যুবসমাজকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

রোববার (৩১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের প্রথম সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন শুধু বিএ, এমএ পাশ করে লাভ নেই। আমি চাই কৃষি কলেজ, কৃষি স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল ও কলেজ, যাতে সত্যিকারের মানুষ পয়দা হয়। বুনিয়াদি শিক্ষা নিলে কাজ করে খেয়ে বাঁচতে পারবে।

 

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি অনেকেই কোনো মতে ঘষে মেজে বিএ, এমএ পাস করেই চাকরির পেছনে ছুটে বেড়ায়। এ সময় সিআরআই ও ইয়াং বাংলার কথা উল্লেখ করে তাদের উৎসাহিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশের প্রতিটি যুব সমাজ সুদক্ষ কারিগর হিসেবে গড়ে উঠুক। শুধুমাত্র নিয়মমাফিক একটা পড়াশোনা করা নয় প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল ও প্রযুক্তির যুগে শিক্ষার্থীরা যেন দক্ষতা নিয়ে সমাজে নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে পারে, সিটই আমাদের লক্ষ্য। আমরা চাই শুধু আমাদের নিজের দেশে না আন্তর্জাতিক পর্যায়েও কর্মক্ষম যুবকরা যেন যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে। যার যে মেধা আছে, দক্ষতা আছে সেটাও যেন বিকশিত হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ইয়াং জেনারেশনকে ‘আমার কাজ আমি করে খাবো; দরকার হলে চাকরির পেছনে না ছুটে নতুন চাকরি দেব’ এভাবেই উৎসাহিত করে যাচ্ছি। আমাদের যুব সমাজকে সেটাই অনুধাবন করাতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের এ পদক্ষেপ। সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যবস্থা নিলে আরও কার্যকর হবে। যত বেশি দক্ষ জনশক্তি গড়া যাবে, দেশে যেমন কাজে লাগবে; বিদেশেও কাজে লাগানো যাবে। আমরা চাই আমাদের দেশটা এগিয়ে যাক।

সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে অনুকূল জনমিতিক সুবিধা ভোগ করছে, যা আগামী ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। প্রতি বছর ২২ লাখ কর্মক্ষম যুবগোষ্ঠী শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে। তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলা সম্ভব না হলে এ জনমিতিক সুবিধাকে জনমিতিক লভ্যাংশে রূপান্তর করা সম্ভব হবে না। তাই এ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে রূপকল্প ২০৪১ এ পৌঁছানোর পথ সুগম করতে হবে। সেই পথেই বাংলাদেশ যেন এগিয়ে যায়।

বিভিন্ন দেশের শ্রম বাজারে দক্ষ জনশক্তির চাহিদার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক দেশ এখন বয়োবৃদ্ধের দেশে পরিণত হয়ে গেছে। সেখানে আমাদের বড় বিষয় হলো আমাদের বিশাল আকারে যুব শ্রেণি আছে। কাজেই আমরা চাই শ্রম বাজারে যে সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে সেই সাথে উপযুক্তভাবে নিজেদের গড়ে তুলবে। শুধু শ্রম বাজার না, শ্রম শিল্প সব দিক থেকেই। আমি মনে করি বিশ্ব একটা গ্লোবাল ভিলেজ, কাজেই সব দিকেই উন্মুক্ত হচ্ছে। সেখানে আমাদের অনেক কর্মী বিদেশে কাজও করে। তাদেরকে আমরা চাই দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে।

দক্ষতা সনদ এবং দেশে-বিদেশে দক্ষতা মেলা আয়োজন করার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, দক্ষ জনবল তৈরি হয়েছে বা সম্ভাবনা রয়েছে তা নিয়ে দেশে ও বিদেশে দক্ষতা মেলার আয়োজন করা যেতে পারে। দক্ষতা সনদায়নের ক্ষেত্রে একক সনদায়নের ব্যবস্থা প্রবর্তন ও কার্যকর করতে হবে, যা বিদেশে বাংলাদেশের দক্ষতার ব্র্যান্ডিং হিসেবে কাজ করবে এবং বিদেশের শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মীদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ক্ষেত্র তৈরি করতে চাই। জনগণকে আমরা উৎসাহিত করতে চাই। আমরা যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি শুধুমাত্র রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করলে হবে না। আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। উৎপাদন বহুমুখী করতে হবে। রফতানির বাস্কেটও আমাদের বাড়াতে হবে। সেখানে আরও কি কি পণ্য আমরা রফতানি করতে পারি তার জন্য নতুন বাজার আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। সে পণ্য আমরা কীভাবে উৎপাদন করতে পারি অথবা আমরাও কীভাবে বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারি সেই চিন্তাও থাকতে হবে। শুধুমাত্র আমরা বিনিয়োগ আনবো তা নয়, আমরা বিনিয়োগ করতেও পারবো। সব কিছুর মাঝে আমার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি।