• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের

পদ্মা মেঘনা নামেই হচ্ছে দুই বিভাগ

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২২  

ঢাকা বিভাগ ভেঙে বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলা নিয়ে পদ্মা নদীর নামানুসারে ‘পদ্মা’ নামে নতুন বিভাগ হচ্ছে। একইভাবে চট্টগ্রাম বিভাগ ভেঙে বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালীর ছয় জেলা নিয়ে মেঘনা নদীর নামানুসারে ‘মেঘনা’ নামে অন্য একটি নতুন বিভাগ করা হচ্ছে। এই প্রথম দেশের প্রধান দুটি নদী পদ্মা-মেঘনার নামে নতুন দুটি বিভাগ হতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত পদ্মা বিভাগের সদর দফতর হবে ফরিদপুরে এবং মেঘনা বিভাগের সদর দফতর হবে কুমিল্লায়।

আগামীকাল সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এ বিভাগ দুটির অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করার কথা। এ ছাড়া ওই বৈঠকে একটি নতুন পৌরসভা ও আরেকটি পৌরসভার সীমানা নির্ধারণসহ মোট ছয়টি এজেন্ডা উপস্থাপন করা হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিভাগ ভেঙে প্রস্তাবিত বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলা ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর নিয়ে পদ্মা নদীর নামানুসারে এ বিভাগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর এর সদর দফতর হবে ফরিদপুরে। ফরিদপুর জেলার আয়তন ২ হাজার ৭৩ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭। গোপালগঞ্জ জেলার আয়তন ১ হাজার ৪৬৮ দশমিক ৭৪ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১১ লাখ ৭২ হাজার ৪১৫। রাজবাড়ীর আয়তন ১ হাজার ১১৮ দশমিক ৮০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১০ লাখ ১৫ হাজার ৫১৯। শরীয়তপুরের আয়তন ১ হাজার ৩৬৩ দশমিক ৭৬ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৪। মাদারীপুরের আয়তন ১ হাজার ১২৫ দশমিক ৬৯ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১২ লাখ ১২ হাজার ১৯৮। ফলে পদ্মা বিভাগের মোট আয়তন হবে ৭ হাজার ১৪৯ দশমিক ৯৯ বর্গকিলোমিটার। মোট জনসংখ্যা ৬৫ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৩। সাক্ষরতার হার ৪৮ দশমিক ৯ ভাগ।

 

বৃহত্তর কুমিল্লার তিন জেলা কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর এবং বৃহত্তর নোয়াখালীর তিন জেলা নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরসহ মোট ছয় জেলা নিয়ে মেঘনা নদীর নামে ‘মেঘনা’ বিভাগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর সদর দফতর হবে কুমিল্লায়। তবে বিভাগ সংক্রান্ত গণশুনানিতে নোয়াখালীর নেতারা প্রস্তাবিত মেঘনা বিভাগে থাকার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন। অন্যদিকে কুমিল্লার সর্বস্তরের জনগণ তাদের বিভাগের নাম কুমিল্লা নামেই করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে একাধিকবার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে সম্মতি দেননি। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক সভায় কোনো জেলার নামে নয়, নতুন দুটি বিভাগ পদ্মা ও মেঘনা নদীর নামেই হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একনেকের বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানিয়েছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

জানা গেছে, বর্তমানে বৃহত্তর কুমিল্লা ও বৃহত্তর নোয়াখালীর ছয়টি জেলায় প্রায় ২ কোটি জনসংখ্যা রয়েছে। ওই ছয় জেলার আয়তন প্রায় ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটার, যা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সিলেট, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের চেয়ে জনসংখ্যা ও আয়তনের প্রায় দ্বিগুণ। কুমিল্লায় সরকারের প্রায় সব ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে কুমিল্লায় বিভাগ হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ওপর জনগণের চাপ কমবে। ঢাকা শহরে বাড়তি লোকের চাপ হবে না। সেখানে যানজটও কমে আসবে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে কুমিল্লার অবস্থান। একটি পরিপূর্ণ আবাসিক জেলা হিসেবে কুমিল্লার সুনাম রয়েছে। রাজধানী ও বন্দরনগরের ওপর চাপ কমাতে এ শহর বেশ ভূমিকা রাখবে। বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালীর ছয় জেলার মধ্যবর্তী স্থানেও কুমিল্লার অবস্থান। ভৌগোলিক ও উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার কারণে কুমিল্লা খুবই সমৃদ্ধ জনপদ। এ ছয় জেলার মানুষের সঙ্গে সড়ক, রেল ও নদীপথে যোগাযোগ অত্যন্ত মসৃণ। দাফতরিক বেশির ভাগ কাজেই ছয় জেলার মানুষ কুমিল্লায় জড়ো হন। এখানে দিনে এসে দিনে কাজ করে বাড়ি ফিরে যাওয়া সম্ভব। ছয় জেলার মানুষের আঞ্চলিক ভাষাও কাছাকাছি।