বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবেন যারা
বরিশাল প্রতিবেদন
প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২১

বিনা হিসাবে জান্নাত পাওয়া মহান আল্লাহর অনন্য নেয়ামতের একটি। যারা সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন, তাদের বর্ণনা এসেছে হাদিসের বর্ণনায়। কী আমলের বিনিময়ে কারা সবার আগে বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবেন? তাদের লক্ষণই বা কী হবে? এ সম্পর্কে বিশ্বনবিই বা কী বলেছেন?
হ্যাঁ, হাদিসের বর্ণনায় সর্বপ্রথম জান্নাতি মানুষদের বর্ণনা করেছেন বিশ্বনবি। আবার কী আমলের বিনিময় এরা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবেন তাও উল্লেখ করেছেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতে প্রবেশকারী প্রথম দলটি পূর্ণিমা চাঁদের মতো উজ্জ্বল আকৃতিতে প্রবেশ করবে। অতপর আকাশের সবচেয়ে দীপ্তিমান তারকার মতো উজ্জ্বল আকৃতিতে প্রবেশ করবে। তাদের অন্তরগুলো হবে মানুষের ন্যায়। পরস্পর কোনো ধরনের শত্রুতা ও হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করবে না।’ (বুখারি ও মুসলিম)
- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতে প্রবেশকারী প্রথম দল পূর্ণিমা চাঁদের মত উজ্জ্বল আকৃতিতে প্রবেশ করবে। অতপর (পরবর্তী দল হিসেবে) প্রবেশ করবে আকাশের সবচেয়ে দীপ্তিমান তারকার সুরতে। সেখানে তারা পেশাব-পায়খানা করবে না। থুতু ফেলবে না। নাক ঝাড়বে না। তাদের চিরুনিগুলো হবে স্বর্ণের। ঘাম হবে মিশক আম্বরের মত সুগন্ধি। তাদের ধুপ হবে চন্দন কাঠের এবং স্ত্রীগণ হবে ‘হূরুলঈন’ (আয়তলোচন চির কুমারী হুরগণ)। সবার আকৃতি হবে তাদের বাবা (হজরত আদম আলাইহিস সালামের) মত। ষাট হাত লম্বা।’ (বুখারি, মুসলিম)
- অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘(জান্নাতে) তাদের পাত্র হবে স্বর্ণের, তাদের গায়ের ঘাম হবে কস্তুরীর ন্যায় সুগন্ধময়। তাদের প্রত্যেকের জন্য এমন দু’জন স্ত্রী থাকবে, যাদের সৌন্দর্যের দরুন মাংসভেদ করে পায়ের নলার হাড়ের মজ্জা দেখা যাবে। তাদের মধ্যে কোনো মতভেদ থাকবে না। পারস্পরিক বিদ্বেষ থাকবে না। তাদের সবার অন্তর একটি অন্তরের মত হবে। তারা সকাল-সন্ধ্যায় তাসবিহ পাঠে রত থাকবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবেন যারা
বিনা হিসাবে কারা জান্নাতে যাবে এবং তাদের আমল কী হবে, এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দীর্ঘ এক হাদিস বর্ণনা করেন। তাতে ওঠে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামের সামনে বর্ণনা করছিলেন, ‘আমার কাছে সব (নবির) উম্মত পেশ করা হল। আমি দেখলাম, কোনো নবির সঙ্গে কতিপয় (৩ থেকে ৭ জন) অনুসারী রয়েছে। কোনো নবির সঙ্গে এক অথবা দুইজন রয়েছে। আবার কোনো কোনো নবিকে দেখলাম তার সঙ্গে কেউই নেই।
এমন সময় অনেক বড় একটি জামাআত আমার সামনে পেশ করা হল। আমি মনে করলাম, এটিই আমার উম্মত। কিন্তু আমাকে বলা হল যে, এটি হল হজরত মুসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর উম্মতের জামাআত। কিন্তু আপনি অন্য দিগন্তের দিকে তাকান।
অতপর আমি অন্য দিগন্তে তাকাতেই আরও বড় একটি জামাআত দেখতে পেলাম। আমাকে বলা হল যে- ‘এটি হল আপনার উম্মত। আর তাদের সঙ্গে রয়েছে এমন ৭০ হাজার ব্যক্তি; যারা বিনা হিসাব ও আজাব ভোগ কা ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে।’
এ কথা বলেই প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঠে নিজ বাসায় প্রবেশ করলেন। আর এদিকে উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম ওই সব বিনা হিসাবে জান্নাতিদের ব্যাপারে বিভিন্ন আলোচনা শুরু করে দেয়-
- কেউ কেউ বলল, ‘সম্ভবত ওইসব লোকেরা হল তারা, যারা আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবাগণ।
- কিছু লোক বলল, বরং সম্ভবত ওরা হল তারা, যারা ইসলামের ওপর জন্মগ্রহণ করেছে এবং আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করেনি। এভাবে আরও অনেকে অনেক কিছু বলল।
কিছুক্ষণ পর...
আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কাছে বের হয়ে এসে জানতে চাইলেন- তোমরা কী ব্যাপারে আলোচনা করছ? সাহাবায়ে কেরাম জানালেন, বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবেন; তারা কারা?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল।লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘ওরা হল সেইসব ব্যক্তি-
-যারা ঝাঁড়ফুঁক করে না এবং ঝাঁড়ফুঁক করায় না।
- আর কোনো জিনিসকে অশুভ লক্ষণ বলেও মনে করেন না।
- বরং তারা শুধুই মহান আল্লাহ তাআলার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখেন।
এ কথাগুলো শুনেই হজরত উক্কাশাহ ইবনে মিহসান রাদিয়াল্লাহু আনহু উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন-
‘(হে আল্লাহর রাসুল!) আপনি আমার জন্য দোয়া করুন, যেন আল্লাহ তাআলা আমাকে তাদের দলভুক্ত করে দেন! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সঙ্গে সঙ্গেই) বললেন, তুমি তাদের মধ্যে একজন।’
অতপর আরও এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে বলল, আপনি আমার জন্যও দোয়া করুন, যেন আল্লাহ আমাকেও তাদের দলভুক্ত করে দেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘‘উক্কাশাহ (এ ব্যাপারে) তোমার চেয়ে অগ্রগামী।’ (বুখারি ও মুসলিম)
বিনা হিসাবে জান্নাতে যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা
বিনা হিসাবে জান্নাতে যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা কত হবে এ সম্পর্কেও হাদিসের বিখ্যাত কিছু গ্রণ্তে ওঠে এসেছে কিছু সুস্পষ্ট বর্ণনা। তাহলো-
- ‘শুধু ৭০ হাজারই নয়, বরং ওই ৭০ হাজারের প্রতি হাজারের সঙ্গে আরও ৭০ হাজার করে মুসলিম জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ লাভ করবে।’ অর্থাৎ এ হিসেবে প্রায় ৪৯ লাখ ব্যক্তি। (সহিহুল জামে)
- অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘ওই ৭০ হাজারের প্রত্যেক ব্যাক্তির সঙ্গে আরও ৭০ হাজার করে মুসলিম জান্নাতে প্রবেশ করবে। অর্থাৎ এ হিসেবে উম্মতে মুহাম্মাদির ৪৯০ কোটি মানুষ বিনা হিসাব ও আজাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (মুসনাদে আহমাদ, সিলসিলা সহিহাহ)
প্রথম বর্ণনায় উল্লেখিত ৭০ হাজার ব্যক্তির বিনা হিসাবে জান্নাত লাভ অনুসারে মহান আল্লাহর তিন অঞ্জলি অতিরিক্ত মুসলিমকে বিনা হিসাব ও আজাবে জান্নাত প্রবেশের অধিকার দেবেন। আর এর প্রকৃত সংখ্যা শুধু আল্লাহই ভালো জানেন।
জান্নাতে প্রবেশকারী প্রথম দল ও তাদের সম্পর্কে কুরআনুল কারিমের বর্ণনাই সুস্পষ্ট। আল্লাহ তাআলা এ সম্পর্কে অনেক সুরার একাধিক আয়াতে তা সুস্পষ্ট করে বলেছেন-
وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ أُولَٰئِكَ الْمُقَرَّبُونَ فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ (12) ثُلَّةٌ مِّنَ الْأَوَّلِينَ وَقَلِيلٌ مِّنَ الْآخِرِينَ
‘আর অগ্রবর্তীগণ তো অগ্রবর্তী। তারাই হবে নৈকট্যপ্রাপ্ত। তারা থাকবে সুখময় জান্নাতসমূহে। বহুসংখ্যক হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে এবং অল্প সংখ্যক হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে।’ (সুরা ওয়াকিয়া : আয়াত ১০-১৪)
وَأُزْلِفَتِ الْجَنَّةُ لِلْمُتَّقِينَ غَيْرَ بَعِيدٍ - هَذَا مَا تُوعَدُونَ لِكُلِّ أَوَّابٍ حَفِيظٍ - مَنْ خَشِيَ الرَّحْمَن بِالْغَيْبِ وَجَاء بِقَلْبٍ مُّنِيبٍ
