• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বরিশাল প্রতিবেদন
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

শেবাচিমে রোগীর স্বজনদের ফ্রী খাবারের ব্যবস্থা করেছে হোটেল মালিকরা

বরিশাল প্রতিবেদন

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২১  

বরিশাল প্রতিনিধি: শেবাচিম হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার হোটেলে মালিক দের উদ্যোগে গতকাল শনিবার ও আজ রবিবার ৭-৮শত  লোকের মাঝে এই খাবার বিতরণ করা হয়।

হোটেল মালিক অলিউর রহমান জানান, বেশিরভাগ রোগী ও স্বজনের তিন বেলা খাবারের চাহিদা মেটায় হাসপাতাল সংলগ্ন ১০টি হোটেল। শুক্রবার রাতে পুলিশ  পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত হোটেলগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।  ফলে শনিবার থেকে হাসপাতাল এলাকা সবগুলো খাবার হোটেল বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েন রোগী ও স্বজনরা

বরিশালে কঠোর লকডাউন কার্যকরে খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধের সিদ্ধান্তে মারাত্মক সংকটে পড়েছেন হাসপাতালে থাকা রোগীর স্বজনরা। এমন অবস্থায় তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন হাসপাতালের সামনে থাকা হোটেল মালিকরা। খিচুড়ি রান্না করে তা বিনামূল্যে বিতরণ করেন ১০ হোটেলের মালিক। তবে পরবর্তী খাবারের অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে দেড়সহস্রাধিক রোগী ভর্তি থাকে। প্রতি রোগীর সঙ্গে গড়ে স্বজন থাকেন দুজন। সেই হিসাবে প্রতিদিন শেবাচিম হাসপাতালে রোগী ও স্বজন থাকে প্রায় পাঁচ হাজার।

হাসপাতাল থেকে শুধু রোগীদের খাবার দেয়া হয়। তবে মান কম হওয়ায় বেশিরভাগ রোগীই তা খান না। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা রোগী ও স্বজনদের তিন বেলা খাবারের ভরসা হাসপাতালের দোকানগুলো। প্রশাসনের সিদ্ধান্তে হোটেল বন্ধ থাকায় শনিবার সকালে খাবার সংকটে পড়েন রোগী ও স্বজনরা।

হোটেল মালিক অলিউর বলেন , ‘সকালে হোটেল বন্ধ দেখে খাবারের জন্য রোগীর স্বজনদের মধ্যে হা-হুতাশ শুরু হয়। গোটা নগরীর হোটেল বন্ধ থাকায় তারা বিপাকে পড়েন। খাবারের জন্য হৈ-চৈ শুরু করে দেন।

এই ‘দুর্দশা দেখে ১০ হোটেল মালিক একত্রিত হয়ে চাল-ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে বিনামূল্যে বিতরণ করে। রোগীদের কয়েক শ স্বজন লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে সেই খিচুড়ি নেন। তবে পরবর্তী খাবারের কী হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি।’

নগরীর সব হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় শুধু রোগীর স্বজন নয় একই দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন মেসের বাসিন্দা, নিম্নআয়ের মানুষ এবং বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনরা।