সংরক্ষিত বনভূমি থেকে দখলদার উচ্ছেদে ব্যবস্থা: সংসদীয় কমিটি
বরিশাল প্রতিবেদন
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২০

বেদখলে থাকা এক লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ একর সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারে মাঠে নামছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সংসদীয় কমিটির তাগাদায় আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে দখলদারদের সরে যাওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হবে।
রবিবার (২৯ নভেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। কমিটি আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে সংরক্ষিত বনভূমি দখলদারদের তালিকা প্রস্তুত করে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে উচ্ছেদের নোটিশ দিতে বলেছে। সংরক্ষিত বনভূমির বাইরে যেসব বনের জমি দখলে রয়েছে, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তার তালিকা দিতে মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণির মোট বনভূমির পরিমাণ ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ একর। এরমধ্যে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৪৫২ একর বনভূমি দখলে আছে। দেশের বনভূমির দখলদার ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮৮ হাজার ২১৫।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বনভূমি দখলদার থেকে উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকরা চিঠি দেন। কমিটি মন্ত্রণালয়কে বলেছে, আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে দখলদারদের চিঠি দিতে হবে। এই নোটিশের সাত দিনের মধ্যে দখলদার সরে না গেলে উচ্ছেদ করা হবে।’
তিনি জানান, সংসদীয় কমিটিকে এই নোটিশ পাঠানোর আগে বিভাগীয় কমিশনার এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাতে বলা হয়েছে।
কমিটির আগের বৈঠকে বনের জমি দখল করে রাখা ৯০ হাজার জনের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সাবের হোসেন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য জমি উদ্ধার। এই যে সংরক্ষিত বন দখল করে রেখেছে এটা গেজেটভুক্ত। এখানে দখলদার আদালতে গিয়েও কিছু করতে পারবে না। বিভিন্ন ক্যাটাগরির বনের জমি দখল হয়ে আছে। আগে সংরক্ষিত বনের জমি উদ্ধারে মন্ত্রণালয়কে হাত দিতে বলা হয়েছে। এটা শুরু হলে অন্য দখলদাররা সতর্ক হয়ে যাবে।’
এদিকে সংসদীয় কমিটি জবর দখল হওয়া জমি উদ্ধারে আগের কার্যক্রমও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। দখলদারদের নোটিশ দেওয়া হেয়েছে কিনা, দিয়ে থাকলে সেগুলোর তালিকা, আর না দিয়ে থাকলে তার কারণ জানতে চেয়েছে।
অবৈধ দখল করা বনভূমি বন্ধক দিয়ে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে থাকে, তবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের শরণাপন্ন হতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।
এদিকে বিপুল পরিমাণ বনভূমি জবরদখলের কারণ সম্পর্কে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিএস রেকর্ড মূলে রেকর্ডভুক্ত বনভূমি পরবর্তীতে এসএ/আরএস/বিএস জরিপে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। এছাড়া এক নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত বনভূমি (সংরক্ষিত বনভূমি ছাড়া অন্যান্য যেমন রক্ষিত, অর্পিত বনভূমি) জেলা প্রশাসন অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বন্দোবস্ত দিয়েছে।
এছাড়া বনভূমির মধ্য দিয়ে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ বিশেষ করে সড়ক নির্মাণের ফলে এর দু’পাশে বনভূমি জবদখলের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। স্থানীয় জনগণ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বনভূমি দখল করে কৃষি কাজ, স্থায়ী স্থাপনা, বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, স্কুল, প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। অনেক জবরদখল করা বনভূমিতে শিল্প-কারখানা স্থাপন করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন বলেন, ‘যারা বনের জমি নিজেদের দেখিয়ে ঋণ নিয়েছে, তারা জালিয়াতি করেই নিয়েছে। আমরা মন্ত্রণালয়কে বলেছি, এরকম ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করতে হবে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সহায়তা নিতে হবে।’
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে বন বিভাগের সব জমির রেকর্ড ডিজিটাইজড করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে লাল তালিকাভুক্ত বিলুপ্ত প্রায় প্রাণি ও উদ্ভিদ রক্ষায় যে সব গবেষণা হয়েছে এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার পর পরবর্তী ফলাফল কমিটিকে অবহিত করার সুপারিশ করা হয়।
যেকোনও ইকোনমিক জোন তৈরির আগে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটিকে স্ট্রাটেজিক এনভায়রনমেন্ট প্ল্যান স্টাডি করার সুপারিশ করা হয়।
সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিবেশনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, মো. রেজাউল করিম বাবলু, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এবং শাহীন চাকলাদার বৈঠকে অংশ নেন।
- ‘প্রকল্পে অযৌক্তিক ব্যয় পরিহার করতে হবে’
- চুলের খুশকি দূর করবে এই পাতা
- লিভার ভালো রাখবে সয়াবিন
- মুম্বাইয়ে হলো ‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমার মহরত
- কী ঘটে নক্ষত্রের মৃত্যুদশায়, ছবিতে জানালো নাসা
- ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে
- ঢাকার ১০৫০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি উপহার
- টিকা সংরক্ষণের স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিতের নির্দেশ
- শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে
- করোনাকালে মোবাইল সেবার মান যাচাইয়ে নজরদারি শুরু
- ১২ বছরে দেশের অনেক পরিবর্তন করেছে সরকার: পরিকল্পনামন্ত্রী
- আগৈলঝাড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার ও ছাগল বিতরণ
- দই-পেঁয়াজের গ্রেভি চিকেন
- খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছে ৯২২ হতদরিদ্র পরিবার
- সবার আগে আমি ভ্যাকসিন নেব : অর্থমন্ত্রী
- করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৬, শনাক্ত ৫৮৪
- পদ্মা সেতু পরিদর্শনে চালু হলো ভ্রমণতরী
- কারাগারের বদলে ৪৯ শিশুকে বই দিয়ে বাড়ি পাঠালেন আদালত
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিডিয়া সেল পুনর্গঠন
- শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে: পরিবেশ মন্ত্রী
- টানা তৃতীয়বার বর্ষসেরা ক্রিকেটার ম্যাক্সওয়েল
- বিশ্বজুড়ে সমাদৃত মহামানব শেখ সাদি
- আল্লায় শেখের বেটিরে বাঁচায়ে রাহুক
- বাংলাদেশকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয় ভারত: জয়শঙ্কর
- সর্বোচ্চ গুরুত্ব স্বাস্থ্যে ॥ আগামী বাজেটে দশ খাতে অগ্রাধিকার
- সার্জেন্টের ওপর হামলাকারী সেই যুবক গ্রেপ্তার
- মশা বাড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে: মন্ত্রী
- মুজিববর্ষে কক্সবাজারে ঘর পাচ্ছে ৮৬৫ পরিবার
- নিজের নামে পদ্মা সেতু, বিরোধিতা করলেন শেখ হাসিনা
- পিকে হালদারের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে দুদক
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- বই বিতরণ উৎসবের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- যে স্বার্থ হাসিলে খুন করা হয়েছে আল্লামা আহমদ শফীকে
- ঢাকায় তুরস্ক দূতাবাসের নতুন ভবন উদ্বোধন
- র্যাবের অভিযানে বরিশালে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- মাস্ক পরেও মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
- জঙ্গিবাদের শেকড়-বাকড় উপড়ে ফেলতে চাই: আইজিপি
- শীতে হাঁসের মাংসে রসনা বিলাস
হাঁসের মাংসের কালিয়া - জামায়াত-শিবির আর জঙ্গিতে পূর্ণ হেফাজতের কমিটি
- নতুন করোনাভাইরাস আসলে কি?
- নতুন বছরে সবার সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা প্রধানমন্ত্রীর
- অনেকদূর এগিয়েছি, যেতে হবে বহুদূর: প্রধানমন্ত্রী
- বিএনপির সময়ে বিদ্যুৎ কখন আসবে তার নিশ্চয়তা ছিল না : প্রধানমন্ত্রী
- অভিনেতা আবদুল কাদেরের মৃত্যুর গুজব
- পঁচাত্তরের পর বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করা হয়েছিল
- ফুলে স্বাবলম্বী পিরোজপুরের চাষিরা
- ডায়াবেটিস থেকে চোখের ছানি, দূর হবে কুমড়ার শাকে
- তৃতীয় ধাপের ৬৪ পৌরসভায় নৌকার টিকিট পেলেন যারা
- সারা দেশে নতুন ভোটার ১৪ লাখ ৬৫ হাজার
- যে দোয়া নতুন বছরে বেশি বেশি পড়বেন