আর জান্নাতকে উপস্থিত করা হবে আল্লাহকে ভয়কারী বান্দার খুব কাছাকাছি। প্রত্যেক অনুগরাী ও স্মরণকারীকে এরই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। যে না দেখে দয়াময় আল্লাহ তাআলাকে ভয় করত এবং বিনীত অন্তরে উপস্থিত হতো।’ (সুরা ক্বাফ : আয়াত ৩১-৩৩)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে বিনা হিসাবে জান্নাত পাওয়ার জন্য উল্লেখিত ৩টি আমল যথাযথভাবে করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
- ‘প্রকল্পে অযৌক্তিক ব্যয় পরিহার করতে হবে’
- চুলের খুশকি দূর করবে এই পাতা
- লিভার ভালো রাখবে সয়াবিন
- মুম্বাইয়ে হলো ‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমার মহরত
- কী ঘটে নক্ষত্রের মৃত্যুদশায়, ছবিতে জানালো নাসা
- ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে
- ঢাকার ১০৫০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি উপহার
- টিকা সংরক্ষণের স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিতের নির্দেশ
- শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে
- করোনাকালে মোবাইল সেবার মান যাচাইয়ে নজরদারি শুরু
- ১২ বছরে দেশের অনেক পরিবর্তন করেছে সরকার: পরিকল্পনামন্ত্রী
- আগৈলঝাড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার ও ছাগল বিতরণ
- দই-পেঁয়াজের গ্রেভি চিকেন
- খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছে ৯২২ হতদরিদ্র পরিবার
- সবার আগে আমি ভ্যাকসিন নেব : অর্থমন্ত্রী
- করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৬, শনাক্ত ৫৮৪
- পদ্মা সেতু পরিদর্শনে চালু হলো ভ্রমণতরী
- কারাগারের বদলে ৪৯ শিশুকে বই দিয়ে বাড়ি পাঠালেন আদালত
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিডিয়া সেল পুনর্গঠন
- শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে: পরিবেশ মন্ত্রী
- টানা তৃতীয়বার বর্ষসেরা ক্রিকেটার ম্যাক্সওয়েল
- বিশ্বজুড়ে সমাদৃত মহামানব শেখ সাদি
- আল্লায় শেখের বেটিরে বাঁচায়ে রাহুক
- বাংলাদেশকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয় ভারত: জয়শঙ্কর
- সর্বোচ্চ গুরুত্ব স্বাস্থ্যে ॥ আগামী বাজেটে দশ খাতে অগ্রাধিকার
- সার্জেন্টের ওপর হামলাকারী সেই যুবক গ্রেপ্তার
- মশা বাড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে: মন্ত্রী
- মুজিববর্ষে কক্সবাজারে ঘর পাচ্ছে ৮৬৫ পরিবার
- নিজের নামে পদ্মা সেতু, বিরোধিতা করলেন শেখ হাসিনা
- পিকে হালদারের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে দুদক
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
- বই বিতরণ উৎসবের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- যে স্বার্থ হাসিলে খুন করা হয়েছে আল্লামা আহমদ শফীকে
- ঢাকায় তুরস্ক দূতাবাসের নতুন ভবন উদ্বোধন
- র্যাবের অভিযানে বরিশালে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- মাস্ক পরেও মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়
- জঙ্গিবাদের শেকড়-বাকড় উপড়ে ফেলতে চাই: আইজিপি
- শীতে হাঁসের মাংসে রসনা বিলাস
হাঁসের মাংসের কালিয়া - জামায়াত-শিবির আর জঙ্গিতে পূর্ণ হেফাজতের কমিটি
- নতুন করোনাভাইরাস আসলে কি?
- নতুন বছরে সবার সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা প্রধানমন্ত্রীর
- অনেকদূর এগিয়েছি, যেতে হবে বহুদূর: প্রধানমন্ত্রী
- বিএনপির সময়ে বিদ্যুৎ কখন আসবে তার নিশ্চয়তা ছিল না : প্রধানমন্ত্রী
- অভিনেতা আবদুল কাদেরের মৃত্যুর গুজব
- পঁচাত্তরের পর বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করা হয়েছিল
- ফুলে স্বাবলম্বী পিরোজপুরের চাষিরা
- ডায়াবেটিস থেকে চোখের ছানি, দূর হবে কুমড়ার শাকে
- তৃতীয় ধাপের ৬৪ পৌরসভায় নৌকার টিকিট পেলেন যারা
- সারা দেশে নতুন ভোটার ১৪ লাখ ৬৫ হাজার
- যে দোয়া নতুন বছরে বেশি বেশি পড়বেন